প্রিন্ট

21/07/2025
সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮

সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন )

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, বিচার ও দণ্ড

ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতীত মোটরযান ও গণপরিবহণ চালনার বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৬৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর সংক্রান্ত ধারা ৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৬৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৫) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিদেশি নাগরিক কর্তৃক এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান বা লাইসেন্সে প্রদত্ত শর্ত অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৬৮। যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কর্তৃপক্ষ ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত, প্রদান বা নবায়নে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৬৯। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১০ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তবে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মোটরযান চালানোর উপর বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১২ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭০। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১২ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কন্ডাক্টর লাইসেন্স ব্যতীত কোনো গণপরিবহণে কন্ডাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭২। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ভূয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার ও প্রদর্শনে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তবে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তরের কারণে হস্তান্তরগ্রহীতা কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৪। যদি কোনো হস্তান্তরগ্রহীতা ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মোটরযানের ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদউত্তীর্ন ফিটনেস সনদ ব্যবহার করিয়া বা ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত বা ফিটনেসের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৫। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ট্যাক্স-টোকেন ব্যতীত বা মেয়াদউত্তীর্ণ ট্যাক্স-টোকেন ব্যবহার করিয়া মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ২৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
রুট পারমিট ব্যতীত পাবলিক প্লেসে পরিবহন যান ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ২৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিদেশি নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিজ দেশের মোটরযান/ গণপরিবহণের রুট পারমিট গ্রহণ না করা সংক্রান্ত ধারা ২৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৮। যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ধারা ২৯ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মোটরযানের বাণিজ্যিক ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৩১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৭৯। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
গণপরিবহণে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন ও নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবী বা আদায় সংক্রান্ত ধারা ৩৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮০। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (৩) ও (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
কনট্রাক্ট ক্যারিজের মিটার অবৈধভাবে পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় সংক্রান্ত ধারা ৩৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ তাৎক্ষণিক অপসারণ সংক্রান্ত ধারা ৩৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড, বা স্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা এবং অস্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
চাঁদাবাজি নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত ধারা ৩৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860)-এর অধ্যায়-১৭ এর অধীন চাঁদাবাজি (extortion) সংক্রান্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কোনো মোটরযানের কারিগরি বিনির্দেশ অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৪০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪০ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড তবে অন্যূন ১ (এক) বছর, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ট্রাফিক সাইন ও সংকেতের ব্যবহার মানিয়া চলা সংক্রান্ত ধারা ৪২ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৫। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪২ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
অতিরিক্ত ওজন বহন করিয়া মোটরযান চালানো সংক্রান্ত ধারা ৪৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৩ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ২ (দুই) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ধারা ৪৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
নির্ধারিত শব্দমাত্রার অতিরিক্ত উচ্চমাত্রার কোনরুপ শব্দ সৃষ্টি বা হর্ণ বাজানো বা কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ণ মোটরযানে স্থাপন সংক্রান্ত ধারা ৪৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৮। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৫ এর উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
পরিবেশ দূষণকারী, ঝুঁকিপূর্ণ ইত্যাদি মোটরযান চালনার বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৮৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
 
(২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
মোটরযান পার্কিং এবং যাত্রী বা পন্য উঠানামার নির্ধারিত স্থান ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৪৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯০। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৭ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
দ্রুতগতির মোটরযান প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাসড়কের ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৪৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত ধারা ৪৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সাধারণ নির্দেশাবলির প্রথম অংশের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
 
(২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সাধারণ নির্দেশাবলির দ্বিতীয় অংশের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ মোটরযানে পরিবহন সংক্রান্ত ধারা ৫১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আর্থিক সহায়তা তহবিলে বাৎসরিক বা এককালীন চাঁদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা ৫৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫৩ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য কর্তৃপক্ষ তাহার গণপরিবহণ চালনার অনুমতিপত্র ও রুট পারমিট বাতিল করিতে বা ক্ষেত্রমত, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ বা উহার নবায়ন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে এবং তদোতিরিক্ত নির্ধারিত হারে জরিমানা আরোপ করা যাইবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত ধারা ৬২ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯৫। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬২ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা সংক্রান্ত ধারা ৬৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯৬। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৩ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল বন্ধ করিতে পারিবে।
মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন বা পরিচালনা সংক্রান্ত ধারা ৬৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
৯৭। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত মোটরযান মেরামত কারখানা সিলগালা করিয়া বন্ধ করিতে পারিবে।
ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দণ্ড
৯৮। যদি নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনুরূপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের দণ্ড
৯৯। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন বা প্ররোচনা প্রদান করেন বা ষড়যন্ত্র করেন এবং যাহার ফলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত সহায়তাকারী, যড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনা প্রদানকারী ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অপরাধ পুনঃ সংঘটনের দণ্ড
১০০। এই আইনে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডভোগকারী একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করিলে, উক্ত ব্যক্তিকে সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করা যাইবে এবং ইহা কোনোক্রমে পূর্বে প্রদত্ত দণ্ডের দ্বিগুণের কম হইবে না।
পরিদর্শনে বাধা প্রদান বা প্রদত্ত নির্দেশনা অমান্য সংক্রান্ত ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
১০১। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
আদেশ পালন ও তথ্য প্রদানে বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা ১১৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
১০২। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৮ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
আক্রমনাত্মক আচরণ ও জনরোষ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ধারা ১১৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
১০৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৯ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা সংক্রান্ত ধারা ১২৪ এর অধীন প্রণীত বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড
১০৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১২৪ এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশনা এবং প্রণীত নীতিমালায় প্রদত্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ
১০৫। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে, তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860)-এর এতদ্‌সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে:
 
তবে শর্ত থাকে যে, Penal Code,1860 (Act No. XLV of 1860)-এর section 304B এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
১০৬। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্তা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, “কোম্পানি” অর্থে, নিগমিত বা নিবন্ধিত হউক বা না হউক, কোনো কোম্পানি বা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন এবং সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা সরকারের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিকানাধীন যে কোনো কোম্পানি বা সংস্থাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs