সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) ‘‘অনিবাসী’’ বলিতে Income Tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984) এর section 2(42) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী non-resident-কে বুঝাইবে;
(২) ‘‘ইউনিয়ন কমিটি’’ অর্থ ধারা ২৫ এর অধীন গঠিত ইউনিয়ন জীববৈচিত্র্য বিষয়ক ব্যবস্থাপনা ও তদারক কমিটি;
(৩) ‘‘উপজেলা কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৯ এর অধীন গঠিত উপজেলা জীববৈচিত্র্য বিষয়ক ব্যবস্থাপনা ও তদারক কমিটি;
(৪) ‘‘কমিটি’’ অর্থ, ক্ষেত্রমত, জাতীয় কমিটি, কারিগরি কমিটি, সিটি কর্পোরেশন কমিটি, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, পৌরসভা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি, দল, সমিতি বা উপ-কমিটি;
(৫) ‘‘কালটিভার’’ অর্থ এমন প্রকারের উদ্ভিদ, যাহার বিবর্তন হইয়াছে এবং চাষাবাদের মাধ্যমে টিকিয়া আছে, এবং চাষাবাদের প্রয়োজনে যাহাদের বংশ বৃদ্ধি করা হইতেছে;
(৬) ‘‘কারিগরি কমিটি’’ অর্থ ধারা ১১ এর অধীন গঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কারিগরি কমিটি;
(৭) ‘‘গবেষণা’’ অর্থ জীবসম্পদের উপর সমীক্ষা বা পদ্ধতিগত অনুসন্ধান অথবা জীবের বা উহার উপজাতের বা প্রতিবেশ ব্যবস্থার উপর গবেষণা;
(৮) ‘‘জাতীয় কমিটি’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক জাতীয় কমিটি;
(৯) ‘‘জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’’ অর্থ ধারা ৩১ এর অধীন প্রণীত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা;
(১০)‘‘জেলা কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৬ এর অধীন গঠিত জেলা জীববৈচিত্র্য বিষয়ক ব্যবস্থাপনা ও তদারক কমিটি;
(১১) ‘‘জীববৈচিত্র্য’’ অর্থ জীবজগতের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্নতা, যাহা সামগ্রিকভাবে পরিবেশের অংশ এবং স্থলজ, জলজ বা সামুদ্রিক পরিবেশে বিদ্যমান প্রজাতিগত বিভিন্নতা (Species Diversity), কৌলিগত বিভিন্নতা (Genetic Diversity) ও প্রতিবেশগত বিভিন্নতাও (Ecosystem Diversity) ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১২) ‘‘জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্যগত স্থান’’ অর্থ ধারা ৩২ এর অধীন জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্যগত স্থান হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(১৩) ‘‘জীবসম্পদ’’ অর্থ উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীব বা উহাদের অংশবিশেষ, বংশগত উপাদান ও উপজাতের (মূল সংযোজিত পণ্য বা উপকরণ ব্যতীত) অন্তর্গত কৌলিসম্পদ (Genetic Resources) অথবা কোনো প্রতিবেশ ব্যবস্থার অন্তর্গত এইরূপ কোনো জীবজ উপাদান (Biotic Component), মানুষের নিকট যাহার প্রকৃত বা সম্ভাব্য ব্যবহার বা ব্যবহারিক মূল্য রহিয়াছে, তবে মানব জীন উপাদান উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(১৪) ‘‘জীব-সমীক্ষা’’ বা ‘‘জীব-ব্যবহার’’ অর্থ কোনো উদ্দেশ্যে প্রজাতি ও উপ-প্রজাতি নির্বিশেষে জীবসম্পদের যে কোনো উপাদান, নির্যাস, কৌলিগত বৈশিষ্ট্য বা কোষ-কলার বৈশিষ্ট্য সংগ্রহ, নিরূপণ বা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কার্য;
(১৫) ‘‘টেকসই ব্যবহার’’ অর্থ জীববৈচিত্র্যের উপাদানসমূহের এইরূপ ব্যবহার পদ্ধতি, যাহা বা যে সকল কার্যক্রম জীববৈচিত্র্যের দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়া থাকিবার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার হুমকি সৃষ্টি না করিয়া বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মিটাইবার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়;
(১৬) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ৩৬ এর অধীন গঠিত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তহবিল;
(১৭) ‘‘ন্যায্য হিস্যা বণ্টন’’ অর্থ ধারা ৩০ এর বিধান অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য সম্পদের সুফলের ন্যায়সঙ্গত বণ্টন;
(১৮) ‘‘পৌরসভা কমিটি’’ অর্থ ধারা ২২ এর অধীন গঠিত পৌরসভা জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা ও তদারক কমিটি;
(১৯) ‘‘বাণিজ্যিক ব্যবহার’’ অর্থ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জীবসম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরি বা উৎপাদন যেমন: ঔষধ, শিল্পে ব্যবহার্য এনজাইম, খাদ্যের সুগন্ধি, মানবদেহে ব্যবহার্য সুগন্ধি ও প্রসাধনী, রং, ইমালসিফাইয়ার, ওলিওরেজিন্স, প্রভৃতিসহ অণুজীব, শস্য, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদের কৌলিগত পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে অন্য জীব হইতে নির্যাস বা জিন সংগ্রহ করা;
(২০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(২১) ‘‘বিপন্ন প্রজাতি’’ অর্থ সেই সকল জীবসম্পদ বা উহাদের প্রজাতি বা উপ-প্রজাতি, যাহা মহাবিপন্ন নয় কিন্তু অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন এবং অদূর ভবিষ্যতে প্রকৃতি হইতে বিলুপ্ত হইবার আশঙ্কা রহিয়াছে;
(২২) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোনো ধরনের কোম্পানি, সংঘ, সমিতি, অংশীদারি কারবার, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাসহ উহাদের প্রতিনিধিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৩) ‘‘ল্যান্ড রেইস’’ অর্থ আদিম কালটিভার, যাহা প্রাচীনকাল হইতে কৃষক ও তাহাদের বংশধরদের দ্বারা বন্য অবস্থা হইতে মাঠে প্রসার লাভ হইতেছে;
(২৪) ‘‘সিটি কর্পোরেশন কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৩ এর অধীন গঠিত সিটি কর্পোরেশন জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা ও তদারক কমিটি; এবং
(২৫) ‘‘সংস্থা’’ অর্থে যে কোনো ধরনের কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার বা একাধিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সমন্বয়ে গঠিত সংঘ, সমিতি, সংগঠন বা সংস্থাও অন্তর্ভুক্ত হইবে।