প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ২ নং আইন )

বাহিনীর সদস্যের শাস্তি
৯। (১) বাহিনীর কোনো সদস্য অবাধ্য, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা বা শিথিলতা বা অন্য কোনো কার্যের দ্বারা নিজেকে কর্তব্য পালনে অযোগ্য প্রতিপন্ন করিবার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, কারণ উল্লেখপূর্বক, নিম্নবর্ণিত যে কোনো এক বা একাধিক শাস্তি প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:
 
 
(ক) বরখাস্ত;
 
 
(খ) অপসারণ;
 
 
(গ) বাধ্যতামূলক অবসর;
 
 
(ঘ) পদাবনমিত;
 
 
(ঙ) পদোন্নতি স্থগিতকরণ;
 
 
(চ) অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসরের জন্য জ্যেষ্ঠতা স্থগিতকরণ;
 
 
(ছ) অনূর্ধ্ব ১ (এক) মাসের বেতন ও ভাতাদি বাজেয়াপ্তকরণ;
 
 
(জ) বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ;
 
 
(ঝ) অনূর্ধ্ব ১ (এক) মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা;
 
 
(ঞ) অনূর্ধ্ব ১৪ (চৌদ্দ) দিনের কোয়ার্টার গার্ডে আটক রাখাসহবা ব্যতীত ড্রিল (Drill), এক্সট্রা গার্ড (Extra Guard), ফ্যাটিগ (Fatigue) বা অন্য ডিউটি প্রদান; বা
 
 
(ট) তিরস্কার।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অনুসারে বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকালে তদন্ত করিবার প্রয়োজন হইলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তাহার চাকুরির সনদ অকার্যকর থাকিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে-
 
 
(ক) চীফ কমান্ড্যান্ট কর্তৃক আদেশ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ; এবং
 
 
(খ) কমান্ড্যান্ট বা সহকারী কমান্ড্যান্ট কর্তৃক আদেশ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, চীফ কমান্ড্যান্ট এর নিকট;
 
 
আপিল করা যাইবে।
 
 
(৪) এই ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs