অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান বিষয়ে বোর্ডের ক্ষমতা
১২৯। (১) বোর্ড, ইমারত নির্মাণ বা, ক্ষেত্রমত পুনঃনির্মাণ, প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে বা সম্পূর্ণরূপে বা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে, উহা যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ লিখিত নির্দেশনা সাপেক্ষে, অনুমোদন করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) ইমারতের সম্মুখে উন্মুক্ত পথ বা সড়ক যাহা প্রয়োজনে ছাড়িতে হইবে;
(খ) ইমারতের বায়ু চলাচল নিশ্চিতকরণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সহায়তাকরণ ও অগ্নি প্রতিরোধের জন্য ইমারতের কাছাকাছি যে জায়গা ছাড়িতে হইবে;
(গ) ইমারতের অবাধ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা, কক্ষের ন্যূনতম ঘন আয়তন এবং ইমারতের সম্ভাব্য তলার সংখ্যা ও উচ্চতা;
(ঘ) নর্দমা, পায়খানা, প্রশ্রাবখানা, ময়লার স্তুপ বা ময়লার অন্যান্য ধারণপাত্রের ব্যবস্থা ও অবস্থান;
(ঙ) ভিত্তির লেভেল ও প্রস্থ, সর্বনিম্নতলের লেভেল এবং কাঠামোর দৃঢ়তা ;
(চ) ইমারতটি সড়ক সংলগ্ন হইলে পার্শ্ববর্তী ইমারতসমূহের সহিত উহার সামনের দিকের অবস্থানের সীমা;
(ছ) অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে ইমারত হইতে বাহির হইবার উপায়ের ব্যবস্থাকরণ;
(জ) কামরা আগুন, মেঝে, প্রজ্বলনের স্থান এবং চিমনির বাহ্যিক ও বিভাজক প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহার্য বস্তু এবং পদ্ধতি;
(ঝ) সর্বোচ্চতলের ছাদের উচ্চতা ও ঢাল, যেইখানে মানুষ বাস করিবে বা রান্নার কাজ করা হইবে; এবং
(ঞ) ইমারতের বায়ু চলাচল বা স্বাস্থ্য বিধান সম্পর্কিত অন্য যে কোনো বিষয়।
(২) ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণকারী ব্যক্তি, প্রত্যেক ক্ষেত্রে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নির্দেশনা মানিয়া চলিবে।
(৩) বোর্ড কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে, যদি ইহার নিকট যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোনো ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট ইমারতের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক ইমারত সমূহের জনাকীর্ণতা প্রতিরোধ বা এইরূপ সীমানার মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিদের স্বার্থে বা অন্য কোনো জনস্বার্থে, নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে ইমারতের নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সীমিত করিয়া অনুমোদিত কোনো সাধারণ পরিকল্পনার অনুসরণে উহা করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৪) সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের ব্যবস্থাপনাধীন কোনো ভূমিতে কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ অনুমোদন করিবার পূর্বে বোর্ড সরকারের পক্ষ হইতে এইরূপ নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণে আপত্তি আছে কিনা উহা যাচাই করিবার জন্য আবেদনটি, সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসক উক্ত আবেদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়ে তাহার রিপোর্টসহ আবেদনটি বোর্ডের নিকট ফেরত পাঠাইবে।
(৫) বোর্ড কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিব-
(ক) যখন সরকার হইতে ইজারাকৃত ভূমির উপর ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের প্রস্তাব করা হয় তখন যদি উক্ত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ ইজারার শর্তের খেলাপ হয় বা;
(খ) যখন সরকার হইতে ইজারা লওয়া হয় নাই এইরূপ ভূমির উপর ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের প্রস্তাব করা হয় তখন, যদি উক্ত ভূমিতে নির্মাণের অধিকার বিষয়ে সরকার এবং আবেদনকারী ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ থাকে।
(৬) যদি বোর্ড ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করে তাহা হহলে ইহা লিখিতভাবে প্রত্যাখ্যানের, কারণসমূহ নোটিশ প্রদানকারীকে অবহিত করিবে।
(৭) যখন বোর্ড আইনসম্মত নোটিশ প্রাপ্তির পর, একমাস যাবত এই ধারায় উল্লিখিত কোনো আদেশ নোটিশ প্রদানকারীকে প্রদানে অবহেলা করে বা অপারগ হয়, এবং এইরূপ ব্যক্তি পরবর্তীতে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে, লিখিত যোগাযোগের মাধ্যমে, বোর্ডের অবহেলা বা অপারগতার বিষয়ে বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তখন, যদি উক্ত অবহেলা বা অপারগতা এইরূপ যোগাযোগের পর আরও ১৫ (পনের) দিন পর্যন্ত চলিতে থাকে, তাহা হইলে বোর্ড নিঃশর্তভাবে নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের অনুমোদন, প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৪) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হয়, সেইক্ষেত্রে উহাতে উল্লিখিত, ১ (এক) মাস সময় যে তারিখে বোর্ড উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত প্রতিবেদন প্রাপ্ত হয় উক্ত তারিখ হইতে গণনা করা হইবে।