জীববৈচিত্র্য বিষয়ক জাতীয় কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ইত্যাদি
৩১। (১) জীবসম্পদের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সরকার জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং, সময় সময়, হালনাগাদ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনায় অন্যান্যের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:-
(ক) জীববৈচিত্র্য সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল চিহ্নিতকরণ ও পর্যবেক্ষণ;
(খ) ইন-সিটু (In-Situ) এবং এক্স-সিটু (Ex-Situ) সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও নিয়মাবলী; এবং
(গ) জীববৈচিত্র্য বিষয়ে গবেষণামূলক ও শিক্ষা-সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
(৩) জীববৈচিত্র্য সম্পদে সমৃদ্ধ কোনো এলাকায় উক্ত সম্পদের অতিরিক্ত আহরণ, অপব্যবহার বা অবহেলার ফলে উক্ত সম্পদ অবক্ষয় বা অবলুপ্তির দিকে যাইতেছে মর্মে সরকারের নিকট যুক্তিসঙ্গত ও সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকিলে, সরকার উক্তরূপ অবক্ষয় বা অবলুপ্তি রোধ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করিবে।
(৪) জীবসম্পদের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার উহার পরিকল্পনা, কার্যক্রম ও নীতির মধ্যে সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।
(৫) কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে কোনো এলাকার জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা থাকিলে উক্ত ক্ষতি হ্রাস বা পরিহারের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকে উক্ত এলাকার জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করিয়া পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ বা আগাম অনুসন্ধান পরিচালনা করিতে হইবে।
(৬) সরকার স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীববৈচিত্র্য বিষয়ক প্রচলিত জ্ঞানের স্বীকৃতি প্রদান ও সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারায়-
(ক) ‘‘ইন-সিটু (In-Situ) সংরক্ষণ’’ অর্থ বাস্তুসংস্থান ও প্রাকৃতিক আবাসভূমির সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসকারী প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণ, যাহাতে উক্ত প্রজাতি টিকিয়া থাকিবার সক্ষমতা অর্জন করিতে পারে এবং গৃহপালিত বা আবাদকৃত প্রজাতির ক্ষেত্রে যে পারিপার্শ্বিক পরিবেশে সংশ্লিষ্ট উদ্ভিদ বা প্রাণী উহার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অর্জন করিয়াছে, উহাকে সেই পরিবেশের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ করা বা ফিরাইয়া আনা; এবং
(খ) ‘‘এক্স-সিটু (Ex-Situ) সংরক্ষণ’’ অর্থ জীববৈচিত্র্য সম্পদ বা উহার অংশবিশেষকে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক আবাসস্থল হইতে অন্যত্র সংরক্ষণ করা।