বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন, ২০১৪

( ২০১৪ সনের ১৫ নং আইন )

Bangladesh Hotels and Restaurants Ordinance, 1982 এর বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতনভাবে আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন), অত:পর পঞ্চদশ সংশোধনী বলিয়া উল্লিখিত, দ্বারা সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বিলুপ্তির ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সনের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ, অতঃপর ‘‘উক্ত অধ্যাদেশসমূহ’’ বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন (ratification and confirmation) সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
 
 
 
যেহেতু সিভিল আপীল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেও উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পায়; এবং
 
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহ ও উহাদের অধীনে প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন ইত্যাদি প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন, জনগণের অর্জিত অধিকার সংরক্ষণ এবং বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত, জনস্বার্থে, উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা প্রদান আবশ্যক; এবং
 
 
 
 
যেহেতু দীর্ঘসময় পূর্বে জারিকৃত উক্ত অধ্যাদেশসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক যথানিয়মে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সময় সাপেক্ষ; এবং
 
 
 
 
যেহেতু পঞ্চদশ সংশোধনী এবং সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের প্রদত্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনী শূন্যতা সমাধানকল্পে সংসদ অধিবেশনে না থাকাবস্থায় আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় তিনি ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ২০১৩ সনের ২নং অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী করেন; এবং
 
 
 
 
যেহেতু সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণকল্পে উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখিবার স্বার্থে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৭ নং আইন) প্রণীত হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া যে সকল অধ্যাদেশ আবশ্যক বিবেচিত হইবে সেইগুলি সকল ষ্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলা ভাষায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত রহিয়াছে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু সরকারের উপরিবর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Bangladesh Hotels and Restaurants Ordinance, 1982 (Ordinance No. LII of 1982) এর বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক নূতনভাবে আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজন;
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সূচি

ধারাসমূহ

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

২। সংজ্ঞা

৩। আইনের প্রাধান্য

৪। নিয়ন্ত্রক

৫। নিয়ন্ত্রকের কার্যাবলী

৬। নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতা

৭। নিবন্ধন ও লাইসেন্স ব্যতিত হোটেল বা রেস্তোরাঁ পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা

৮। হোটেল বা রেস্তোরাঁর নিবন্ধন সনদ ইস্যু, ইত্যাদি

৯। হোটেল ও রেস্তোরাঁর ব্যবসা আরম্ভ, ইত্যাদি

১০। লাইসেন্স, ইত্যাদি

১১। লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্যতা

১২। লাইসেন্সের মেয়াদ, নবায়ন, ইত্যাদি

১৩। হোটেল ও রেস্তোরাঁর তারকামান এবং শ্রেণিবিন্যাস

১৪। হোটেল বা রেস্তোরাঁর মালিকানা হস্তান্তরজনিত কারণে নূতন মালিকের লাইসেন্স গ্রহণ

১৫। নিয়ন্ত্রক কর্তৃক কতিপয় ব্যবসা বা পেশা নিষিদ্ধকরণ

১৬। অতিথি উচ্ছেদ, ইত্যাদি

১৭। নিবন্ধন সনদ বা লাইসেন্স স্থগিতকরণ বা বাতিল

১৮। আপিল

১৯। অপরাধ ও দন্ড

২০। কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

২১। বিচার

২২। অপরাধের অ-আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা

২৩। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত হওয়া

২৪। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২৫। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৬। রহিতকরণ ও হেফাজত