বিশেষ বিধান
৫। (১) বিআরটি নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ বা এতদ্সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণাধীন বা অধিগ্রহণ হইতে পারে এইরূপ ভূমির উপর জনস্বার্থ বিরোধী উদ্দেশ্যে নির্মিত বা নির্মাণাধীন ঘর-বাড়ি বা অন্য কোনো প্রকার স্থাপনার জন্য বা একই উদ্দেশ্যে কোনো ঘর-বাড়ি বা স্থাপনার বা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হইলে উক্তরূপ পরিবর্তনের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন না।
(২) ভূমি অধিগ্রহণ আইনের ধারা ৮ এর অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণকালে ডেপুটি কমিশনার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, বিআরটি এর জন্য অধিগ্রহণাধীন কোনো ভূমির উপর নির্মিত বা নির্মাণাধীন কোনো ঘর-বাড়ি বা অন্য কোনো প্রকার স্থাপনা জনস্বার্থ বিরোধী উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হইয়াছে বা নির্মাণাধীন আছে বা একই উদ্দেশ্যে অন্য কোনভাবে আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য কোনো ঘর-বাড়ি বা স্থাপনা বা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হইয়াছে,তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ ঘর-বাড়ি বা স্থাপনা পরিবর্তনকে উক্ত আইনের অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বিবেচনা করিবেন না এবং এইরূপ ক্ষতিপূরণের দাবী, যদি থাকে, তিনি উহা প্রত্যাখ্যান করিবেন।
(৩) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষতিপূরণের দাবি প্রত্যাখ্যানের কারণে সংক্ষুব্ধ হইলে, প্রত্যাখ্যান আদেশ জারির ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কমিশনারের নিকট উক্ত প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।
(৪) কমিশনার, উপ-ধারা (৩) এর অধীন আপিল আবেদন প্রাপ্তির ৫(পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিলের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করিবেন বা উপযুক্ত কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করাইবেন এবং অতঃপর আপিলকারীকে শুনানীর সুযোগ প্রদানপূর্বক অনধিক ১০(দশ) কার্যদিবসের মধ্যে, আপিলের উপর তাঁহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা যদি আপিল নামঞ্জুর করা হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ সিদ্ধান্ত প্রদানের পর উহা জারির ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার মধ্যে আপিলকারী সংশ্লিষ্ট ঘর-বাড়ি বা স্থাপনা নিজ খরচ ও দায়িত্বে সরাইয়া নিবেন, অন্যথায় ডেপুটি কমিশনার উক্ত ঘর-বাড়ি বা স্থাপনা বাজেয়াপ্ত করিবেন এবং প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করিবেন।
(৭) উপ-ধারা (২) এর অধীন ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক ক্ষতিপূরণের দাবি প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি উপ-ধারা (৩) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল দায়ের না করেন, তাহা হইলে উক্ত সময়ের পরবর্তী ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টার মধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট ঘর-বাড়ি বা স্থাপনা সরাইয়া নিবেন, অন্যথায় ডেপুটি কমিশনার উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৮) এই আইনের অধীন অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলের কার্যালয়ে ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত তারিখ ও সময়সূচি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধ করিবেন।
(৯) বিআরটি নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ বা এতদ্সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণাধীন কোনো ভূমির শ্রেণি জনস্বার্থ বিরোধী উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করা হইলে, উক্তরূপ পরিবর্তনের জন্য উক্ত ভূমির কোনো ক্ষতি হইলে, ডেপুটি কমিশনার সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিকের নিকট হইতে উক্ত ক্ষতি বাবদ যথাযথ পরিমাণ ক্ষতিপূরণ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদায় করিতে পারিবেন।
(১০) ভূমি অধিগ্রহণ আইনের ধারা ৩ এর অধীন নোটিশ জারির অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক অধিগ্রহণাধীন ভূমির যে ভিডিও চিত্র গ্রহণ ও সংরক্ষণ করা হইয়াছে, উক্ত ভিডিও চিত্র, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন গৃহীত ও সংরক্ষিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ভিডিও চিত্রের ভিত্তিতে উক্ত ভূমির ক্ষতিপূরণ নির্ধারণপূর্বক উহা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
(১১) এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বা গৃহীত কোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো আদালত কোনো মামলা বা দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না, বা গৃহীত বা গৃহীতব্য কোনো কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো আদালত কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না।