প্রিন্ট

26/12/2024
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৩৪ নং আইন )

অষ্টম অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড, ইত্যাদি

অবৈধ বাধা সৃষ্টি, ইত্যাদির দণ্ড
২৮। কোন ব্যক্তি আইনসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে ইচ্ছাকৃতভাবে-
 
 
(ক) কোন সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করিলে;
 
 
(খ) কোন সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য যে কোন স্থাপনায় যানবাহন চলাচলের রাস্তা অথবা সারি চিহ্নিত করিবার জন্য অথবা উহার যাত্রীদের নিরাপত্তা অথবা অনুরূপ স্থাপনা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে স্থাপিত বা প্রদর্শিত কোন সীমানা অথবা বিভক্তি রেখা, প্রাচীর অথবা বেড়া অথবা যে কোন চিহ্ন, প্রতীক অথবা সংকেত ধ্বংস, ক্ষতি অথবা নষ্ট করিলে;
 
 
(গ) কোন সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যে কোন স্থাপনা অথবা উহার নিকটে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপিত অথবা প্রদর্শিত কোন প্রকার বিজ্ঞপ্তি আথবা লিখিত বিবরণ অপসারণ, ধ্বংস, বিকৃত অথবা কোন প্রকারে নিশ্চিহ্ন করিলে; অবা
 
 
(ঘ) সারি ভঙ্গ করিয়া অথবা আগে অতিক্রমের প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে টোল ঘরের নিকটে জট সৃষ্টি করিলে অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
বিধি ও প্রবিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
২৯। যে সকল ক্ষেত্রে এই আইনে কোন জরিমানা আরোপের বিধান নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে কোন বিধি বা প্রবিধানে এই মর্মে বিধান করা যাইবে যে, উক্ত বিধি বা প্রবিধান লঙ্ঘন বা ভঙ্গ করা হইলে অথবা উক্ত বিধি বা প্রবিধানের অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত বা প্রদত্ত কোন আদেশ অমান্য করা হইলে, অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা যাইবে।
পরওয়ানা ব্যতিরেকে গ্রেপ্তার বা অপসারণ
৩০। (১) কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় কোন ব্যক্তিকে ধারা ২৮ এর অধীন কোন অপরাধ সংঘটন অথবা কোন বিধি বা প্রবিধানের কোন দণ্ডযোগ্য বিধান লঙ্ঘন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত কোন আদেশ অমান্য করিতে দেখিলে, পরওয়ানা ব্যতিরেকে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যে কোন স্থাপনায় যাহাই হউক না কেন, যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উহা হইতে কেবল অপসারণ করাই যথেষ্ট বিবেচিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইহার অধিক অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় বিবেচিত না হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করিয়া, উক্ত স্থাপনা হইতে তাহাকে অপসারণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করিয়া তাহাকে অপসারণ করা যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অধীন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি যদি চাহিবা মাত্র তাহার নাম ও ঠিকানা প্রদান করেন এবং এইরূপ বিশ্বাসযোগ্য হয় যে, তাহার প্রদত্ত নাম ও ঠিকানা সঠিক অথবা যদি তাহার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত করা যায়, তাহা হইলে প্রয়োজনে হাজির হইবেন মর্মে মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে, কোন প্রকার জামানত ব্যতীত, তাহাকে মুক্তি প্রদান করা যাইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে যদি উপ-ধারা(২) এর অধীন মুক্তি প্রদান করা না যায়, তাহা হইলে তাহার বিষয়ে আইনসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাহাকে তৎক্ষণাৎ নিকটতম পুলিশ স্টেশনে সোপর্দ করিতে হইবে।
 
 
(৪) এই ধারার অধীন মুচলেকা প্রদানের ক্ষেত্রে The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Chapter XLΙΙ এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।
শুনানি ব্যতীত মামলা নিস্পত্তির জন্য বিশেষ কার্যধারা
৩১। (১) এই আইন অথবা বিধি বা প্রবিধানের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ কোন আদালত কর্তৃক বিচারার্থে গৃহীত হইলে উক্ত আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে জারীতব্য সমনে এইমর্মে উল্লেখ থাকিবে যে, তিনি-
 
 
(ক) আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারিবেন এবং তাহার ব্যক্তিগত উপস্থিতি আবশ্যক নহে; এবং
 
 
(খ) সমনে উল্লিখিত নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আদালতের বরাবরে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রেরিত একটি পত্রের মাধ্যমে অথবা আদালতের বরাবরে দাখিলকৃত আর্জির মাধ্যমে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই মর্মে স্বীকার করিতে পারিবেন যে, তাহার বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ তিনি সংঘটন করিয়াছেন এবং সমনে উল্লিখিত আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত অর্থদণ্ড আদালতে প্রদান করিতে অথবা আদালতের বরাবরে প্রেরণ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া স্বীকার করিলে এবং সমনে উল্লিখিত পরিমাণ টাকা প্রদান অথবা প্রেরণ করিয়া থাকিলে উক্ত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে তদ্‌তিরিক্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করিলে এবং সমনে উল্লিখিত পরিমাণ টাকা সমনে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে প্রদান অথবা প্রেরণ না করিলে তাহার বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
ঘটনাস্থলে জরিমানা আরোপ করিবার ক্ষমতা
৩২। (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদের নিম্নে নহে এইরূপ কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যদি দেখিতে পান যে, কোন সেতু, টানেল, টোল সড়ক বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় অথবা উহার কোন সংরক্ষিত এলাকায়, কোন ব্যক্তি বিধি বা প্রবিধানের অধীন অনধিক ০১(এক) হাজার টাকা জরিমানাযোগ্য কোন অপরাধ করিয়াছেন অথবা করিতেছেন, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনা জরিমানা আরোপ করিবার পূর্বে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিতরূপে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করিয়া একটি নোটিশ হাতে হাতে প্রদান করিতে হইবে, যথা:-
 
 
(ক) তদ্‌কৃত অপরাধের বিবরণ;
 
 
(খ) তদ্‌দ্বারা প্রদেয় জরিমানার পরিমাণ;
 
 
(গ) যেরূপে এবং যে সময়সীমার মধ্যে উক্ত জরিমানা পরিশোধ করিতে হইবে তাহার উল্লেখ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি যে অপরাধ করিয়াছেন উহা স্বীকার করেন কিনা এবং উহাতে নির্দেশিত জরিমানা পরিশোধে তিনি সম্মত কিনা এই মর্মে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রদানের নির্দেশনা।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া স্বীকার করিলে এবং উক্ত নোটিশে উল্লিখিত জরিমানা পরিশোধে সম্মত থাকিলে তাহা নোটিশে লিপিবদ্ধ করিয়া উহাতে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত জরিমানা উক্ত নোটিশে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত জরিমানা তাহার নিকট হইতে সরকারি পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করিয়াছেন মর্মে অস্বীকার করিলে এবং উক্ত নোটিশে বর্ণিত জরিমানা প্রদানে সম্মত না হইলে তাহার বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে।
বিচারার্থে গ্রহণ এবং বিচার
৩৩। (১) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত কোন প্রতিবেদন ব্যতিরেকে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ আদালত বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
 
 
(২) এই আইনের অধীন অপরাধ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Chapter XXΙΙ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে সংক্ষিপ্তভাবে বিচার করা যাইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs