প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৩৪ নং আইন )

অষ্টম অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড, ইত্যাদি

পরওয়ানা ব্যতিরেকে গ্রেপ্তার বা অপসারণ
৩০। (১) কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় কোন ব্যক্তিকে ধারা ২৮ এর অধীন কোন অপরাধ সংঘটন অথবা কোন বিধি বা প্রবিধানের কোন দণ্ডযোগ্য বিধান লঙ্ঘন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত কোন আদেশ অমান্য করিতে দেখিলে, পরওয়ানা ব্যতিরেকে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সেতু, টানেল বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যে কোন স্থাপনায় যাহাই হউক না কেন, যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উহা হইতে কেবল অপসারণ করাই যথেষ্ট বিবেচিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইহার অধিক অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় বিবেচিত না হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করিয়া, উক্ত স্থাপনা হইতে তাহাকে অপসারণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করিয়া তাহাকে অপসারণ করা যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অধীন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি যদি চাহিবা মাত্র তাহার নাম ও ঠিকানা প্রদান করেন এবং এইরূপ বিশ্বাসযোগ্য হয় যে, তাহার প্রদত্ত নাম ও ঠিকানা সঠিক অথবা যদি তাহার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত করা যায়, তাহা হইলে প্রয়োজনে হাজির হইবেন মর্মে মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে, কোন প্রকার জামানত ব্যতীত, তাহাকে মুক্তি প্রদান করা যাইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে যদি উপ-ধারা(২) এর অধীন মুক্তি প্রদান করা না যায়, তাহা হইলে তাহার বিষয়ে আইনসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাহাকে তৎক্ষণাৎ নিকটতম পুলিশ স্টেশনে সোপর্দ করিতে হইবে।
 
 
(৪) এই ধারার অধীন মুচলেকা প্রদানের ক্ষেত্রে The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Chapter XLΙΙ এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs