বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ১ নং আইন )

The Bangladesh Cha Sramik Kallyan Fund Ordinance, 1986 রহিতক্রমে উহা পুনঃ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন), অতঃপর ‘‘পঞ্চদশ সংশোধনী’’ বলিয়া উল্লিখিত, দ্বারা সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বিলুপ্তির ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সনের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ, অতঃপর ‘‘উক্ত অধ্যাদেশসমূহ’’ বলিয়া উল্লিখিত, অনুমোদন ও সমর্থন (ratification and confirmation) সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহ কার্যকারিতা হারাইয়াছে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু সিভিল আপীল নং ৪৮/২০১১ তে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ার ফলশ্রুতিতে উক্ত অধ্যাদেশসমূহ কার্যকারিতা হারাইয়াছে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহ এবং উহাদের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ -আইন, ইত্যাদি প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ এবং বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত, জনস্বার্থে, উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতাপ্রদান করা আবশ্যক; এবং
 
 
 
 
 
 
যেহেতু দীর্ঘ সময় পূর্বে জারীকৃত উক্ত অধ্যাদেশসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক যথাসময়ে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সময় সাপেক্ষে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু পঞ্চদশ সংশোধনী এবং সুপ্রীম-কোর্টের আপীল বিভাগের প্রদত্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনী শূন্যতা সমাধানকল্পে সংসদ অধিবেশনে না থাকাবস্থায় আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় তিনি ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ২০১৩ সনের ২ নং অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিয়াছেন; এবং
 
 
 
 
যেহেতু সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখিবার স্বার্থে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৭নং আইন) প্রণীত হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া যে সকল অধ্যাদেশ আবশ্যক বিবেচিত হইবে সেইগুলি সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং
 
 
 
 
যেহেতু সরকারের উপরি বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে The Bangladesh Cha Sramik Kallyan Fund Ordinance, 1986 (Ordinance No. LXII of 1986) শীর্ষক অধ্যাদেশটি রহিতক্রমে উহার বিষয়বস্তুর আলোকে নূতনভাবে আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :

সূচি

ধারাসমূহ