বিদ্রোহ
২৯। এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি -
(ক) বাহিনীর অভ্যন্তরে বা অন্য কোন শৃঙ্খলা বাহিনীতে কোন বিদ্রোহ সংঘটনের সূচনা করেন, বিদ্রোহের প্ররোচনা প্রদান করেন, বিদ্রোহের কারণ সৃষ্টি করেন অথবা অন্য কোন ব্যক্তির সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন অথবা বিদ্রোহে যোগদান করেন, অথবা
(খ) কোন বিদ্রোহে উপস্থিত থাকিয়া উহা দমনের জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, অথবা
(গ) কোন বিদ্রোহ সম্পর্কে জ্ঞাত থাকিয়া বা উক্তরূপ কোন বিদ্রোহের অস্তিত্ব রহিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিয়া অথবা উক্তরূপ কোন বিদ্রোহের কারণ ঘটানোর কথা জ্ঞাত থাকিয়া অথবা কোন বিদ্রোহ, উত্তেজনা বা যড়যন্ত্রের কথা যুক্তিযুক্তভাবে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও যুক্তিসঙ্গত বিলম্ব ব্যতিরেকে তাহার অধিনায়ক বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত না করেন, অথবা
(ঘ) বাহিনীর অভ্যন্তরে অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাহার কর্তব্য বা আনুগত্য হইতে বিরত রাখিবার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন,
তাহা হইলে তিনি কোস্ট গার্ড আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ব্যাখ্যা।- ‘‘বিদ্রোহ’’ অর্থ অধিভুক্ত দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কর্তৃক সম্মিলিতভাবে বাহিনী বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা বা উক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, প্রতিহত করা বা উৎখাত করা অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাহাদের বৈধ বা অবৈধ অসন্তুষ্টি সম্মিলিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকাশ করা বা উক্তরূপ কার্যকরণের কোন প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।