কৌলিসম্পদ বা জীবসম্পদ হইতে প্রাপ্ত সুফলের ন্যায্য হিস্যা বণ্টন
৩০। (১) জাতীয় কমিটি, এই আইনের অধীন কোনো আবেদন অনুমোদনের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে কৌলিসম্পদ বা জীবসম্পদ হইতে প্রাপ্ত সুফলের ন্যায্য হিস্যা বন্টন নিশ্চিত করিবে, যথা:-
(ক) আবেদনকারী কর্তৃক জীবসম্পদ, কৌলিসম্পদ বা উহাদের উপজাত দ্রব্যাদি অথবা তদ্সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবন এবং উক্তরূপ সম্পদ ব্যবহার বিষয়ক জ্ঞান অধিকারে লইবার বা ব্যবহারের বিষয়ে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সম্পদের আইনসঙ্গত দাবিদারগণকে প্রাক-অবহিতকরণের মাধ্যমে তাহাদের সম্মত শর্তাধীনে;
(খ) দাবিদার সুনির্দিষ্ট থাকিলে তাহার অনুকূলে মেধাসম্পদের মালিকানা মঞ্জুর করা, অন্যথায় যৌথভাবে মেধাসম্পদের মালিকানা মঞ্জুর;
(গ) স্থানীয় সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর মধ্যকার সুফলভোগীদের অনুকূলে জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রযুক্তির হস্তান্তর নিশ্চিতকরণ;
(ঘ) উৎপাদন, গবেষণা বা প্রকল্পের বিষয় যেন সুফলের দাবিদারগণের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হয় তাহা নিশ্চিতকরণ;
(ঙ) জীবসম্পদের উন্নয়ন, জীব-সমীক্ষা বা জীব-ব্যবহার বিষয়ক গবেষণা বা তদ্সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী বা তাহাদের সংগঠন এবং সুফলের দাবিদার ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে সম্পৃক্তকরণ; এবং
(চ) জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী, জ্ঞানধারণকারী এবং উদ্ভাবনকারীদেরকে, জাতীয় কমিটির বিবেচনা অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা অন্য কোনো সুবিধা প্রদান।
(২) সুফলের ন্যায্য হিস্যা বণ্টনের ক্ষেত্রে জাতীয় কমিটি আবেদনকারী ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে কোনো অর্থ আদায়ের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, জাতীয় কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, প্রয়োজনে, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।