প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৯ নং আইন )

নবম অধ্যায়

আদালত কর্তৃক অনুসরণীয় পদ্ধতি

অভিযুক্ত অপ্রকৃতিস্থ হইবার ক্ষেত্রে বিধান
৯৩। (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোস্ট গার্ড আদালতের বিচারের পর্যায়ে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপ্রকৃতিস্থ হইবার কারণে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থন অযোগ্য অথবা উক্ত ব্যক্তি আনীত অভিযোগে উল্লিখিত কার্যটি সংঘটিত করিলেও অপ্রকৃতিস্থতার কারণে কৃতকর্মের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করিতে অপারগ ছিলেন অথবা ইহা অনুধাবন করিতে অক্ষম ছিলেন যে উহা অন্যায় বা আইনের পরিপন্থি, সেই ক্ষেত্রে আদালত তদানুসারে তাহার রায় লিপিবদ্ধ করিবে।
 
 
(২) কোস্ট গার্ড আদালতের সভাপতি অথবা সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের ক্ষেত্রে বিচার পরিচালনাকারী কর্মকর্তা অবিলম্বে কার্যধারা অনুমোদনকারী কর্মকর্তাকে বা যে ক্ষেত্রে সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না, সেই ক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি অবহিত করিবেন।
 
 
(৩) এই ধারার বিধান অনুযায়ী, ক্ষেত্রমত, কার্যধারা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা যদি রায়টি অনুমোদন না করেন, তাহা হইলে মূল অভিযোগের বিচার সম্পন্ন করিবার জন্য বিষয়টি একই আদালত বা অন্য কোন কোস্ট গার্ড আদালতের বিচারের জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে নির্ধারিত কর্মকর্তা যাহার নিকট সামারি কোস্ট গার্ড আদালতের রায় সম্পর্কে অবহিত করা হইয়াছে এবং কার্যধারা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা অনুরূপ রিপোর্টকৃত বিষয়ে রায় অনুমোদন করিবার পর অভিযুক্তকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অন্তরীণ রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করিবেন।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধান অনুসারে রিপোর্ট প্রাপ্তির পর সরকার অভিযুক্তকে পাগলা গারদে আটক অথবা অন্য কোন উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ জিম্মায় রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs