প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৯ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

বাহিনীর গঠন, পরিচালনা, ইত্যাদি

বাহিনী ও উহার গঠন
৪। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নামে একটি আধা-সামরিক (para-military) বাহিনী থাকিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ অনুসারে শৃঙ্খলা বাহিনী যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে একটি শৃঙ্খলা বহিনী হইবে।
 
 
(৩) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, বাহিনীর বিভিন্ন পদের শ্রেণিবিন্যাস এবং উক্ত পদসমূহের সংখ্যা, সময় সময়, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত পদসমূহে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রদান করিতে হইবে।
 
কোস্ট গার্ড বাহিনী
৫। (১) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত সংখ্যক নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য এবং এই আইনের অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) কর্মকর্তা -
 
 
(১) মহাপরিচালক,
 
 
(২) অতিরিক্ত মহাপরিচালক,
 
 
(৩) উপ-মহাপরিচালক,
 
 
(৪) কোস্ট গার্ড সচিব,
 
 
(৫) জাজ এ্যাডভোকেট জেনারেল,
 
 
(৬) প্রধান পরিদর্শক ও মান নিয়ন্ত্রক,
 
 
(৭) পরিচালক,
 
 
(৮) অতিরিক্ত পরিচালক,
 
 
(৯) উপ-পরিচালক,
 
 
(১০) রিজিওনাল কমান্ডার,
 
 
(১১) জোনাল কমান্ডার,
 
 
(১২) কমান্ডিং অফিসার/ কমান্ড্যান্ট,
 
 
(১৩) নির্বাহী কর্মকর্তা/ ডেপুটি কমান্ড্যান্ট; এবং
 
 
(১৪) অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা (অসামরিক)।
 
 
ব্যাখ্যা : অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা (অসামরিক) বলিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রণীত চাকরি বিধি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য অসামরিক কর্মকর্তাকে বুঝাইবে।
 
 
(খ) জুনিয়র কর্মকর্তা -
 
 
(১) মাস্টার চীফ পেটি অফিসার,
 
 
(২) সিনিয়র চীফ পেটি অফিসার,
 
 
(৩) চীফ পেটি অফিসার, এবং
 
 
(৪) পেটি অফিসার ;
 
 
(গ) পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য -
 
 
(১) লিডিং সেইলর,
 
 
(২) অ্যাবল সেইলর, এবং
 
 
(৩) অর্ডিনারি সেইলর ; এবং
 
 
(ঘ) এই আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) ও (৪) অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
 
 
(২) যুদ্ধাবস্থা চলাকালীন সময়ে কিংবা সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন দ্বারা অপারেশন ও প্রশিক্ষণের জন্য বা অপর কোন জরুরি বা বিশেষ কারণে কোন কর্তব্যকে সক্রিয় কর্তব্য ঘোষণা করা হইলে উক্ত কর্তব্যের জন্য যাহাদিগকে কোস্ট গার্ড বাহিনীকে সহায়তার জন্য তলব করা হয় তাহাদিগকেও উক্ত সহায়তাকালীন সময়ের জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর কর্মকর্তা বা সদস্য হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং উক্তরূপভাবে নিয়োজিত থাকাকালে কোন কর্মকর্তা বা সদস্য চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিলে বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত হইবেন।
 
 
অধিভুক্ত ব্যক্তি
৬। (১) এই আইনে অধিভুক্ত ব্যক্তি অর্থে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা :
 
 
(ক) কর্মকর্তা (বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ;
 
 
(খ) জুনিয়র কর্মকর্তা (প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্ষেত্রে উক্ত বাহিনীর বিধান অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক নিযুক্ত পেটি অফিসার হইতে মাস্টার চীফ পেটি অফিসার সমমর্যাদা সম্পন্ন পদবিধারী সদস্য) ;
 
 
(গ) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক নিযুক্ত এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিধান অনুযায়ী প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্য ;
 
 
(ঘ) অসামরিক কোস্ট গার্ড সদস্য যিনি এই আইনের অধীন এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন কিংবা সক্রিয় কর্তব্যে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি বা বাহিনীর কোন সম্পত্তি বা দাপ্তরিক বিষয় সম্পর্কিত কোন অপরাধে অভিযুক্ত হন;
 
 
(ঙ) অন্য কোনভাবে অধিভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও যাহাদের বিরুদ্ধে -
 
 
(অ) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বা উহার কোন জাহাজ, ঘাঁটি, স্থাপনা, আউটপোস্ট বা অবস্থান স্থল বা অর্পিত কোন দায়িত্বের স্থানে দায়িত্ব পালনকালে বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কোন জাহাজ, ঘাঁটি বা অনুরূপ সম্পর্কিত কোন কার্যক্রম পরিচালনাকালে কৃত অপরাধের জন্য Official Secrets Act, 1923 (Act No. XIX of 1923) এর অধীনে অভিযোগ আনয়ন করা হয় ; অথবা
 
 
(আ) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তিকে তাহার কর্তব্য বা সরকারের প্রতি তাহার আনুগত্য প্রদর্শন করা হইতে বিরত থাকিতে প্ররোচনা করিবার বা প্ররোচনা করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিবার অপরাধে অভিযোগ আনয়ন করা হয়।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক)-(ঘ) তে উল্লিখিত প্রত্যেক ব্যক্তি যতদিন না চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ, চাকরিচ্যুত, অপসারিত, বরখাস্ত বা অব্যাহতি লাভ করেন ততদিন পর্যন্ত অধিভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি যতদিন না তাহার অপরাধের নিষ্পত্তি হইবে ততদিন পর্যন্ত অধিভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
বাহিনীর সদর দপ্তর
৭। ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর’ নামে ঢাকায় বাহিনীর একটি সদর দপ্তর থাকিবে এবং বিভাগীয় বা জেলা শহরে রিজিয়ন সদর দপ্তর এবং কোন জেলা বা উপজেলায় জোনাল সদর দপ্তর থাকিতে পারিবে।
মহাপরিচালক, ইত্যাদি
৮। (১) বাহিনীর প্রধান হিসাবে একজন মহাপরিচালক থাকিবেন এবং তিনি উক্ত বাহিনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন।
 
 
(২) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ নৌবাহিনী হইতে, প্রেষণে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিযুক্ত হইবেন।
 
 
বাহিনীর তত্ত্বাবধান, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ
৯। (১) বাহিনী সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকিবে এবং মহাপরিচালক, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলীর সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত সাধারণ আদেশ ও নির্দেশ অনুসারে বাহিনী পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করিবেন।
 
 
(২) মহাপরিচালক, কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং পদবিধারী কোস্ট গার্ড সদস্যগণ এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলী দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs