প্রিন্ট

26/12/2024
ক্যান্টনমেন্ট আইন, ২০১৮

ক্যান্টনমেন্ট আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ২৭ নং আইন )

অধ্যায়-১৬

বিবিধ ও সাধারণ বিধানাবলি

কতিপয় আইন ও বিধি-বিধান ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত এলাকায় সম্প্রসারণ
২০৭। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত এবং তৎসংলগ্ন যে কোনো এলাকায়, যে কোনরূপ সীমাবদ্ধতা বা সংশোধনীসহ বা ব্যতীত, ক্যান্টনমেন্টের জন্য প্রযোজ্য কোনো আইন বা বিধি-বিধানকে, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রযোজ্য করিতে পারিবে।
 
(২) অনিবার্য প্রয়োজন ব্যতিরেকে, সরকার উপরোক্ত মতে ক্যান্টনমেন্ট বহির্ভূত এবং তৎসংলগ্ন কোনো এলাকায় ক্যান্টনমেন্টের জন্য প্রযোজ্য কোনো আইন বা বিধি-বিধানকে প্রযোজ্য করিবে না।
মোবাইল কোর্ট আইনের প্রয়োগ
২০৮। (১) এই আইনের অধীন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ (যদি তাহারা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রেষণে নিযুক্ত হইয়া থাকেন), এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আবশ্যক হইলে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিতে পারিবেন, যদি এই আইনের অধীন অপরাধসমূহকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তপশিলভুক্ত অপরাধ করা হয়।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল দায়ের করা আবশ্যক হইলে, আপিলটি, সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বা, ক্যান্টনমেন্টের বৃহত্তর অংশ, যে জেলার অন্তর্গত সেই জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারাধীন হইবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ
২০৯। (১) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৬ নং আইন) এর বিধানাবলি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রযোজ্য হইবে।
 
(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসম্পন্ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
(৩) বোর্ড ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করিয়াও ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিধানাবলি প্রয়োগ করিতে পারিবে অথবা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিধানাবলি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
ইমারত নির্মাণ ও আইনের প্রয়োগ
২১০। (১) ক্যান্টনমেন্ট এলাকার অভ্যন্তরে এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কোনো সংলগ্ন এলাকায়, বোর্ডের অনুমোদন বা ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো স্থায়ী ভবন, সরকারি বা বেসরকারি, সামরিক বা অসামরিক, নির্মাণ করা যাইবে না।
 
(২) Building Construction Act, 1952 (Act No. II of 1953) এবং তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের বিধানাবলি, যতদূর প্রসঙ্গিক, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হইবে।
 
(৩) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও ছাড়পত্র ব্যতিরেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো ভবন নির্মাণ করা যাইবে না।
মাদকজাতীয় দ্রব্যাদির নিয়ন্ত্রণ
২১১। (১) ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানায় মাদক ও মাদকজাতীয় দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ২০ নং আইন) এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে এবং বোর্ড উক্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করিবে।
 
(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসম্পন্ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
(৩) বোর্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করিয়াও ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সীমানার মধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর বিধানাবলি প্রয়োগ করিতে পারিবে অথবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর বিধানাবলি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
সংলগ্ন এলাকার ব্যাপ্তি, ইত্যাদি
২১২। (১) ক্যান্টনমেন্ট সীমানার বাহিরে সীমানার সন্নিহিত ১০০ (একশত) মিটার এলাকাকে সংলগ্ন এলাকা হিসাবে গন্য করা হইবে এবং উক্ত সংলগ্ন এলাকায় ৪০ (চল্লিশ) ফুটের অধিক উচ্চতার কোনো ভবন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নির্মাণ করা যাইবে না।
 
(২) ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদের ভাণ্ডার থাকিলে উক্ত স্থানের সীমানা হইতে ৩০০ (তিনশত) মিটার পর্যন্ত এলাকাকে সংলগ্ন এলাকা হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং উক্ত সংলগ্ন এলাকায় ক্যান্টনমেন্টের সীমানার বাহিরে কোনো ভবন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নির্মাণ করা যাইবে না।
 
(৩) ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তা বা অন্যবিধ প্রয়োজনে বোর্ড বা সামরিক কর্তৃপক্ষ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করিতে বা টহল দিতে পারিবে।
 
(৪) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই ধারায় বর্ণিত সংলগ্ন এলাকার সীমা, আবশ্যক ক্ষেত্রে, বর্ধিত বা হ্রাস করিতে পারিবে।
সামরিক আবাসিক প্রকল্প
২১৩। (১) ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন অথবা অন্য কোনো এলাকায় যদি সরকারিভাবে তদুদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বা আইনানুগভাবে অন্য কোনো উপায়ে ভূমি গ্রহণ করিয়া উহাতে আবাসিক প্রকল্প প্রস্তুত করা হয় এবং কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারগণকে, সীমিত সংখ্যক প্রতিরক্ষা খাতভূক্ত অসামরিক অফিসারসহ বা ব্যতিরেকে, উক্ত প্রকল্পে প্লট বা ফ্ল্যাট চিরস্থায়ী ইজারার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উহা সামরিক আবাসিক প্রকল্প হিসাবে গণ্য হইবে।
 
(২) এই ধারার অধীন সামরিক আবাসিক প্রকল্প এবং উহার সংশ্লিষ্ট এলাকা ক্যান্টনমেন্ট বা ক্যান্টনমেন্টের অংশ হইবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো সামরিক আবাসিক প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌর-সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদান করা হইবে। তবে ক্যান্টনমেন্ট হইতে বিচ্ছিন্ন এবং দূরবর্তী সামরিক আবাসিক প্রকল্প এলাকায় সংগত কারণে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক কোনো পৌর-সুবিধাদি প্রদান করা সম্ভব না হইলে, সেই ক্ষেত্রে নিকটবর্তী স্থানীয় সরকারের পৌর ব্যবস্থা হইতে উক্ত সুবিধা, প্রাপ্তি সাপেক্ষে, প্রযোজ্য নির্দিষ্ট করের বিনিময়ে গ্রহণ করা যাইবে।
 
(৩) কোনো সামরিক আবাসিক প্রকল্পে পৌর-সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদান করা হইলে, প্রদত্ত পৌর-সুবিধাদির বিনিময়ে প্রাপ্য করসমূহের পরিমাণ, যতদূর সম্ভব, অসামরিক পৌর-কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিকটতম অসামরিক আবাসিক এলাকার জন্য অনুরূপ বিষয়ে ধার্য পৌর-করের সমপরিমাণ হইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এ উল্লিখিত সামরিক আবাসিক প্রকল্পে চিরস্থায়ী ইজারার ভিত্তিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাটের মূল গ্রহীতার মালিকানা অপরিবর্তিত থাকিলে, কিংবা দান বা হেবা মূলে কোনো এক বা একাধিক সম্ভ্যাব্য উত্তরাধিকারীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হইলে কিংবা মূল গ্রহীতার মৃত্যুর কারণে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাট উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীগণের উপর বর্তিত হইলে, তিনি বা, ক্ষেত্রমত, তাহারা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত স্বাভাবিক করসমূহের অনূর্ধ্ব ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা প্রাপ্ত হইতে পারিবেন।
 
আরও শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এ উল্লিখিত সামরিক আবাসিক প্রকল্পে চিরস্থায়ী ইজারার ভিত্তিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট বা ফ্ল্যাট যদি কোনো কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মচারী মূল গ্রহীতার নিকট হইতে খরিদ করিয়া মালিকানা অর্জন করেন, তাহা হইলে, তাহার মালিকানা অপরিবর্তিত থাকিলে, কিংবা দান বা হেবা মূলে কোনো এক বা একাধিক সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীকে তিনি উক্ত প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করিলে কিংবা তাহার মৃত্যুর কারণে উক্ত প্লট বা ফ্ল্যাট উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তাঁহার উত্তরাধিকারীগণের উপর বর্তিত হইলে, তিনি বা,ক্ষেত্রমত, তাঁহারাও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত স্বাভাবিক করসমূহের অনূর্ধ্ব ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা প্রাপ্ত হইতে পারিবেন।
 
(৪) সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, উপধারা (৩) এর অধীন ধার্যকৃত পৌর-করসমূহ প্রতি ৩ (তিন) বৎসর অন্তর পুনর্মূল্যায়নপূর্বক, আবশ্যক ক্ষেত্রে পুনঃনির্ধারণ করিয়া, মহাপরিচালকের মতামত এবং সরকারের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক, গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করিবে; এবং বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করিবে।
 
(৫) সামরিক আবাসিক প্রকল্প প্রণয়নের সময় জমির সাশ্রয়ী ব্যবহারের প্রতি সর্বাধিক গূরুত্বারোপ করিতে হইবে এবং সীমিত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করিয়া ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করিতে হইবে অথবা জমির একটি প্লট অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে যৌথভাবে বরাদ্দ প্রদান করিয়া বহুতল ভবন নির্মাণ করিতে উৎসাহিত করিতে হইবে।
 
(৬) সামরিক আবাসিক প্রকল্পের প্লট এবং ফ্ল্যাট মালিকগণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনে আবাসন পরিষদ গঠন করিতে পারিবেন এবং উক্ত পরিষদ ইহার ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পাদনের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত সামরিক আবাসিক প্রকল্প সম্পর্কীত কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট দায়বদ্ধ থাকিবে।
সামরিক আবাসিক প্রকল্পের সম্পত্তি হস্তান্তর
২১৪। কোনো সামরিক আবাসিক প্রকল্পে কোনো প্লট বা উক্ত প্লটে নির্মিত কোনো ফ্ল্যাট, উত্তরাধিকার মূলে স্বত্ব হস্তান্তরিত হইবার ক্ষেত্র ব্যতীত, মহাপরিচালকের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর করা যাইবে না।
জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা
২১৫। এই আইনের কোনো অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৬। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এই আইনের যে কোনো বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
উপ-আইন প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৭। বোর্ড, এই আইনে বোর্ডকে প্রদত্ত দায়িত্ব পালন বা ক্ষমতা প্রয়োগ বিষয়ে অধিকতর বিধান করা প্রয়োজন মনে করিলে, এই আইন বা সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধির কোনো বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক না হওয়া সাপেক্ষে এবং সরকারের পূর্বানোমোদন গ্রহণপূর্বক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-আইন প্রণয়ন করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২১৮। (১) Cantonments Act, 1924 (Act No II of 1924), অতঃপর ‘‘রহিত আইন’’ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
 
(২) উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
 
(ক) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ক্যান্টনমেন্ট ও বোর্ডসমূহ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবে;
 
(খ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডসমূহের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং সিকিউরিটিসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তিতে যাবতীয় অধিকার ও স্বার্থ, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং এতদসংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ সংশ্লি¬ষ্ট বোর্ডসমূহের দখল ও অধিকারে পূর্ববৎ বলবৎ থাকিবে;
 
(গ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডসমূহের সকল দায়-দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা, উহাদের পক্ষে বা উহাদের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসমূহের দায়-দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা, উহাদের পক্ষে বা সহিত সম্পাদিত চুক্তি পূর্ববৎ বলবৎ থাকিবে;
 
(ঘ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বোর্ডসমূহ কর্তৃক বা উহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা সূচিত অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা পূর্ববৎ বলবৎ থাকিবে; এবং
 
(ঙ) উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, চুক্তি, আইনগত দলিল বা চাকরির শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ডসমূহের সকল অফিসার ও কর্মচারী এই আইনের অধীন বোর্ডের অফিসার ও কর্মচারী হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীন চাকরিতে ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী উহা পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে সংশ্লিষ্ট বোর্ডসমূহের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন।
 
(৩) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত রহিত আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, উপ-আইন, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, নোটিশ, বিভাগীয় কার্যধারা, বোর্ডের কোনো অফিসার বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে গৃহীত কোনো শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা, কার্যধারা বা অন্য কোনো কার্যক্রম উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে এবং এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন কৃত, প্রণীত, জারিকৃত, দায়েরকৃত, পেশকৃত, মঞ্জুরিকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২১৯। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs