প্রিন্ট ভিউ

ক্যান্টনমেন্ট আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ২৭ নং আইন )

অধ্যায়- ১৪

ক্ষমতা, কার্যপ্রণালী, দণ্ড এবং আপিল প্রবেশ ও পরিদর্শন

প্রবেশের ক্ষমতা
১৭৭। (১) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অফিসার, বোর্ডের সভাপতি, এক্সিকিউটিভ অফিসার, হেলথ অফিসার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী বা বোর্ড কর্তৃক তদুদ্দেশ্যে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার যে কোনো প্রকাশ্য ইমারত বা ভূমির ভিতর বা উপর, কোনো সাক্ষীসহ বা সাক্ষী ব্যতীত, কোনো অনুসন্ধান, পরিদর্শন, পরিমাপ, মূল্যায়ন বা জরিপ বা কোনো কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, উপধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, প্রবেশ করিতে পারিবেন।
 
(২) উপধারা (১) এর অধীন প্রবেশের ক্ষমতা, কেবল এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন বা কার্য সম্পাদনের জন্য আবশ্যক বিবেচিত হইলে, প্রয়োগ করা যাইবে।
বোর্ডের সদস্য দ্বারা পরিদর্শনের ক্ষমতা
১৭৮। সভাপতির পূর্বানুমোদনক্রমে, বোর্ডের যে কোনো সদস্য যে কোনো কাজ বা প্রতিষ্ঠান যাহা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বোর্ডের খরচে নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হইতেছে, এবং বোর্ডের মালিকানাধীন বা অধিকারে থাকা যে কোনো রেজিস্টার, বহি, হিসাব বা দলিলপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
পরিদর্শন, ইত্যাদির ক্ষমতা
১৭৯। (১) বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, যে কোনো ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত কোনো ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে, যথা:-
 
(ক) ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো ইমারত বা ভূমির মধ্যে বা উপরে যে কোনো নর্দমা, শৌচাগার, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, মলাধার, পাইপ, পয়ঃনালি বা খাল পরিদর্শন করিতে এবং তাহার ইচ্ছামত নর্দমা, শৌচাগার, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, মলাধার, পাইপ, পয়ঃনালি বা, ক্ষেত্রমত, খাল হইতে উদ্ভূত যে কোনো ধরনের উপদ্রব প্রতিরোধ বা অপসারণের জন্য মাটি খুঁড়িয়া উন্মুক্ত করিবার ব্যবস্থা করা;
 
(খ) ক্যান্টনমেন্ট নির্মাণাধীন কার্যাদি পরীক্ষা করা, তুলনামূলক উচ্চতা গ্রহণ করা বা যে কোনো মিটার অপসারণ, পরীক্ষা, নিরীক্ষা বা প্রতিস্থাপন করা।
 
(২) এইরূপ পরিদর্শনের পর, যদি মাটি খুঁড়িয়া উন্মুক্ত করা কোনো উপদ্রব প্রতিরোধ বা অপসারণের জন্য আবশ্যক বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে উহাতে যে খরচ হয় উহা ভূমি বা ইমারতের মালিক বা দখলদার কর্তৃক পরিশোধ করিতে হইবে, কিন্তু যদি ইহা দেখা যায় যে, কোনোরূপ উপদ্রব নাই বা উক্ত মাটি খুঁড়িয়া উন্মুক্ত না করিলে উহা সৃষ্ট হইত না, তাহা হইলে উন্মুক্ত করা মাটি বা ইমারতের নর্দমা বা অন্য কাজ যাহা এইরূপ পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত, নষ্ট, বা অপসারণ করা হইয়াছে উহা বোর্ড কর্তৃক ভরাট, পুনঃস্থাপন বা, ক্ষেত্রমত, সঠিক অবস্থায় ফিরাইয়া আনা হইবে।
চলমান কার্যাদি সম্পর্কিত ভূমি সংলগ্ন ভূমিতে প্রবেশের ক্ষমতা
১৮০। (১) ক্যান্টনমেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার, কোনো সহকারি বা শ্রমিকসহ বা ব্যতীত, এই আইন দ্বারা বা তদধীন অনুমোদিত কোনো কাজের নিকটেঅবস্থিত যে কোনো ভূমিতে কোনো মাটি, কাঁকর, পাথর বা অন্য কোনো বস্তু জমা করিবার জন্য বা উহাতে যাতায়াতের সুবিধা আদায়ের জন্য বা উক্ত কাজ চালাইয়া যাওয়া সম্পর্কিত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন।
 
(২) এক্সিকিউটিভ অফিসার, উপধারা (১) এর অধীন কোনো ভূমিতে প্রবেশের পূর্বে, দখলদারকে বা, কোনো দখলদার না থাকিলে, উহার মালিককে এইরূপ প্রবেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা করিয়া অন্যূন ৩ (তিন) দিনের লিখিত প্রাক-নোটিশ প্রদান করিবেন এবং যদি দখলদার বা মালিক কর্তৃক আবশ্যক হয়, তাহা হইলে এইরূপ উদ্দেশ্যে ভূমির যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু অংশ বেড়া দিয়া আলাদা করিয়া দিবেন।
 
(৩) এক্সিকিউটিভ অফিসার এই ধারার অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের সময়, যথাসম্ভব, ক্ষতি সাধন পরিহার করিবেন এবং এইরূপ ভূমির মালিক বা দখলদারকে বা উভয়কে, উক্ত ক্ষতির জন্য, স্থায়ী বা অস্থায়ী যাহাই হউক না কেন, বোর্ড কর্তৃক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
অঙ্গনাদিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করা
১৮১। (১) বোর্ডের সভাপতি, এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন হেলথ অফিসার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী বা বোর্ড কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন বা কার্য সম্পাদনের জন্য আবশ্যক বিবেচিত হইলে, যে কোনো স্থানে, প্রয়োজনে জোরপূর্বক, যে কোনো দরজা বা দ্বার খুলিয়া বা অন্য যে কোনো প্রতিবন্ধক অপসারণ করিয়া প্রবেশ করিতে পারিবেন।
 
(২) এই ধারার অধীন সকল প্রবেশ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মধ্যে করিতে হইবে এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যূন ৩ (তিন) সদস্যের দল ব্যতীত কোনো ব্যক্তি এককভাবে কোনো স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না।
 
(৩) যখন মানুষের বসবাসের কোনো স্থানে এই আইনের অধীন প্রবেশ করা হয় তখন উক্ত স্থানের দখলদারদের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা ও রীতিনীতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করিতে হইবে এবং কোনো মহিলা কর্তৃক প্রকৃতভাবে দখলকৃত কোনো বাসাতে প্রবেশ করা বা তড়িঘড়ি করিয়া প্রবেশ করা যাইবে না, যদি না তাহাকে অবহিত করা হয় যে, তাহার অন্যত্র সরিয়া যাইবার স্বাধীনতা রহিয়াছে এবং তাহাকে সরিয়া যাইবার জন্য যুক্তিযুক্ত সুযোগ প্রদান করা হইয়াছে।
বাধা প্রদানের দণ্ড
১৮২। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোর্ডের সভাপতি, সদস্য, এক্সিকিউটিভ অফিসার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী বা বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তিকে আইনগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন বা নিপীড়ন করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ১০(দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেপ্তার
১৮৩। (১) এই আইনের বিধানাবলি লঙ্ঘন করিয়া কোনো অপরাধ সংঘটিত করিবার কারণে ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য, বিনা পরোয়ানায়, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন না;
 
তবে শর্ত থাকে যে,-
 
(ক) কোনো বিধান অমান্য করিবার ক্ষেত্রে, কোনো ব্যক্তিকে এইরূপে গ্রেপ্তার করা যাইবে যিনি তাহার নাম ও ঠিকানা প্রদানে অসম্মত হন, অথবা, যদি তৎকর্তৃক প্রদত্ত নাম ও ঠিকানার যথার্থতা সম্পর্কে সন্দেহ করিবার যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে, এই ক্ষেত্রে প্রমাণ করিবার দায়িত্ব গ্রেপ্তারকারী অফিসারের উপর বর্তাইবে এবং এইরূপে গ্রেপ্তারকৃত কোনো ব্যক্তিকে তাহার নাম ও ঠিকানা নিশ্চিতকরণের পর আটকাইয়া রাখা যাইবে না; এবং
 
(খ) কোনো ব্যক্তিকে ধারা ১৭৪ এর অধীন কোনো অপরাধের জন্য এইরূপে গ্রেপ্তার করা হইবে না, যদি না-
 
(অ) যে ব্যক্তিকে উত্যক্ত করা হইয়াছে, বা যে সামরিক অফিসারের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তিনি গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেন; বা
 
(আ) সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর সামরিক পুলিশের কোনো সদস্য যিনি ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত এবং এতদুদ্দেশ্যে স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত, এবং যাহার উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, বা সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো অসামরিক পুলিশ অফিসার যিনি ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত এবং এতদুদ্দেশ্যে স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত, দ্বারা গ্রেপ্তার করা হয় বা গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেন।
 
(২) উপধারা (১)-এ যাহাই থাকুক না কেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা হইতে অসামরিক পুলিশ কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে কোনো অভিযোগে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডারকে অবহিত করিতে হইবে।
অন্যায় কার্য ও অপরাধ বিষয়ে তথ্য প্রদানের দায়িত্ব
১৮৪। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাসরত বা অবস্থানরত সকল সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইনের বিধান বা তদধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশ লঙ্ঘনক্রমে সংঘটিত যে কোনো অন্যায়কার্য বা অপরাধ সম্পর্কে অবিলম্বে বোর্ডকে অবহিত করিবেন এবং এতদ্বিষয়ে আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে বা দায়িত্ব পালনে, অবশ্যক হইলে, অসামরিক ও সামরিক পুলিশ এবং বোর্ডের অফিসার ও কর্মচারীগণকে সহায়তা প্রদান করিবেন।
যৌক্তিক সময় নির্ধারণ
১৮৫। যেক্ষেত্রে এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইন অনুসারে প্রদত্ত কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি দ্বারা কোনো কিছু করা আবশ্যক হয় যাহার জন্য এই আইন বা বিধি বা উপ-আইনে কোনো সময় নির্ধারিত করা হয় নাই, সেইক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবিতে উহা করিবার জন্য যুক্তিযুক্ত সময় নির্ধারণ করিয়া দিতে হইবে।
নোটিশের প্রমাণীকরণ এবং যথার্থতা
১৮৬। বোর্ড কর্তৃক এই আইন বা তদধীন প্রণীত যে কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন জারিকৃত প্রত্যেক নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের দ্বারা স্বাক্ষরিত হইবে, যথা :-
 
(ক) বোর্ডের সভাপতি বা এক্সিকিউটিভ অফিসার; বা
 
(খ) বোর্ড কর্তৃক এতদ্বিষয়ে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কোনো সদস্য।
নোটিশ, ইত্যাদি জারি
১৮৭। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত যে কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি, যদি না উহাতে সুষ্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ বিধান থাকে, নিম্নরূপে জারি করা হইবে, যথা :-
 
(ক) নোটিশ বা আদেশ বা লিখিত দাবি যে ব্যক্তির নিকট প্রেরণের জন্য ইচ্ছা করা হইয়াছে তাহাকে প্রদান বা পেশ করিয়া বা তাহার নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া; বা
 
(খ) যদি উক্ত ব্যক্তিকে না পাওয়া যায়, তাহা হইলে, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে হইলে, উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি তাহার সর্বশেষ জ্ঞাত আবাসস্থল বা ব্যবসায়ের স্থানের কোনো দৃশ্যমান অংশে আঁটিয়া দিয়া বা উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি তাহার পরিবারের কোনো বয়স্ক সদস্য বা গৃহকর্মীর হাতে প্রদান বা পেশ করিয়া, বা তৎসম্পর্কিত, ইমারত বা ভূমির, যদি থাকে, কোনো দৃশ্যমান অংশে আঁটিয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়া।
 
(২) কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি কোনো ইমারত বা ভূমির ইজারাদার বা দখলদারকে জারি করিবার নির্দেশ বা অনুমতি প্রদান করা হইলে, উহা নিম্নরূপে কার্যকর করা হইবে, যথা:-
 
(ক) নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি মালিক, ইজারাদার বা দখলদার, বা, যদি একাধিক মালিক, ইজারাদার বা দখলদার থাকে, তাহা হইলে তাহাদের যে কোনো এক জনের নিকট প্রদান বা পেশ বা ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া; বা
 
(খ) যদি এইরূপ কোনো মালিক, ইজারাদার বা দখলদারকে না পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি এইরূপ কোনো মালিক, ইজারাদার বা দখলদারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির নিকট যদি থাকে, বা এইরূপ মালিক, ইজারাদার বা দখলদারের পরিবারের কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সদস্য বা শ্রমিকের নিকট প্রদান বা পেশ করিয়া বা সংশ্লিষ্ট ইমারত বা ভূমির কোনো দৃশ্যমান অংশে আঁটিয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়া।
 
(৩) যে ব্যক্তির নিকট নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি প্রেরণ করা হইবে তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হইলে, তাহার অভিভাবক বা তাহার পরিবারের কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সদস্য বা গৃহকর্মীর নিকট প্রেরণ করা হইলে উহা উক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্কের নিকট প্রেরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
নোটিশ প্রদানের পদ্ধতি
১৮৮। এই আইন দ্বারা বা তদধীন প্রত্যেক নোটিশ গণ-বিজ্ঞপ্তি হিসাবে প্রদান বা জারি করিতে হইবে বা এইরূপ নোটিশ, যাহা উহাতে উল্লিখিত কোনো ব্যক্তির উপর জারি করিবার প্রয়োজন নাই, স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, যদি উহার একটি কপি বোর্ডের কোনো প্রকাশ্য স্থানে বা অন্য কোনো গণস্থানে, বোর্ড যেইরূপ নির্দেশ করিবে সেইরূপে আঁটিয়া দেওয়া হয় বা কোনো স্থানীয় সংবাদপত্রে ছাপানো হয় বা অন্য কোনো ভাবে প্রকাশিত হয়, তাহা হইলে উহা যথাযথভাবে প্রদান বা জারি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
নোটিশ, ইত্যাদি অমান্যকরণের ক্ষেত্রে বোর্ডের ক্ষমতা
১৮৯। যখন এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো বিধি বা উপ-আইনের অধীন কোনো নোটিশ, আদেশ বা লিখিত দাবি তামিল করিবার জন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করা হইয়াছে, কিন্তু তামিল করা হয় নাই তখন বোর্ড, তামিল করিতে ব্যর্থ ব্যক্তিকে, লিখিত নোটিশ প্রদানের পর, তাহার দ্বারা যে কাজ সম্পন্ন করা বা বাস্তবায়ন করা আবশ্যক ছিল উহা সমাপ্ত করিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার বা পদক্ষেপ গ্রহণ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং এতদ্বিষয়ক সকল ব্যয় বোর্ড কর্তৃক আদায়যোগ্য হইবে।
মালিকের ব্যর্থতায় দখলদার কর্তৃক পরিশোধের দায়
১৯০। (১) যদি ধারা ১৮৯ তে উল্লিখিত কোনো নোটিশ এমন কোনো সম্পত্তি বিষয়ে কোনো ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করা হয় যে সম্পত্তি বা উহার কোনো অংশের তিনি মালিক, তাহা হইলে বোর্ড উক্ত সম্পত্তি বা উহার কোনো অংশের দখলদারকে, মালিকের পরিবর্তে, উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে উক্ত ব্যক্তির দ্বারা প্রদেয় ভাড়া, যাহা ধারা ১৮৯ এর অধীন মালিকের নিকট হইতে আদায়যোগ্য, পরিশোধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি দখলদার, বোর্ড কর্তৃক তাহার নিকট অনুরোধ জানানোর পর, তাহার ভাড়ার পরিমাণ বা যে ব্যক্তির নিকট পরিশোধযোগ্য তাহার নাম ও ঠিকানা সঠিকভাবে প্রকাশ করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে বোর্ড দখলদারের নিকট হইতে ধারা ১৮৯ এর অধীন আদায়যোগ্য সম্পূর্ণ অংশ আদায় করিতে পারিবে।
 
(২) উপধারা (১) এর অধীন মালিকের পরিবর্তে দখলদারের নিকট হইতে আদায়কৃত যে কোনো অর্থ, মালিক কর্তৃক পরিশোধ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না মালিক এবং দখলদারের মধ্যে ভিন্নরূপ কোনো চুক্তি থাকে।
প্রতিনিধি এবং ট্রাস্টিগণের বিমোচন
১৯১। (১) যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিনিধি বা ট্রাস্টি হিসাবে, কোনো স্থাবর সম্পত্তির ভাড়া গ্রহণ করিবার কারণে বা উক্ত সম্পত্তি কোনো ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দেওয়া হইলে প্রতিনিধি বা ট্রাস্টিরূপে উক্ত ভাড়া গ্রহণ করিতেন, সেইক্ষেত্রে তিনি এই আইনের অধীন যে কোনো দায় পরিশোধ করিবার জন্য বাধ্য থাকিবেন যাহা সম্পত্তির মালিকের উপর আরোপ করা হয়, তবে, তিনি এই দায় পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন না, যদি না তাহার নিকট মালিকের এমন পরিমাণ অর্থ থাকে বা তাহার নিজস্ব কোনো অনুচিত কাজ বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার জন্য তাহার নিকট থাকিতে পারে।
 
(২) কোনো প্রতিনিধি বা ট্রাস্টি কর্তৃক উপধারা (১) এর অধীন বিমোচনের অধিকারের দাবি সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণের ভার তাহার উপর বর্তাইবে।
 
(৩) যে ক্ষেত্রে কোনো প্রতিনিধি বা ট্রাস্টি এই ধারার অধীন তাহার বিমোচনের অধিকার দাবি করেন এবং উহা প্রতিষ্ঠিত করেন, সেইক্ষেত্রে বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, তাহাকে পূর্বোক্ত দায় পরিশোধের জন্য, সর্বপ্রথম যে পরিমাণ অর্থ মালিকের পক্ষে বা ব্যবহারের জন্য, তাহার হস্তগত হয় উহা কাজে লাগানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং, এইরূপ নোটিশ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে উক্ত দায় পরিশোধের জন্য দায়ী হইবেন।
আর্থিক দায় আদায়ের পদ্ধতি
১৯২। (১) এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ যাহাই থাকুক না কেন, যে কোনো করের বকেয়া এবং বোর্ড কর্তৃক এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য যে কোনো অর্থ Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No III of 1913)-এর অধীন সরকারি পাওনা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত আইনের বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।
 
(২) উপধারা (১) এর বিধানের অতিরিক্ত, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ অফিসারের নিকট আবেদনের মাধ্যমে, যে ব্যক্তির নিকট হইতে এইরূপ কর বা অর্থ আদায়যোগ্য সেই ব্যক্তির যে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় করিয়া, খরচসহ, আদায় করা যাইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, কারিগরদের যন্ত্রাদি এইরূপ ক্রোক ও বিক্রয় হইতে মুক্ত থাকিবে।
সালিসের জন্য আবেদন
১৯৩। (১) এই আইনের অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বা এইরূপ প্রদেয় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে কোনো মতানৈক্য দেখা দিলে, ক্ষতিপূরণের দাবিদার ব্যক্তি বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করিবার জন্য আবেদন করিলে, বোর্ড সালিস কমিটি গঠন করিবে।
 
(২) সালিস কমিটি ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
(ক) একজন সভাপতি, যিনি প্রজাতন্ত্রের বা বোর্ডের চাকরিতে নিয়োজিত নহেন এবং যিনি স্টেশন কমান্ডার কর্তৃক মনোনীত হইবেন;
 
(খ) বোর্ড কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন ব্যক্তি; এবং
 
(গ) সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষ কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন ব্যক্তি।
সালিস কমিটির সভা এবং ক্ষমতা
১৯৪। (১) সালিস কমিটি গঠিত হইবার পর, বোর্ড, লিখিত নোটিশ দ্বারা, প্রত্যেক সদস্যকে এতদ্বিষয়ে অবহিত করিবে এবং অতঃপর উক্ত কমিটি, যথাশীঘ্র সম্ভব, সভায় মিলিত হইবে।
 
(২) সালিস কমিটির সভাপতি সকল সভার সময় ও স্থান নির্ধারণ করিবেন এবং তিনি, প্রয়োজনবোধে, সময় সময়, যে কোনো সভা মূলতবি করিতে পারিবেন।
 
(৩) সালিস কমিটি সাক্ষ্য গ্রহণ ও রেকর্ড করিবে এবং সাক্ষীগণকে শপথবাক্য পাঠ করাইবে এবং কমিটির সভাপতি সাক্ষীগণের উপস্থিতি এবং কমিটি কর্তৃক প্রয়োজনীয় দলিলপত্র পেশ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সমন জারি করিবেন।
সালিস কমিটির সিদ্ধান্ত
১৯৫। (১) প্রত্যেক সালিস কমিটির সিদ্ধান্ত সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে, যে সভায় সভাপতি এবং অন্যূন তিন জন সদস্য উপস্থিত থাকেন।
 
(২) যদি কোনো সিদ্ধান্তের অনুকূলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না থাকে, তাহা হইলে সভাপতির মতামত প্রাধান্য পাইবে।
 
(৩) সালিস কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং তৎসম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs