প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৭ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

বিধি-নিষেধ, অপসারণ, দণ্ড, ইত্যাদি

ইমারত নির্মাণ, জলাধার খনন, পাহাড় বা টিলা কাটা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধি-নিষেধ
২৪। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোন ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা জলাধার খনন, জলাধার হইতে বালি উত্তোলন বা পুনঃখনন কিংবা পাহাড় বা টিলা কাটা যাইবে না।
 
 
(২) Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এর বিধান অনুযায়ী কোন ইমারত বা অন্য কোন প্রকার স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ বা জলাধার খননের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে এবং ফিসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং এইরূপ আবেদন পাইবার পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মহাপরিকল্পনার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ, পুকুর বা জলাধার খনন বা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে সকল শর্তে উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুমতি প্রদান করা হইয়াছিল উহা প্রতিপালন করা হয় নাই বা ভঙ্গ করা হইয়াছে বা ভঙ্গ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা হইলে তিনি উক্ত অনুমতি বাতিল করিতে পারিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ইমারত বা স্থাপনার সাধারণ মেরামত কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন করিয়া যে কোন ধরনের ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা জলাধার খননের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৫) অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, পর্যটন এলাকায় মহাপরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে কোন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে উহা ধারা ৪৮ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
 
 
(৬) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs