প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ১৮ নং আইন )

ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
১৩। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক প্রধান একাডেমিক ও নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং পদাধিকারবলে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন।
 
 
(২) ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার দায়িত্ব পালনে চ্যান্সেলরের নিকট দায়ী থাকিবেন।
 
 
(৩) ভাইস-চ্যান্সেলর এই আইন, সংবিধি, বিধি এবং প্রবিধানের বিধানাবলী বিশ্বস্ততার সহিত পালন ও কার্যকর করিবেন এবং তদ্দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার কোন সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তিনি উহার সদস্য না হইলে উহাতে কোন ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না।
 
 
(৫) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভা আহবান করিবেন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
 
(৬) এই আইন, সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেটের নিকট দায়ী থাকিবেন।
 
 
(৭) ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রয়োজন মনে করিলে, তাঁহার কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
 
 
(৮) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বরখাস্ত বা সাময়িক বরখাস্ত এবং তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবেন।
 
 
(৯) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর ভাইস-চ্যান্সেলরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(১০) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন শূন্য পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে অনধিক ৬(ছয়) মাসের জন্য, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষক এবং প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ও কোষাধ্যক্ষ ব্যতীত অন্য কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং, প্রয়োজনে, উক্তরূপ নিয়োগের মেয়াদ অনধিক ৬(ছয়) মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয় নাই এমন কোন পদে উক্তরূপ কোন নিয়োগ করা যাইবে না:
 
 
আরো শর্ত থাকে যে, বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে নিয়োগ নিয়মিত করা না হইলে উক্ত মেয়াদ শেষে নিয়োগ বাতিল করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(১১) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণত যে কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিতেন, সেই কর্মকর্তা, কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন।
 
 
(১২) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সিদ্ধান্তের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর ঐক্যমত পোষণ না করিলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার পরবর্তী নিয়মিত সভায় পুনর্বিবেচনার জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট ফেরৎ পাঠাইতে পারিবেন এবং যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার পুনর্বিবেচনার পর ভাইস-চ্যান্সেলর উহার সহিত ঐক্যমত পোষণ না করেন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং এই ক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs