প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৭

( ২০১৭ সনের ২ নং আইন )

ষষ্ঠ অধ্যায়

জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ঐতিহ্যগত স্থান ঘোষণা ও জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ, ইত্যাদি

বিপন্ন প্রাণী বা জীবসম্পদের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিকারী কার্যক্রম প্রহণ নিষিদ্ধকরণ, ইত্যাদি
৩৩। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের বিধানকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, দেশের কোনো জীবসম্পদ বা উহাদের কোনো প্রজাতিকে বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(২) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত বিপন্ন প্রজাতির আহরণ বন্ধ ও উহাদের যথাযথ সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কোনো ব্যক্তি এইরূপ কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন না, যাহা -
 
 
(ক) বিপন্ন প্রজাতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে বা ফেলিতে পারে;
 
 
(খ) সঙ্কটাপন্ন বা বিপন্ন বাস্তুসংস্থানিক সম্প্রদায়ের (ecological community) প্রতিবেশগত বৈশিষ্ট্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে বা ফেলিতে পারে; অথবা
 
 
(গ) রামসার কনভেনশন অনুযায়ী জলাভূমি ঘোষিত এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বৈশিষ্ট্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে বা ফেলিতে পারে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার বিধি দ্বারা বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিকারী কার্যের তালিকা নির্ধারণ করিবে।
 
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় -
 
 
(ক) ‘‘প্রতিবেশগত বৈশিষ্ট্য’’ অর্থ রামসার কনভেনশনে উল্লিখিত ecological character; এবং
 
 
(খ) ‘‘রামসার কনভেনশন’’ অর্থ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ইরানের রামসারে গৃহীত Convention on Wetlands of International Importance, especially as Waterfowl Habitat ।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs