প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৩৪ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

কর্তৃপক্ষের তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ, ইত্যাদি

কর্তৃপক্ষের তহবিল
১৫। (১) কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান ও ঋণ;
 
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(গ) সরকারের অনুমোদনক্রমে গৃহীত বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ;
 
 
(ঘ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ড, শেয়ার বা সনদ বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
(ঙ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদায়কৃত টোল ও ফি;
 
 
(চ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ হইতে আয়;
 
 
(ছ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
(জ) স্থাপনা এবং ভূসম্পত্তি ইজারা বা ভাড়া হইতে আয়; এবং
 
 
(ঝ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অন্য কোন আয়।
 
 
(২) তহবিলের সকল অর্থ কর্তৃপক্ষের নামে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ হইতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি পরিশোধসহ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।
 
 
ব্যাখ্যা। এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘তফসিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।
 
 
(৩) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে।
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষ তহবিলের অর্থ বা উহার অংশবিশেষ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৫) কর্তৃপক্ষ তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ যে কোন তফসিলি ব্যাংক বা সকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদি বা স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন সঞ্চয় স্কীমে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৬) কোন অর্থ বৎসরে কর্তৃপক্ষের ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষের হবিলেত উদ্বৃত্ত অর্থ থাকিলে সরকারের নির্দেশ অনুসারে উহার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ সরকারের কোষাগারে জমা করিতে হইবে।
ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
১৬। কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা বা দাতা সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।
বাজেট
১৭। কর্তৃপক্ষ প্রতিবৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৮। (১) কর্তৃপক্ষ উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকা ও কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কর্তৃপক্ষের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিতে পারিবে।
প্রতিবেদন, ইত্যাদি
১৯। (১) প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্তির ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তদ্‌কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সন্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উহার কার্যাবলী বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য, রিটার্ন, বিবরণী, প্রাক্কলন, পরিসংখ্যান অথবা অন্য কোন তথ্য চাহিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
কমিটি
২০। কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব পালনে সহায়তার জন্য যে কোন সদস্য এবং কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন এবং এইরূপ কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs