প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ক্যান্টনমেন্ট আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ২৭ নং আইন )

অধ্যায়-৮

জননিরাপত্তা এবং উপদ্রব দমন

উপদ্রব সৃষ্টির শাস্তি
৯৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা গণস্থানে-
 
(ক) মাতলামি করেন, অসংযত বা মাতাল হন এবং নিজের যত্ন নিতে অপারগ হন; বা
 
(খ) কোনো ভীতি প্রদর্শনমূলক, কটূক্তিপূর্ণ বা অপমানকর শব্দ প্রয়োগ করেন, বা শাস্তি ভংগ হয় বা হইতে পারে এইরূপ উদ্দেশ্যে ভীতিজনক বা অপমানকর শব্দ ব্যবহার করেন; বা
 
(গ) মলমূত্র ত্যাগ করেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা অশালীনভাবে নিজ শরীর অনাবৃত করেন; বা
 
(ঘ) ভিক্ষার জন্য ঘোরাফেরা করেন বা পীড়াপীড়ি সহকারে ভিক্ষা করেন; বা
 
(ঙ) দানে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য কোনো বিকলাঙ্গতা বা ব্যাধি বা অশোভন ক্ষত বা আঘাত অনাবৃত করেন বা প্রদর্শন করেন; বা
 
(চ) জনগণের দৃষ্টির সামনে খোলা অবস্থায় মাংস বহন করেন; বা
 
(ছ) জুয়া খেলায় লিপ্ত হন বা তাহাকে জুয়া খেলায় পাওয়া যায়; বা
 
(জ) খুঁটিতে পশু বাঁধেন, বা যত্রতত্র বা এলোমেলোভাবে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলাবশত, কোনো যান রাখেন;
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(২) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা গণস্থানে-
 
(ক) পায়খানা বা অন্য কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা ময়লা পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় বা অবহেলা করিয়া উক্ত সকল বস্তুর কোনো অংশ উপচাইয়া পড়িতে বা পড়িয়া যাইতে দেন বা ঝাড়ু দিয়া বা অন্য কার্যকরভাবে উহার কোনো অংশ অপসারণ করিতে অবহেলা করেন, যাহা এইরূপ সড়ক বা স্থানে উপচাইয়া পড়িতে বা পতিত হইতে পারে; বা
 
(খ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে কোনো ইমারত, স্মৃতিসৌধ, খুঁটি, দেয়াল, বেড়া, বৃক্ষ বা অন্য বস্তুর গায়ে কোনো নোটিশ বা অন্য দলিল আঁটিয়া দেন; বা
 
(গ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে কোনো ইমারত, স্মৃতিসৌধ, খুঁটি, দেয়াল, বেড়া, বৃক্ষ বা অন্য বস্তু বিকৃত করেন, বা উহাতে কিছু লিখেন, বা অন্যভাবে চিহ্ন প্রদান করেন; বা
 
(ঘ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে এই আইনের অধীন স্থাপিত বা প্রদর্শিত কোনো নোটিশ বা অন্য কোনো দলিল অপসারণ, ধ্বংস ও বিকৃত করেন বা অন্যভাবে মুছিয়া ফেলেন; বা
 
(ঙ) যথোপযুক্ত ক্ষমতা ব্যতিরেকে এইরূপ সড়ক বা গণস্থানে বোর্ড কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত ফুটপাথ, পয়ঃনালি, ঝড়োজল নালি, পতাকা বা এইরূপ সড়কের কোনো বস্তু বা কোনো বাতি, অবলম্বন (Bracket), নির্দেশক খুঁটি, জলের কল বা পাইপ স্থানচ্যুত, বিনষ্ট বা কোনো পরিবর্তন করেন বা অন্যভাবে বাধাদান করেন বা গণবাতি নিভাইয়া ফেলেন; বা
 
(চ) সুন্দরভাবে আবৃত না করিয়া বা সংক্রমণের ঝুঁকি বা জনস্বার্থের ক্ষতি বা পথচারীদের বা আশেপাশে বসবাসকারীদের বিরক্তি উৎপাদন প্রতিহত করিবার জন্য উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন না করিয়া কোনো লাশ বহন করেন; বা
 
(ছ) মল বা অন্য কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা জঞ্জাল বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিষিদ্ধ সময়ে বা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয় নাই এইরূপ কোনো ধরনের গাড়ি বা আধারে উহা বহন করেন বা ব্যবহারের সময় এইরূপ গাড়ি বা আধার ঢাকা রাখিতে ব্যর্থ হন,
 
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা গণস্থানে,-
 
(ক) বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া কোনো পথে মল বা অন্য কোনো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তুবা জঞ্জাল বহন করেন; বা
 
(খ) মাটি বা যে কোনো ধরনের বস্তু বা দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু বা জঞ্জাল বোর্ডের ব্যবস্থাপনাধীন কোনো রাস্তায় বা অন্য কোনো গণস্থানে বা পতিত বা অদখলকৃত ভূমিতে জমা করেন বা জমা করিবার ব্যবস্থা করেন বা অনুমোদন করেন; বা
 
(গ) কোনো লাশের দায়িত্বে থাকাকালীন, উহা, মৃত্যুর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে, কবরস্থ করিতে, দাহ করিতে বা অন্য কোনো আইনসম্মত উপায়ে সৎকার করিতে ব্যর্থ হন; বা
 
(ঘ) দফা (গ) এর উদ্দেশ্যে আলাদা করিয়া রাখা হয় নাই এইরূপ স্থানে কোনো কবর তৈরি করেন বা কোনো লাশ কবর দেন বা দাহ করেন; বা
 
(ঙ) কোনো স্থানকে সাধারণ জুয়ার ঘর হিসাবে বজায় রাখেন বা ব্যবহার করেন বা জ্ঞাতসারে রাখিতে বা ব্যবহার করিতে অনুমতি দেন বা কোনো সাধারণ জুয়ার ঘরের ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করেন; বা
 
(চ) বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তি বা বিশেষ নোটিশ দ্বারা নিষিদ্ধ সময় বা স্থানে ঢোল বা টমটম বাজান বা শিঙ্গা বা ঢাকের আওয়াজ করেন বা বাসন-কোষণ পেটান বা পিতল বা অন্য যন্ত্রে আওয়াজ করেন বা কোনো গীতবাদ্য করেন; বা
 
(ছ) গান গাহিয়া, তীক্ষ্ণ আওয়াজ করিয়া বা চিৎকার করিয়া গণশান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেন; বা
 
(জ) কোনো ব্যক্তির প্রতি আঘাত, বিপদ, ভয় বা বিরক্তি সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে কোনো জন্তু অবাধে ছাড়িয়া দেন বা অবহেলাক্রমে এইরূপ করিতে দেন;
 
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) হাজার এবং অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে,-
 
(ক) কোনো ইমারত বা ভূমির মালিক বা দখলদার থাকাকালীন, উহার অভ্যন্তরে বা উপরে কোনো জন্তু মারা গেলে, উক্ত জন্তুর মৃত্যুর ৩(তিন) ঘণ্টার মধ্যে বা যদি উক্ত মৃত্যু রাত্রিবেলায় সংঘটিত হয়, তাহা হইলে সূর্যোদয়ের ৩ (তিন) ঘণ্টার মধ্যে অবহেলা করিয়া-
 
(অ) এক্সিকিউটিভ অফিসার বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো অফিসারের নিকট, যদি থাকে, গণ-পরিচ্ছন্নতা সংস্থাপন দ্বারা পশুর মরদেহ অপসারণ ও সৎকার নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে ঘটনার রিপোর্ট করিতে ব্যর্থ হন; বা
 
(আ) বোর্ড কর্তৃক গণ-বিজ্ঞপ্তির দ্বারা প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশনা বা এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্তৃক এইরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর প্রদত্ত বিশেষ কোনো নির্দেশনা অনুসারে পশুর মরদেহ অপসারণ ও সৎকার করিতে ব্যর্থ হন; বা
 
(খ) বোর্ডের লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে মল, সার, জঞ্জাল বা দুর্গন্ধ নিঃসরণকারী কোনো বস্তু জমা বা ব্যবহার করেন; বা
 
(গ) নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানকে পায়খানা হিসাবে ব্যবহার করেন বা ব্যবহার করিতে অনুমতি প্রদান করেন,
 
তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৪ (চার) হাজার এবং অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(৫) যদি কোনো ব্যক্তি তাহার অধীনস্থ ১২ (বারো) বৎসরের কম বয়স্ক কোনো শিশুকে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা অন্য কোনো গণস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা হইতে বিরত রাখিতে যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৫ (পনের) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(৬) যদি কোনো পশুকে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে কোনো সড়ক বা অন্য কোনো গণস্থানে খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় বা রাখাল ছাড়া ইতস্তত ঘোরাফেরা করা অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহা হইলে উহার মালিক বা পালনকারী অনধিক ১৫ (পনের) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
(৭) যদি কোনো পশুকে খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় উপধারা (৬) এ উল্লিখিতরূপে পাওয়া যায়, তাহা হইলে উহা বোর্ডের কোনো অফিসার বা কর্মচারী বা একজন পুলিশ অফিসার দ্বারা খোয়াড়ে প্রেরণ করা যাইতে পারে, যেন উহা ইতস্তত ঘোরাফেরা অবস্থায় পাওয়া গিয়াছে।
 
(৮) যদি কোনো ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে বা সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীতে সদস্য তালিকাভুক্তির বিষয়ে দালাল চক্রের সহিত কোনভাবে সম্পৃক্ত হয় বা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার এবং অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs