প্রিন্ট ভিউ

ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫

( ২০১৫ সনের ১৬ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

কাউন্সিলের কর্মবিভাগ, দায়িত্ব, কোড ইত্যাদি

কাউন্সিলের কর্ম বিভাগ
২২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত বিভাগসমূহ সমন্বয়ে কাউন্সিলের কর্ম বিভাগ গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগ (Standards Setting Division);
 
(খ) আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগ (Financial Reporting Monitoring
 
Division);
 
(গ) নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ (Audit Practice Review Division); এবং
 
(ঘ) প্রয়োগকারী বিভাগ (Enforcement Division)”
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিটি বিভাগে একজন করিয়া নির্বাহী পরিচালক থাকিবেন এবং তিনি উক্ত বিভাগের প্রধান হইবেন।
 
 
মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগের দায়িত্ব
২৩। (১) মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগের দায়িত্ব হইবে এই আইনের বিধানাবলী অনুসরণক্রমে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং, মূল্য নির্ধারণ, একচুয়ারিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস, অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন, নবায়ন, উন্নয়ন ও পরিগ্রহণ সম্পর্কে যথোপযুক্ত প্রস্তাব প্রণয়নপূর্বক উহা কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনদ্বারা, প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব
২৪।(১) আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব হইবে এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন প্রণীত যে কোন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস, কোড বা গাইডলাইন জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক যথাযথভাবে অনুসরণ করা হইতেছে কিনা উহা পরিবীক্ষণ, বিশ্লেষণ ও সনাক্ত করা।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধানমালা প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে, উক্ত বিভাগ সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ সংস্থা বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে যে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক গৃহীত কোন কার্যক্রমের বিষয়ে কোন আপত্তি থাকিলে উক্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি বিষয়টি আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের নিকট উত্থাপন করিতে পারিবে।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের সময় আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস, কোড বা গাইডলাইন অনুসৃত হইতেছে না, তাহা হইলে বিষয়টি বিবেচনাক্রমে তৎসম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উক্ত বিভাগ উক্ত বিষয়ে উহার মতামত ও সুপারিশ প্রয়োগকারী বিভাগকে অবহিত করিবে।
 
 
(৫) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগ তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উহার পরিবীক্ষণ কার্য পরিচালনা করিবে।
নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব
২৫। (১) নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
(ক) পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা চর্চা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ;
 
 
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, দৈবচয়নের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক, নিরীক্ষা ফার্ম বা নিরীক্ষককে সহায়তা করিয়া থাকে এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা চর্চার পুনরীক্ষণ;
 
 
(গ) কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক, নিরীক্ষা ফার্ম বা নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা ফার্মকে সহযোগিতা করিয়া থাকে এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রণীত নিরীক্ষা চর্চা কোড বা অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহের প্রতিপালন অথবা উক্ত কোড বা স্ট্যান্ডার্ড এর কোন শর্ত বা বিধান ভঙ্গ হইয়াছে কিনা উহা নির্ধারণ; এবং
 
 
(ঘ) প্রতি ৩ (তিন) বৎসর অন্তর একবার করিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান -
 
 
(অ) এর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা পুনরীক্ষণ;
 
 
(আ) পেশাগত মান বজায় রাখিয়া একাউন্টেন্সি পেশার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছে কিনা তাহা পুনরীক্ষণ; এবং
 
 
(ই) উহার গঠনকারী সনদে (charter) বর্ণিত অন্যান্য জনস্বার্থ বিষয়ক উদ্দেশ্য প্রতিপালন করিয়া জনস্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করিতেছে কিনা উহা পুনরীক্ষণ।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ তৎকর্তৃক প্রস্তুতকৃত পুনরীক্ষণ রিপোর্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে এবং উক্ত বিষয়ে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন আপত্তি থাকিলে উহা সরাসরি উক্ত বিভাগের নিকট দাখিল করিতে পারিবে।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের সময় কোন ব্যর্থতা চিহ্নিত হইলে, নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ বিষয়টি সম্পর্কে উহার মতামত ও সুপারিশ প্রয়োগকারী বিভাগকে অবহিত করিবে এবং উক্ত বিভাগ প্রাপ্ত মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(৫) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, নিরীক্ষা চর্চা পুনরীক্ষণ বিভাগ তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উহার পুনরীক্ষণ কার্য সম্পাদন করিবে।
প্রয়োগকারী বিভাগের কার্যাবলী
২৬। (১) প্রয়োগকারী বিভাগের প্রধান দায়িত্ব হইবে কাউন্সিলের অন্যান্য বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত মতামত ও সুপারিশ বা অন্য কোন আইনের অধীন প্রণীত স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে ব্যর্থতা বা লঙ্ঘন সম্পর্কে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরাসরি কাউন্সিলের নিকট প্রেরিত কোন বিষয় বিবেচনা করা এবং উক্ত বিষয়ের উপর, প্রয়োজনে, তদন্ত পরিচালনাক্রমে এই আইনের অধীন উক্ত লঙ্ঘন বা ব্যর্থতার জন্য সম্ভাব্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ করা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে উহা অবহিতকরণ।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে প্রয়োগকারী বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন প্রয়োগকারী বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাবিত লঙ্ঘন বা ব্যর্থতার অভিযোগ সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে কোন সুপারিশ প্রণয়ন করিবে না।
 
 
নিরীক্ষা চর্চা কোড, প্রবিধান, ইত্যাদি প্রণয়ন
২৭। (১) কাউন্সিল, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক ও জনস্বার্থ সংস্থা কর্তৃক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নিরীক্ষা চর্চা, কোড, গাইডলাইন বা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) পেশাদার একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাহা কিছুই অনুসৃত হউক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন নিরীক্ষা চর্চা কোড, গাইডলাইন বা প্রবিধান প্রণয়ন করা হইলে উহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে এবং প্রাধান্য পাইবে।
 
 
পেশাগত আচরণ ও নৈতিক কোড
২৮। কাউন্সিল, উহার সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ব স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনে পেশাগত আচরণের মান প্রতিষ্ঠাকল্পে, পেশাগত আচরণ ও নৈতিক কোড প্রণয়ন করিতে পারিবে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা
২৯। কাউন্সিল, এই আইনের অধীন উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে, তৎকর্তৃক উপযুক্ত হইবে মর্মে বিবেচিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্য কোন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত সমঝোতা স্মারক বা আইনগত দলিল সম্পাদন করিতে পারিবে।
তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
৩০। কাউন্সিলের সম্মতি ব্যতিরেকে, কোন সদস্য বা উহার কোন কমিটির সদস্য বা কাউন্সিলের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোন তথ্য প্রকাশ করাসহ ব্যক্তিগত বা অন্য কোন ব্যক্তির সুবিধার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার কার্যসম্পাদনের সূত্রে প্রাপ্ত কোন তথ্য ব্যবহার করিতে পারিবেন না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০নং আইন) এর বিধান অনুসারে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের কোন কিছুই বাধাগ্রস্ত হইবে না।
 
 
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘তথ্য প্রকাশ’’ বা ‘‘তথ্যের ব্যবহার’’ অর্থে কাউন্সিল বা কাউন্সিলের সদস্য বা কমিটির কোন সদস্য বা কাউন্সিলের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা কোন রেকর্ড বা দলিলে অন্য কোন ব্যক্তির প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা অন্তর্ভুক্ত হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs