প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬

( ২০১৬ সনের ৩৪ নং আইন )

অষ্টম অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড, ইত্যাদি

ঘটনাস্থলে জরিমানা আরোপ করিবার ক্ষমতা
৩২। (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদের নিম্নে নহে এইরূপ কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যদি দেখিতে পান যে, কোন সেতু, টানেল, টোল সড়ক বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় অথবা উহার কোন সংরক্ষিত এলাকায়, কোন ব্যক্তি বিধি বা প্রবিধানের অধীন অনধিক ০১(এক) হাজার টাকা জরিমানাযোগ্য কোন অপরাধ করিয়াছেন অথবা করিতেছেন, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনা জরিমানা আরোপ করিবার পূর্বে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিতরূপে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করিয়া একটি নোটিশ হাতে হাতে প্রদান করিতে হইবে, যথা:-
 
 
(ক) তদ্‌কৃত অপরাধের বিবরণ;
 
 
(খ) তদ্‌দ্বারা প্রদেয় জরিমানার পরিমাণ;
 
 
(গ) যেরূপে এবং যে সময়সীমার মধ্যে উক্ত জরিমানা পরিশোধ করিতে হইবে তাহার উল্লেখ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি যে অপরাধ করিয়াছেন উহা স্বীকার করেন কিনা এবং উহাতে নির্দেশিত জরিমানা পরিশোধে তিনি সম্মত কিনা এই মর্মে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রদানের নির্দেশনা।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া স্বীকার করিলে এবং উক্ত নোটিশে উল্লিখিত জরিমানা পরিশোধে সম্মত থাকিলে তাহা নোটিশে লিপিবদ্ধ করিয়া উহাতে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত জরিমানা উক্ত নোটিশে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত জরিমানা তাহার নিকট হইতে সরকারি পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করিয়াছেন মর্মে অস্বীকার করিলে এবং উক্ত নোটিশে বর্ণিত জরিমানা প্রদানে সম্মত না হইলে তাহার বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs