বাজেয়াপ্তকরণ, ইত্যাদি
১৯।(১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, যে ফরমালিন, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন, বা অন্য কোন বস্তু সমন্বয়ে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বাজেয়াপ্তযোগ্য ফরমালিন, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন, বা অন্য কোন বস্তু আটক করা হইলে, যদি-
(ক) উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধীকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন, এবং
(খ) উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধীকে পাওয়া যায়, তাহা হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিবার পূর্বে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ দেওয়ার জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নোটিশ জারী করিতে হইবে, এবং আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে-
(ক) আদেশটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট; এবং
(খ) আদেশটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
(৫) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন দ্রব্যের বাজেয়াপ্তি আদেশ প্রদানের সংগে সংগে দ্রব্যটি সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং তিনি উহা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ধ্বংস করিবার ব্যবস্থা করিবেন।