প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৩৫ নং আইন )

ষষ্ঠ অধ্যায়

অপরাধ, দণ্ড, ইত্যাদি

আদেশ অমান্য করা

২৮। কোনো ব্যক্তি, এই আইন বা এই আইনের অধীন কোনো নোটিশ দ্বারা প্রদত্ত, কোনো আদেশ অমান্য করিলে অথবা পালন করিতে ব্যর্থ হইলে এবং উহা এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন দণ্ডযোগ্য অপরাধ না হইলে, উক্তরূপ অমান্য বা ব্যর্থতার জন্য তাহার উপর অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা যাইবে:

 

তবে শর্ত থাকে যে, পুনঃপুন অমান্য বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে সর্বশেষ জরিমানা প্রদানের তারিখের পর প্রত্যেক দিবসের জন্য অতিরিক্ত ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা হারে জরিমানা আরোপিত হইবে।

নোটিশ অগ্রাহ্যের প্রেক্ষিতে কর্পোরেশন কর্তৃক কার্যাদি সম্পাদনের ক্ষমতা
২৯। কর্পোরেশন, এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো কার্য সম্পাদন করিতে অথবা কোনো কাজ করা হইতে বিরত থাকিবার জন্য নোটিশ প্রদান করিলে এবং উক্ত ব্যক্তি নোটিশ অনুযায়ী উক্ত কাজ করিতে বা করা হইতে বিরত থাকিতে ব্যর্থ হইলে, কর্পোরেশন উক্তরূপ কাজের বাস্তবায়ন, ব্যবস্থা গ্রহণ বা সম্পাদন করিতে পারিবে এবং উহাতে ব্যয়িত সকল অর্থ উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে।
সীমানা প্রাচীর, ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত বা অপসারণের দণ্ড
৩০। যদি কোনো ব্যক্তি বৈধ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে-
 
(ক) কর্পোরেশনের কোনো ভূমি বা স্থাপনা রক্ষার্থে নির্মিত কোনো সীমানা প্রাচীর বা বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত বা অপসারণ করেন, অথবা
 
(খ) কর্পোরেশনের দালান, দেওয়াল বা অন্য কোনো বস্তুর ভাররক্ষার্থে ঠেস দেওয়ার জন্য স্থাপিত কোনো খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত বা অপসারণ করেন, অথবা
 
(গ) কোনো কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনে কর্পোরেশন কর্তৃক খননকৃত বা ভাঙ্গিয়া ফেলা কোনো সড়ক বা ভূমিতে স্থাপিত কোনো বাতি নিভাইয়া ফেলেন, অথবা
 
(ঘ) কর্পোরেশনের আদেশ লঙ্ঘন করিয়া, যাতায়াতের পথ বন্ধকরণ সংক্রান্ত, কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত কোনো খিল, চেইন বা খুঁটি অপসারণ করেন, অথবা
 
(ঙ) কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত কোনো অবকাঠামো বা স্থাপনা এবং কর্পোরেশনের ভূমি বা অন্য কোনো সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেন
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ঠিকাদারকে বাধা প্রদান বা কোনো চিহ্ন অপসারণের দণ্ড
৩১। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন-
 
(ক) নির্দিষ্ট কোনো কাজ সম্পাদন বা বাস্তবায়নের জন্য কর্পোরেশন যে ব্যক্তির সহিত চুক্তি বা অঙ্গিকারনামা সম্পাদন করিয়াছে, সেই ব্যক্তির প্রতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা তাহাকে নিপীড়ন করেন, অথবা
 
(খ) অনুমোদিত কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো লেভেল বা দিক নির্দেশ করিবার লক্ষ্যে কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত কোনো চিহ্ন অপসারণরন করেন-
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অননুমোদিত চাষাবাদ, ইত্যাদির দণ্ড
৩২। কর্পোরেশনের লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি যদি-
 
(ক) কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বা কর্পোরেশনের দখলে রহিয়াছে এইরূপ কোনো ভূমি চাষাবাদ করেন বা চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করেন, অথবা
 
(খ) উক্ত ভূমির ওপর কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করেন বা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, অথবা
 
(গ) উক্ত ভূমির ওপর দণ্ডায়মান বৃক্ষরাজি কর্তন করেন বা অন্য কোনোভাবে বিনষ্ট করেন, অথবা
 
(ঘ) উক্ত ভূমি অন্য কোনোভাবে জবর দখল করেন, অথবা
 
(ঙ) উক্ত ভূমিতে কোনো খনন কাজ করেন বা পানির নালা নির্মাণ করেন,
 
তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
জবর দখল বা অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের ক্ষমতা
৩৩। কার্যক্রম, কর্মসূচি বা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কোনো ভূমি বা কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বা কর্পোরেশনের নিকট ন্যস্ত কোনো ভূমির মালিকানা বা অধিকার ভোগ করেন না এমন কোনো ব্যক্তি উক্ত ভূমির দখল গ্রহণ করিয়াছেন বা দখল গ্রহণের চেষ্টা করিতেছেন বলিয়া চেয়ারম্যান নিশ্চিত হইলে, তিনি বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করিয়া উক্ত ভূমিতে পুনঃপ্রবেশ করিতে পারিবেন এবং কর্পোরেশনের পক্ষে উক্ত ভূমি পুনর্দখল করিতে এবং কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান ব্যতিরেকে, উক্ত ভূমির সকল শস্য, বৃক্ষ এবং ভবন ও স্থাপনার দখল গ্রহণ করিতে পারিবেন।
অপরাধের প্রেক্ষিতে কর্পোরেশনের অতিরিক্ত ক্ষমতা
৩৪। ধারা ৩২ এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে মর্মে নিশ্চিত হইলে, কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট অপরাধীর বিরুদ্ধে উক্ত ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অথবা উক্ত ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট অপরাধী দণ্ডপ্রাপ্ত হইবার পর-
 
(ক) ধারা ৩২ এর দফা (ক) এর অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধান লঙ্ঘনক্রমে যে ফসল চাষাবাদ করা হইয়াছে ও বাড়িয়া উঠিতেছে উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে অথবা, ফসল কাটিয়া ফেলা হইলে, সংশ্লিষ্ট অপরাধীর নিকট হইতে ফসলের মূল্য বাবদ নিরূপিত অর্থ আদায় করিতে পারিবে,
 
(খ) ধারা ৩২ এর দফা (গ) এর অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে, ধ্বংসপ্রাপ্ত বৃক্ষরাজির মূল্য বাবদ নিরূপিত অর্থ আদায় করিতে পারিবে, এবং
 
(গ) ধারা ৩২ এর দফা (খ), (ঘ) বা (ঙ) এর অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভবন বা স্থাপনা ধ্বংস করিতে পারিবে অথবা জবর দখল অপসারণ করিতে পারিবে অথবা খননকৃত ভূমি বা পানির নালা ভরাট করিতে পারিবে এবং দায়ী ব্যক্তির নিকট হইতে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যয়িত অর্থ আদায় করিতে পারিবে।
কর্পোরেশনের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইবার জন্য ক্ষতিপূরণ
৩৫। (১) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো কাজ করিবার বা না করিবার কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে এবং সংশ্লিষ্ট কাজ করিবার বা না করিবার কারণে কর্পোরেশনের কোনো সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে আদালত, দণ্ড প্রদানের পাশাপাশি, কর্পোরেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে, কর্পোরেশনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তিকে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তি কর্তৃক স্বেচ্ছায় প্রদত্ত না হইলে, উক্ত অর্থ আদালত কর্তৃক পরোয়ানার মাধ্যমে এমনভাবে আদায় করা যাইবে যেন উহা সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক দণ্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে অর্থদণ্ড হিসাবে আদায় করা হইতেছে।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
৩৬। চেয়ারম্যান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারীর লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কৃত কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ
৩৭। এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনে বর্ণিত যে কোনো অপরাধের তদন্ত, অভিযোগ দায়ের, বিচার, আপিলসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) প্রযোজ্য হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs