প্রিন্ট ভিউ

ক্যান্টনমেন্ট আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ২৭ নং আইন )

অধ্যায়-৪

ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড

ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার
১৭। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টের জন্য একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করিতে পারিবে; এবং প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জন্য একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার থাকিবেন।
 
(২) এই আইন কার্যকর হইবার সময় বিদ্যমান বোর্ডসমূহ এই আইনের অধীনে গঠিত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উপরোক্ত বোর্ডসমূহে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডার, বোর্ডের সভাপতি হিসাবে এবং সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট এরিয়া কমান্ডার এই আইনে বর্ণিত এরিয়া কমান্ডার হিসাবে অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
 
(৩) সরকার, আবশ্যক মনে করিলে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটির জন্য বোর্ড গঠন করিতে পারিবে এবং সেক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে (mutatis mutandis), উক্তরূপ বোর্ডের জন্যও প্রযোজ্য হইবে।
 
(৪) প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জনবল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইবে।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আইনগত মর্যাদা
১৮। বোর্ড যে নামে ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে পরিচিত সেই নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাসহ একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকারের সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং যাহা উক্ত নামে মামলা করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে।
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা গণ্য হওয়া
১৯। (১) কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা উহার অধিকাংশ অংশ কোনো সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত হইলে, বা কোনো ক্যান্টনমেন্ট যে সিটি কর্পোরশন বা পৌরসভার নিকটতম, উক্ত ক্যান্টনমেন্টের বোর্ড উক্ত সিটি কর্পোরেশনের অনুরূপ, যথাক্রমে, একটি সিটি কর্পোরেশন বা একটি পৌরসভা হিসাবে গণ্য হইবে, এবং সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অধীন এলাকায় নাগরিকগণকে যেরূপ পৌর সুবিধাদি প্রদান করা হয়, বোর্ড যতদূর সম্ভব, সেইরূপ সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দাগণকে প্রদান করিবে।
 
(২) সরকার কোনো নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটি বা ইহাদের কোনো অংশবিশেষের জন্য স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন আবশ্যক মনে না করিলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত নৌ ঘাঁটি বা বিমান ঘাঁটির বা ইহাদের তদ্রুপ অংশ-বিশেষের পৌর সুবিধাদি নিকটস্থ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদান করা হইবে।
 
(৩) কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কোনো অংশ কোনো এলাকায় প্রতিরক্ষা বিভাগীয় ভূমিতে অবস্থান করিলে এবং উক্ত এলাকার জন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করা না হইলে, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বোর্ড ঐ এলাকায় প্রয়োজনীয় পৌর সুবিধা প্রদান করিবে।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিয়োগ
২০। (১) প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
 
(২) এক্সিকিউটিভ অফিসারের বেতন ও ভাতাদি সরকারের তহবিল হইতে বহন করা হইবে।
 
(৩) এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং বোর্ডের সচিব হইবেন, কিন্তু বোর্ড বা বোর্ডের কোনো কমিটির সভায় তাহার আলোচনায় অংশগ্রহণের অধিকার থাকিলেও কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের সাময়িক দায়িত্ব
২১। কোনো বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারের অনুপস্থিতিতে, মহাপরিচালক, অন্য কোনো বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারকে, প্রথমোক্ত বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারের সাময়িক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
ক্যান্টনমেন্টের শ্রেণিবিন্যাস
২২। সরকার, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আয়তন, জনসংখ্যা ও গুরুত্ব বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত মনে করিলে, ক্যান্টনমেন্টসমূহকে নিম্নরূপ অনধিক তিনটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করিতে পারিবে; যথা:-
 
(ক) প্রথম শ্রেণি,
 
(খ) দ্বিতীয় শ্রেণি, এবং
 
(গ) তৃতীয় শ্রেণি।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন
২৩। (১) প্রথম শ্রেণির ক্যান্টনমেন্টসমূহে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
 
(ক) স্টেশন কমান্ডার, যিনি পদাধিকারবলে বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;
 
(খ) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট;
 
(গ) হেলথ অফিসার;
 
(ঘ) এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার;
 
(ঙ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ৩ (তিন) জন সামরিক অফিসার; এবং
 
(চ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ২ (দুই) জন অসামরিক বাসিন্দা।
 
(২) দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যান্টনমেন্টসমূহে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
 
(ক) স্টেশন কমান্ডার, যিনি পদাধিকারবলে বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;
 
(খ) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট;
 
(গ) হেলথ অফিসার;
 
(ঘ) এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার;
 
(ঙ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ২ (দুই) জন সামরিক অফিসার; এবং
 
(চ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ১ (এক) জন অসামরিক বাসিন্দা।
 
(৩) তৃতীয় শ্রেণির ক্যান্টনমেন্টসমূহে নিম্নবর্ণিত সদস্যগণের সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
 
(ক) স্টেশন কমান্ডার, যিনি পদাধিকারবলে বোর্ডের সভাপতিও হইবেন;
 
(খ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ২ (দুই) জন সামরিক অফিসার; এবং
 
(গ) এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, মনোনীত ১ (এক) জন অসামরিক বাসিন্দা।
 
(৪) যখন, কোনো ক্যান্টনমেন্টে একাধিক বাহিনী অবস্থান করে, তখন, উক্ত ক্যান্টনমেন্ট সম্পর্কিত এই ধারার অধীন গঠিত বোর্ডে অনুরূপ প্রত্যেক বাহিনীর সামরিক অফিসারের প্রতিনিধিত্ব রাখিতে হইবে, এবং এক্ষেত্রে, তদুদ্দেশ্যে, এই ধারার অধীন গঠিত যে কোনো শ্রেণির ক্যান্টনমেন্ট সম্পর্কিত বোর্ডে তদতিরিক্ত অনধিক ২ (দুই) জন সামরিক অফিসারকে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।
সদস্যের কার্যকাল
২৪। (১) বোর্ডের একজন মনোনীত সদস্যের কার্যকাল, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর হইবে।
 
(২) বোর্ডের পদাধিকারবলে মনোনীত কোনো সদস্যের কার্যকাল তিনি যে পদের কারণে অনুরূপ সদস্য পদে বহাল হইয়াছেন উক্ত পদে বহাল থাকা পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে।
 
(৩) যে সদস্যের কার্যকাল সমাপ্ত হইয়াছে তিনি, ভিন্নভাবে অযোগ্য না হইলে, পুনঃমনোনীত হইতে পারিবেন।
 
(৪) স্টেশন কমান্ডারের উপস্থিতিতে বোর্ডের সকল সভা অনুষ্ঠিত হইবে, তবে, তাহার অনুপস্থিতে, বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত করিবার প্রয়োজন হইলে, তাহার স্থলে স্টেশন কমান্ডারের সাময়িক দায়িত্ব পালনকারী সামরিক অফিসার বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তদুদ্দেশ্যে তিনি বোর্ডের অস্থায়ী সভাপতি বলিয়া গণ্য হইবেন।
মনোনীত সদস্যের পদত্যাগ
২৫। (১) যদি বোর্ডের কোনো মনোনীত সদস্য পদত্যাগ করিবার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার পদত্যাগপত্র, বোর্ডের সভাপতির মাধ্যমে, এরিয়া কমান্ডারের নিকট অগ্রবর্তী করিবেন।
 
(২) এরিয়া কমান্ডার পদত্যাগপত্র অনুমোদন করিলে পদত্যাগকারী সদস্যের আসন শূন্য হইবে ।
সভাপতির দায়িত্ব
২৬। প্রত্যেক বোর্ডের সভাপতির নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
 
(ক) বোর্ডের সকল সভা আহ্বান করা এবং উহাতে সভাপতিত্ব করা এবং উহার কার্যক্রম পরিচালনা করা;
 
(খ) বোর্ডের আর্থিক ও নির্বাহী প্রশাসনের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করা;
 
(গ) এই আইন দ্বারা বা তদধীন সভাপতির উপর আরোপিত বা অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করা; এবং
 
(ঘ) এই আইন দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধ, সীমাবদ্ধতা ও শর্তাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরাসরি দায়ী থাকা।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্ব
২৭। (১) এক্সিকিউটিভ অফিসার এই আইন দ্বারা বা তদধীন তাহার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করিবেন এবং বোর্ডের সকল তথ্যাদি হেফাজতের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং বোর্ডের বা উহার যে কোনো কমিটি বা এই আইনের অধীন গঠিত যে কোনো সালিস কমিটির কার্যবিবরণী সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদনের ব্যবস্থা করিবেন, যাহা উক্ত সংস্থাসমূহ যথাক্রমে তাহার উপর অর্পণ করিতে পারে, এবং ক্যান্টনমেন্ট প্রশাসন সম্পর্কিত বোর্ডের প্রত্যেক চাহিদা পূরণ করিবেন।
 
(২) এক্সিকিউটিভ অফিসার বোর্ডের সকল তহবিলের আয়ন-ব্যয়ন অফিসারের দায়িত্ব পালন করিবেন।
এক্সিকিউটিভ অফিসারের বিশেষ ক্ষমতা
২৮। (১) জরুরি পরিস্থিতিতে, এক্সিকিউটিভ অফিসার যে কোনো কার্য বাস্তবায়ন বা দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যাহাতে সাধারণত বোর্ডের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং যাহা, তাহার মতে, তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন বা সম্পাদন জনস্বার্থে বা জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় এবং তিনি এইরূপ কার্য বাস্তবায়ন বা সম্পাদনের ব্যয় বোর্ডের তহবিল হইতে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
(২) উপধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, এক্সিকিউটিভ অফিসার-
 
(ক) সভাপতির পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, এই ধারার অধীন দাপ্তরিক কার্যসম্পাদন করিবেন না;
 
(খ) এই ধারার অধীন বোর্ডের নির্দেশ লঙ্ঘন করিয়া এমন কোনো নির্দিষ্ট কার্য বা দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করিবেন না, যাহা করা বা না-করা সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে; এবং
 
(গ) এই ধারার অধীন গৃহীত পদক্ষেপ এবং উহার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বোর্ডের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন।
কতিপয় অফিসারের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা
২৯। (১) এই আইন দ্বারা বা এই আইনের অধীন অর্পিত দায়িত্ব পালনের সীমিত উদ্দেশ্য সাধনকল্পে বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারগণের, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা থাকিবে এবং তাহারা তদুদ্দেশ্যে Code ofCriminal Procedure, 1898 (Act No V of 1898) এর section 10 এর অধীন নিযুক্ত ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের অনুরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার সময় উক্ত কার্যবিধিতে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন।
 
(২) কোনো অফিসার এই ধারার অধীন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না, যদি না তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রেষণে উক্ত পদে নিযুক্ত হইয়া থাকেন।
 
(৩) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার ক্ষেত্রে, আবশ্যক হইলে, একজন অফিসার সামরিক কিংবা অসামরিক পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
সদস্যগণের অপসারণ
৩০। (১) এরিয়া কমান্ডার ধারা ২৩ এর অধীনে মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন, যিনি-
 
(ক) একাদিক্রমে ৩ (তিন)টির অধিক বোর্ডের সভায় অনুপস্থিত থাকেন এবং এইরূপ অনুপস্থিতির জন্য বোর্ডের নিকট সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করিতে অপারগ হন; বা
 
(খ) সরকারের মতে, বোর্ডের সদস্য হিসাবে চরমভাবে নিজ পদের অপব্যবহার করিয়াছেন, যাহার ফলে উক্ত সদস্য পদে বহাল থাকা জনস্বার্থ পরিপন্থি হইয়া পড়িয়াছে; বা
 
(গ) সংশ্লি¬ষ্ট বোর্ডের কোনো কার্য সম্পাদন বা মালামাল সরবরাহের জন্য বোর্ডের সহিত চুক্তি করেন বা অন্য কোনোভাবে ইহার কর্মকান্ডের সহিত তাহার আর্থিক স্বার্থ জড়িত থাকে।
 
(২) একজন অপসারিত সদস্য তাহার অপসারণের পর ৩(দিন) বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুনঃমনোনয়নের জন্য যোগ্য হইবেন না।
বোর্ডের কর্মচারীগণ সরকারি কর্মচারী গণ্য হইবেন
৩১। (১) বোর্ডের প্রত্যেক স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মচারী Penal Code, 1860 (Act No XLV of 1860)-এ সংজ্ঞায়িত অর্থে সরকারি কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
(২) সরকারি কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আচরণ ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত সকল বিধি-বিধান একইভাবে বোর্ডের অফিসার ও কর্মচারীগণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
বোর্ডের সভা
৩২। (১) বোর্ড প্রতি ২ (দুই) মাসে অন্তত ১ (এক) বার সভায় মিলিত হইবে এবং উক্ত সভা সম্পর্কে এই আইনের অধীন প্রণীত উপ-আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিতে হইবে।
 
(২) সভাপতি, প্রয়োজন মনে করিলে অথবা বোর্ডের সদস্যদের অন্যূন এক-তৃতীয়াংশের লিখিত দাবির প্রেক্ষিতে, যে কোনো সময় বিশেষ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন।
 
(৩) যে কোনো সভা পরবর্তী দিবস বা যে কোনো অনুবর্তী দিবস পর্যন্ত মুলতবি করা যাইবে এবং একটি মুলতবি সভাও একইভাবে মুলতবি করা যাইবে।
নিষ্পত্তিযোগ্য কার্যাবলি
৩৩। এই আইনের অধীন বোর্ড কর্তৃক প্রণীত যে কোনো উপ-আইন সাপেক্ষে, যে কোনো সময় সভায় যে কোনো কার্য নিষ্পন্ন করা যাইবে:
 
তবে শর্ত থাকে যে, কর আরোপণ, রহিতকরণ বা সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় সভায় নিষ্পত্তি করা হইবে না, যদি না উক্ত বিষয় ও তারিখ নির্ধারণপূর্বক সভা অনুষ্ঠিত হইবার অন্যূন ৭ (সাত) দিন পূর্বে প্রত্যেক সদস্যের নিকট নোটিশ প্রেরণ করা হয়।
সভার কোরাম
৩৪। বোর্ডের সভায় কোনো কার্য নিষ্পত্তির জন্য অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূরণ হইবে।
কার্যবিবরণী
৩৫। (১) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং সভা সমাপ্তির পর সভাপতি ও সদস্যসচিব কর্তৃক উহা স্বাক্ষরিত হইবে।
 
(২) কার্যবিবরণীর অনুলিপি প্রত্যেক সভার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, এরিয়া কমান্ডার ও সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের নিকট জ্ঞাতার্থে বা কার্যার্থে অগ্রবর্তী করিতে হইবে।
উত্থাপিত বিষয় নিষ্পন্নের পদ্ধতি
৩৬। (১) সভায় উত্থাপিত সকল বিষয় উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্ধারিত হইবে।
 
(২) ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে।
 
(৩) বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো সদস্যের দ্বিমত থাকিলে, যদি উক্ত সদস্য অনুরূপ অনুরোধ করেন, তাহা হইলে তাহার দ্বিমত পোষণের কারণসমূহ, সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ, কার্যবিবরণীতে সন্নিবিষ্ট করা হইবে।
বাজার সংক্রান্ত কমিটি
৩৭। বোর্ড ইহার ৩(তিন) জন সদস্যের সমন্বয়ে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাজার এলাকার প্রশাসনের জন্য ১(এক)টি কমিটি গঠন করিবে এবং উক্ত কমিটিকে বাজার সংক্রান্ত বিষয়ে উহার ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে; এবং বোর্ড কর্তৃক কমিটির ১ (এক) জন সদস্যকে কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হইবে।
প্রশাসনিক প্রতিবেদন
৩৮। প্রত্যেক বোর্ড বৎসর সমাপ্ত হইবার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব এবং এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে, এরিয়া কমান্ডারের মাধ্যমে পূর্ববর্তী আর্থিক বৎসরের ক্যান্টনমেন্ট প্রশাসন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে এবং বিস্তারিতভাবে, সরকারের নিকট দাখিল করিবে।
দলিলাদি উপস্থাপনের জন্য নির্দেশদানে সরকারের ক্ষমতা
৩৯। সরকার, যে কোনো সময়ে, যে কোনো বোর্ডকে নিম্নবর্ণিত দলিলাদি দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
 
(ক) উক্ত বোর্ডের অধিকারে থাকা বা উহার নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো রেকর্ড, চিঠিপত্র, পরিকল্পনা বা অন্যান্য দলিল উপস্থাপন;
 
(খ) উহার যে কোনো কর্মপন্থা, দায়দায়িত্ব বা কার্যাদি সম্পর্কিত নক্সা, প্রাক্কলন, বিবরণ, হিসাব বা পরিসংখ্যান প্রদান;
 
(গ) যে কোনো রিপোর্ট প্রদান বা সংগ্রহ।
পরিদর্শন
৪০। সরকার, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো অসামরিক অফিসারকে বা, ক্ষেত্রমত, এরিয়া কমান্ডার তাহার অধস্তন যে কোনো সামরিক অফিসারকে, বোর্ডের দপ্তরের যে কোনো বিভাগ বা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত যে কোনো সেবা বা কাজ, বা উহার মালিকানাধীন বস্তু, পরিদর্শন বা পরীক্ষা করিবার এবং তৎসম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করিবার জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং বোর্ড ও উহার অফিসার ও কর্মচারীগণ এইরূপ নিযুক্ত ব্যক্তিকে সকল যুক্তিযুক্ত সময়ে বোর্ডের প্রাঙ্গণে ও সম্পত্তিতে প্রবেশের জন্য এবং ইহার সকল রেকর্ড, হিসাব এবং তিনি তাহার দায়িত্ব পালনের জন্য যে সকল দলিল পরিদর্শন করাকে প্রয়োজন বলিয়া মনে করেন সেইগুলি পরীক্ষা করিবার জন্য সুযোগ দানে বাধ্য থাকিবেন।
দলিলাদি তলব করিবার ক্ষমতা
৪১। এরিয়া কমান্ডার, লিখিত আদেশ দ্বারা,-
 
(ক) বোর্ডের অধিকারে থাকা বা নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো বহি বা দলিল তলব করিতে পারিবেন;
 
(খ) বোর্ডকে, তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ বিবৃতি, হিসাব, রিপোর্ট এবং উহার কার্যধারা, দায়িত্ব বা কার্যসম্পর্কিত দলিল প্রদানের জন্য, তলব করিতে পারিবেন।
কার্য, ইত্যাদি সম্পাদন সংক্রান্ত ক্ষমতা
৪২। ধারা ৪০ বা ৪১ এর অধীন সংগৃহীত তথ্য বা রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে, যদি সরকার বা, ক্ষেত্রমত, এরিয়া কমান্ডার মনে করেন যে,-
 
(ক) এই আইন দ্বারা বা তদধীন বোর্ডের উপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালন করা হয় নাই বা উহা ত্রুটিপূর্ণ, অদক্ষ বা অনুপযুক্তভাবে পালন করা হইয়াছে; বা
 
(খ) এইরূপ কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা হয় নাই,
 
তাহা হইলে সরকার বা এরিয়া কমান্ডার যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ সময়ের মধ্যে, যথাযথভাবে কর্তব্য পালন বা, ক্ষেত্রমত, আর্থিক সংস্থান করিবার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
নির্দেশ পালনে বাধ্য করিবার ক্ষমতা
৪৩। ধারা ৪২ এর অধীন, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যে কাজ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইয়াছিল উহা যদি যথাযথভাবে করা না হয়, তাহা হইলে সরকার বা, ক্ষেত্রমত, এরিয়া কমান্ডার উক্ত কাজ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অধিকন্তু উক্ত কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যয় ক্যান্টনমেন্ট তহবিল হইতে নির্বাহ করা হইবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করিবার ক্ষমতা
৪৪। (১) যদি সভাপতি বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তের সহিত দ্বিমত পোষণ করেন, যাহা তাহার মতে ক্যান্টনমেন্টের সৈন্যদের স্বাস্থ্য, কল্যাণ বা শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি কার্যবিবরণীতে কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করিয়া, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহার ব্যবস্থা গ্রহণ অনধিক ১(এক) মাসের জন্য স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং এইরূপ করা হইলে তিনি বিষয়টি অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্তের জন্য এরিয়া কমান্ডারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
 
(২) যদি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তকে জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা সুবিধার জন্য ক্ষতিকর মনে করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে বোর্ডের নিকট তাহার অভিমত সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করিয়া, বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সরকারের নিকট প্রেরণ-সূত্রে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সিদ্ধান্তের উপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না।
 
(৩) যদি কোনো এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বোর্ডের সদস্য হইয়া, কোনো সভায় উপস্থিত থাকিয়া, কোনো সিদ্ধান্তের সহিত দ্বিমত পোষণ করেন, যাহা তিনি জনস্বাস্থ্য বা জননিরাপত্তা জন্য ক্ষতিকর মনে করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার অভিমত সম্পর্কে সভাপতিকে নোটিশ প্রদান করিয়া, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করিবেন এবং সভাপতি এইরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর, উক্ত সিদ্ধান্তের উপর ব্যবস্থা গ্রহণ এইরূপ সময়ের জন্য স্থগিত করিবেন যাহা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সহিত যোগাযোগ এবং উপ-ধারা (২) এর অধীন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত হয়।
সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরিত বিষয়ে এরিয়া কমান্ডারের ক্ষমতা
৪৫। (১) এরিয়া কমান্ডার যে কোনো সময়ে-
 
(ক) নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন, সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের নিকট প্রেরিত বিষয় ব্যতীত, কোনো বিষয় বা কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব বোর্ড কর্তৃক বিবেচনা বা পুনর্বিবেচনা করা হউক; বা
 
(খ) ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন, সিদ্ধান্তের জন্য তাহার নিকট প্রেরিত বিষয় ব্যতীত, অন্য কোনো কার্যক্রম তাহার নির্দেশে বর্ণিত সময়ের জন্য স্থগিত রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং তৎপরবর্তী স্থগিতাদেশ বাতিল করিতে পারিবেন বা কেন এইরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইবে না তজ্জন্য বোর্ডকে কারণ দর্শানোর যুক্তিযুক্ত সময় প্রদানের পর এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হইবে না বা তৎকর্তৃক নির্দিষ্ট সংশোধনীসহ উহা কার্যকর করা হইবে।
 
(২) বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্ত ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন মতামতের জন্য এরিয়া কমান্ডারের নিকট প্রেরণ করা হইলে, তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা,-
 
(ক) সভাপতি কর্তৃক কার্যক্রম স্থগিত করিবার জন্য প্রদত্ত আদেশ বাতিল করিতে পারিবেন; বা
 
(খ) তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ সময়ের জন্য আদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারিবেন; বা
 
(গ) কেন এইরূপ নির্দেশ প্রদান করা হইবে না বোর্ডকে উহার কারণ দর্শানোর যুক্তিযুক্ত সুযোগদানের পর, নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হইবে না বা তিনি যেইরূপ নির্দিষ্ট করিবেন সেইরূপ সংশোধনীসহ উহা বোর্ড কর্তৃক কার্যকর করা হইবে।
সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরিত বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা
৪৬। ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকারের নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করা হইলে, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা,-
 
(ক) নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, সিদ্ধান্তের উপর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে না; বা
 
(খ) নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, ইহা যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেইরূপ সংশোধনীসহ বা ব্যতিরেকে আদেশটি কার্যকর করা যাইবে।
বোর্ড বাতিলকরণ
৪৭। যদি সরকারের নিকট এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, কোনো বোর্ড দায়িত্ব পালনে যোগ্য নহে বা ইহা ক্রমাগতভাবে এই আইন দ্বারা বা তদধীন ইহার উপর অর্পিত দায়িত্ব বা অন্য কোনো আইনগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছে বা ইহা নিজ ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করিয়াছে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়াছে, তাহা হইলে সরকার উক্ত বোর্ড বাতিল করিতে পারিবে।
বোর্ড বাতিলকরণের ফলাফল
৪৮। ধারা ৪৭ এর অধীন আদেশ দ্বারা কোনো বোর্ড বাতিল করা হইলে-
 
(ক) বোর্ডের সকল সদস্য, উক্ত আদেশে উল্লিখিত তারিখে সদস্যরূপে নিজ নিজ দায়িত্ব হইতে পদত্যাগ করিয়াছেন মর্মে গণ্য হইবেন, কিন্তু ইহাতে পুনঃমনোনয়নের জন্য তাহাদের যোগ্যতার বিষয়টি ক্ষুণ্ন হইবে না;
 
(খ) বোর্ড বাতিল থাকা অবস্থায়, এই আইনের অধীন বা অন্য কোনো আইন দ্বারা বোর্ডের উপর অর্পিত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক, এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক আরোপিত কোনো সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, প্রয়োগ ও পালন করা হইবে; এবং
 
(গ) বাতিলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হইবে।
কার্যধারা, ইত্যাদির বৈধতা
৪৯। (১) কেবল কোনো বোর্ডে বা উহার কোনো কমিটিতে পদ শূন্য থাকিবার কারণে উক্ত বোর্ড বা কমিটির কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না।
 
(২) বোর্ডের বা উহার কোনো কমিটির সভাপতি বা সদস্য হিসাবে মনোনয়ন বা নিয়োগজনিত কোনো অযোগ্যতা বা ত্রুটি বোর্ডের বা কমিটির কার্য বা কার্যধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না, যদি উক্ত কার্য করিবার বা কার্যধারা গ্রহণ করিবার সময় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তি যথাযথভাবে উহার সদস্য থাকেন।
 
(৩) বোর্ড বা উহার কোনো কমিটির কার্যধারার রেকর্ড বলিয়া গণ্য কোনো দলিল বা কার্যবিবরণীকে, যদি উক্ত কার্যবিবরণী প্রস্তুত ও স্বাক্ষর করিবার জন্য নির্দেশিতরূপে সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত ও স্বাক্ষরিত হইয়া থাকে, যথাযথভাবে গঠিত বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, কমিটির যথাযথভাবে আহ্বানকৃত সভার কার্যবিবরণীর যথাযথ রেকর্ড হিসাবে গণ্য করা হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs