উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিধি
৬। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিধি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) যে সকল শিশু বিভিন্ন কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ লাভে বঞ্চিত হইয়াছে তাহাদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে সমতুল্য মানের মৌলিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি;
(খ) কিশোর-কিশোরী, যাহারা বিভিন্ন কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় নাই কিংবা বিদ্যালয় হইতে ঝরিয়া পড়িয়াছে, তাহাদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার সমতুল্য মানের মৌলিক শিক্ষার দ্বিতীয় বা বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি;
(গ) শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত সকল বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য সাক্ষরতা এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাঠামোর প্রিভোকেশনাল-২ স্তর পর্যন্ত ভোকেশনাল শিক্ষার মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষতার ব্যবস্থা করা এবং অব্যাহত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি;
(ঘ) আর্থ-সামাজিক ও ভৌগোলিক কারণে অনগ্রসর এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, হাওড়, চর, উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চল, চা-বাগান, বা এইরূপ কোন অনগ্রসর এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী;
(ঙ) দুঃস্থ জনগোষ্ঠী (যেমন: পথশিশু, বস্তিবাসী, বেকার যুব নারী-পুরুষ, স্বল্প আয়ের শ্রমিক ও কর্মজীবী নারী-পুরুষ, ইত্যাদি);
(চ) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও যুব নারী-পুরুষদের জন্য বিশেষ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি।