প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৩১ নং আইন )

সপ্তম অধ্যায়

অপরাধ, দণ্ড, বিচার, ইত্যাদি

ইমারত নির্মাণ, কৃত্রিম জলাধার খনন, পাহাড় বা টিলা কাটা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধি-নিষেধ
৪৪। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখনন কিংবা পাহাড় বা টিলা কাটা যাইবে না।
 
(২) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখননের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফিসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, মহাপরিকল্পনার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উক্তরূপ কাজের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন:
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন করিয়া কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি প্রদান করিতে হইবে।
 
(৩) যদি কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে সকল শর্তে উপ-ধারা (২) এর অধীন ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখননের জন্য অনুমতি প্রদান করা হইয়াছিল উহা প্রতিপালন করা হয় নাই বা ভঙ্গ করা হইয়াছে বা ভঙ্গ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা হইলে উক্ত অনুমতি বাতিল করা যাইবে।
 
(৪) এই ধারার কোনো কিছুই বিদ্যমান ইমারত বা স্থাপনার মেরামত বা উহাদের সাধারণ মেরামত কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
 
(৫) অন্য কোনো আইনে যাহাই থাকুক না কেন, পর্যটন এলাকায় মহা-পরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে উহা ধারা ৫৯ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
 
(৬) কর্তৃপক্ষ, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে, পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতি সাপেক্ষে, পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচনের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
(৭) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs