প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

1[ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ৫৪ নং আইন )

নবম অধ্যায়

অপরাধ ও বিচার

নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘন
২৮। (১) কোন নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘিত হইবে, যদি অনুমোদিত ব্যবহারকারী না হওয়া সত্ত্বেও, কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) কোন পণ্যের নামে বা উপস্থাপনে উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক এইরূপভাবে ব্যবহার করেন, যাহাতে এমন ইঙ্গিত বা ধারণা প্রকাশ পায় যে, পণ্যটি উহার প্রকৃত উৎপত্তি স্থল হইতে ভিন্ন ভৌগোলিক এলাকায় উৎপন্ন হইয়াছে এবং উহার ফলে জনসাধারণ পণ্যটির ভৌগোলিক উৎসস্থল সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়; বা
 
 
(খ) কোন ভৌগোলিক নির্দেশক এইরূপভাবে ব্যবহার করেন যে, উহা অন্যায় প্রতিযোগীতার (unfair competition) সৃষ্টি করে এবং কোন নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক হিসাবে চালানো হয় (passing off); বা
 
 
(গ) পণ্যটিতে এইরূপ কোন ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, যাহা আক্ষরিক অর্থে পণ্যটির উৎপত্তির ভূখণ্ড, অঞ্চল বা এলাকা হিসাবে সঠিক, তবে জনসাধারণকে মিথ্যাভাবে এইরূপ ধারণা প্রদান করে যে, পণ্যটির উৎপত্তি সেই ভূখণ্ড, অঞ্চল, বা এলাকায়, যাহার সহিত নিবন্ধিত কোন ভৌগোলিক নির্দেশকটি সংশ্লিষ্ট; বা
 
 
(ঘ) কোন পণ্যের উৎপত্তি ভৌগোলিক নির্দেশক দ্বারা নির্দেশিত স্থানে না হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত পণ্যে উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, অথবা সঠিক উৎপত্তিস্থল উল্লেখ করিয়া পণ্যটিতে অন্য ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, অথবা প্রকৃত উৎপত্তিস্থলের নামের অনুবাদ করিয়া অপর ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, অথবা ভৌগোলিক নির্দেশকের সহিত ‘‘মত’’, ‘‘ধরনের’’, ‘‘অনুকরণে’’ বা অনুরূপ ভাবপ্রকাশক শব্দ ব্যবহার করেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘অন্যায় প্রতিযোগীতা (unfair competition)’ বলিতে এমন প্রতিযোগীতামূলক কার্যকে বুঝাইবে যাহা শিল্প বা বাণিজ্য ক্ষেত্রে সৎ আচরণের পরিপন্থী, এবং নিম্নবর্ণিত কার্য অন্যায় প্রতিযোগীতামূলক কার্য বলিয়া গণ্য হইবে, যথা :-
 
 
(ক) এমন কোন প্রকৃতির কার্য যাহা কোন প্রতিযোগীর কোন প্রতিষ্ঠান, পণ্য, শিল্প বা বাণিজ্যিক কার্যাবলী সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করিতে পারে;
 
 
(খ) ব্যবসা পরিচালনাকালে এমন ধরনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা, যাহা কোন প্রতিযোগীর কোন প্রতিষ্ঠান, পণ্য, শিল্প বা বাণিজ্যিক কার্যাবলীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করিতে পারে; এবং
 
 
(গ) ব্যবসা পরিচালনাকালে কোন ভৌগোলিক নির্দেশকের ব্যবহার, যাহা কোন পণ্যের পরিমাণ, প্রকৃতি, প্রস্ত্তত প্রক্রিয়া, বৈশিষ্ট, সাযুজ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত করিতে পারে।
 
 
(৩) এই ধরায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধিত হইলে, তাহা যদি উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের অনুমোদিত ব্যবহারকারী ব্যতীত, অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক আইনগতভাবে অর্জিত হয়, তাহা হইলে এইরূপ ব্যবহারকারী কর্তৃক উক্ত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ বা প্যাকেটজাতকরণসহ পরবর্তী ব্যবসায়িক লেনদেন, বাজারজাতকরণের পর পণ্যের মান ক্ষতিগ্রস্ত হইবার ক্ষেত্র ব্যতীত, উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক এর লঙ্ঘন বলিয়া গণ্য হইবে না।
 
 
(৪) কোন আগ্রহী ব্যক্তি অথবা আগ্রহী উৎপাদক বা ভোক্তা গ্রুপ কোন ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘন প্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত জেলা আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন, যদি পণ্যের নামকরণ বা উপস্থাপনায় এইরূপ পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়, যাহাতে এইরূপ ইঙ্গিত বা ধারণা প্রকাশ পায় যে, বিবেচ্য পণ্যটি উহার প্রকৃত উৎপত্তিস্থল হইতে ভিন্ন কোন ভৌগোলিক এলাকায় উৎপন্ন হইয়াছে এবং উহা এমনভাবে করা হইয়াছে যে, পণ্যটির ভৌগোলিক উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হইতে পারে।
 
 
(৫) এই ধারার অধীন মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা জারীসহ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং উপযুক্ত মনে করিলে, অপর যে কোন দেওয়ানী প্রতিকার প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৬) কোন ব্যক্তি অনিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘন প্রতিরোধের জন্য অথবা উহা লঙ্ঘনজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য কোন মামলা দায়ের করিতে পারিবেন না।
 
 
(৭) এই আইনের কোন কিছুই, কোন পণ্যকে অন্যের পণ্য হিসাবে চালাইবার (passing off) কারণে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অথবা উহার প্রতিকার লাভের অধিকার ক্ষুণ্ণ করিবে না।

  • 1
    এ আইনের সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি “রেজিস্ট্রার" শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ২২ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs