প্রিন্ট ভিউ

সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন )

ত্রয়োদশ অধ্যায়

কার্যপদ্ধতি

কতিপয় অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ পদ্ধতি
১০৮। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার বা ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তি, ধারা ৪৩, ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৪, ৮৭, ৮৯, ৯২ এবং ৯৫ এর অধীন সংঘটিত অপরাধের জন্য অভিযোগ গঠন করিবেন, যাহার একটি কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হস্তান্তর করিতে হইবে, যিনি স্বাক্ষর বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিয়া উহার প্রাপ্তি স্বীকার করিবেন, এবং অপর কপি পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান এলাকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ট্রাফিক) বা অপরাধ সংঘটিত এলাকার জন্য সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত এখতিয়ারসম্পন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী নির্ধারিত পদ্ধতিতে অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, এবং যদি উক্ত জরিমানা নির্দিষ্ট তারিখে বা তৎপূর্বে নগদ অথবা অন্য কোনভাবে নির্ধারিত স্থানে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ সম্পর্কে অপরাধীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আরোপিত জরিমানার অর্থ প্রদান করা না হইলে, যে স্থানে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, উক্ত এলাকার আঞ্চলিক এখতিয়ারসম্পন্ন পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান এলাকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ট্রাফিক), বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ অফিসার, বা যথাযথ অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আদালতে অভিযোগ দায়ের করিবেন।
 
(৪) কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কপি গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিলে বা উহা এড়াইয়া যাইবার চেষ্টা করিলে, বা সংশ্লিষ্ট প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ গ্রহণে অস্বীকার করিলে, এই ধারা অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচরী তাহাকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারিবেন এবং যথাযথ আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের অতিরিক্ত আদালত তাহাকে অতিরিক্ত অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে।
মোটরযান থামাইবার এবং মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষার ক্ষমতা
১০৯। সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার বা, ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক কোনো চালক মোটরযান থামাইতে এবং মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতা
১১০। (১) কোনো পোশাকধারী পুলিশ অফিসারের সন্মুখে কোনো ব্যক্তি ধারা ৭২, ৭৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮৪, ৮৬, ৮৯, ৯২(১), ৯৮ বা ১০৫ এর অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করিলে, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
 
(২) উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রয়োজনে, কোনো পুলিশ অফিসার ওয়ারেন্ট ব্যতীত কোনো মোটরযানের চালককে গ্রেফতার করিলে, তিনি উক্ত মোটরযানের নিরাপদ হেফাজতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, বা মোটরযানটি নিকটতম থানায় লইয়া যাইবেন।
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ অফিসার, যথাশীঘ্র সম্ভব, তবে কোনক্রমেই চব্বিশ ঘন্টার অধিক নহে, সংশ্লিষ্ট মোটরযানের মালিককে মোটরযানটি কোথায় স্থানান্তর করা হইয়াছে এবং চালককে কোথায় লইয়া যাওয়া হইয়াছে তাহা অবহিত করিবেন।
পুলিশ অফিসার কর্তৃক মোটরযানের কাগজপত্র আটকের ক্ষমতা
১১১। (১) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, মোটরযানের চালক বা মোটরযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদর্শিত মোটরযান সনাক্তকরণ চিহ্ন বা লাইসেন্স বা পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদ, ফিটনেস সনদ, বীমা সনদ, বা অন্য কোনো কাগজপত্র Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর ধারা ৪৬৪ এ বিধৃত অর্থে মিথ্যা বা জাল, তাহা হইলে তিনি উক্ত কাগজপত্র বা চিহ্ন আটক করিতে এবং অনুরূপ মিথ্যা বা জাল কাগজপত্র বা চিহ্ন রাখিবার জন্য কৈফিয়ত প্রদানের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক অথবা মালিককে তলব করিতে পারিবেন।
 
(২) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, এই আইনের অধীন অভিযুক্ত চালক বা কন্ডাক্টর, যদি থাকে, পলায়ন করিতে বা সমন জারি করা হইলে উহা এড়াইয়া যাইতে পারে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ চালক বা কন্ডাক্টরের লাইসেন্স আটক করিয়া উহা সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করিবেন এবং চালক বা কন্ডাক্টর প্রথমবার হাজির হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত আদালত তাহাকে উপ-ধারা (৩) এর অধীন সাময়িক প্রাপ্তিস্বীকারপত্রের বিনিময়ে উক্ত লাইসেন্স ফেরত প্রদান করিবে।
 
(৩) আদালত ভিন্নরূপ আদেশ প্রদান না করিলে, উপ-ধারা (২) এর অধীন লাইসেন্স আটককারী পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স সমর্পনকারী ব্যক্তিকে একটি সাময়িক প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি তৎদ্বারা লাইসেন্স ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত বা প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে বর্ণিত তারিখ পর্যন্ত মোটরযান চালাইতে বা কন্ডাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন।
রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস সনদ বা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান চালনার ফলাফল
১১২। (১) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো নির্দিষ্ট মোটরযান ধারা ১৬ এ বর্ণিত রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিধান বা ধারা ২৫ এ বর্ণিত ফিটনেস সংক্রান্ত বিধান বা ধারা ২৮ এ বর্ণিত রুট পারমিট সংক্রান্ত বিধান প্রতিপালন ব্যতিরেকে উক্ত মোটরযান ব্যবহার করা হইতেছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত মোটরযান আটক করিতে এবং সাময়িক হেফাজতে লইতে পারিবেন।
 
(২) সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো মোটরযান ধারা ২৫ এ বর্ণিত ফিটনেস সংক্রান্ত বিধান বা ধারা ২৮ এ বর্ণিত রুট পারমিট সংক্রান্ত বিধান প্রতিপালন ব্যতিরেকে ব্যবহৃত হইতেছে, তাহা হইলে তিনি রেজিস্ট্রেশন সনদ আটক করিয়া উহার একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করিবেন।
ঘটনাস্থলে কতিপয় শ্রেণির অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে জরিমানা আরোপ করিবার ক্ষমতা
১১৩। (১) এই আইন বা আপাতত বলবত অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক কেন, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত কোনো এলাকায় কোনো ব্যক্তি, যদি সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির সন্মুখে, ধারা ৪৩, ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৪, ৮৭, ৮৯, ৯২ এবং ৯৫ এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত অফিসার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই তাহাকে জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জরিমানা আরোপকারী কর্মচারী নির্ধারিত ফরমে অপরাধের ধরন এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য আরোপিত জরিমানার পরিমাণ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত জরিমানা প্রদান করিবেন এবং উক্ত কর্মচারীর নিকট হইতে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র গ্রহণ করিবেন।
 
(৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগের কপি গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিলে, বা উপ-ধারা (২) এর অধীন জরিমানা পরিশোধ না করা হইলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়িত্বপালনকারী কর্মচারী যে মোটরযান অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হইয়াছে উহা নিকটবর্তী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন, এবং ভারপ্রাপ্ত অফিসার মোটরযানটি তাহার হেফাজতে রাখিবেন এবং জরিমানা পরিশোধের পর যথাশীঘ্রসম্ভব মোটরযানটি অবমুক্ত করিবেন এবং যে অফিসার মোটরযানটি প্রেরণ করিয়াছিলেন তাহাকে এতদ্সম্পর্কে অবহিত করিবেন।
অপরাধের তদন্ত, বিচার ইত্যাদি
১১৪। (১) এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল, ইত্যাদির ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
 
(২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নম্বর আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার করা যাইবে।
মোটরযান আটক ও বিলি-বন্দেজ
১১৫। (১) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোন কর্মকর্তা বা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) কোনো মোটরযান আটক করিতে পারিবেন এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
(২) এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশের ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট (টিআই) পদমর্যাদার কোনো অফিসার মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করিতে পারিবেন।
 
(৩) এই আইনের অধীন কোন মোটরযান ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করা হইলে উহা অবমুক্তির জন্য মোটরযান মালিক, মোবাইল কোর্টের ক্ষেত্রে, ২ (দুই) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে এবং, অন্যান্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার বা উপ-পুলিশ কমিশনার বা সমমর্যাদার অফিসারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন; এবং আদালত বা সংশ্লিষ্ট কর্মচরী দলিল-দস্তাবেজ পর্যালোচনা ও শুনানি গ্রহণ করিয়া নিষ্পত্তিমূলক আদেশ প্রদান করিবেন।
 
(৪) ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরিত মোটরযানের মালিক ডাম্পিং ইয়ার্ড হইতে মোটরযান অবমুক্তির জন্য উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করিলে, ডাম্পিং ইয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিয়া মোটরযানটি কোনো সরকারি সংস্থা বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা যাইবে বা নিলামে বিক্রয় করা যাইবে।
পরিদর্শনের এখতিয়ার
১১৬। (১) কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচরী বা মোটরযান পরিদর্শক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির বিধান অনুসরণ করিয়া যে কোনো মোটরযান বা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বা তদসংশ্লিষ্ট স্থাপনা বা এলাকা পরিদর্শন করিতে এবং যে কোনো নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেন।
 
(২) কোনো মোটরযান মালিক বা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনে বাধা প্রদান করিতে পারিবেন না এবং উক্ত উপ-ধারার অধীন কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হইলে উহা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।
অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা
১১৭। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ ভিন্নতর কোনো কিছু না থাকিলে,-
 
(ক) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable) হইবে, যদি উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো পুলিশ অফিসার, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তি যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতকে অবহিত করেন;
 
(খ) এই আইনের ধারা ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (bailable) হইবে; এবং
 
(গ) এই আইনের ধারা ৬৬, ৭২, ৭৫, ৮৭, ৮৯ এবং ৯২ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।
 
(২) আঞ্চলিক এখতিয়ারসম্পন্ন কোনো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী বা অন্যূন অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বা সম-মর্যাদাসম্পন্ন কোনো পুলিশ অফিসার এই আইনের অধীন আপোষযোগ্য অপরাধসমূহ আপোষ-মীমাংসা করিতে পারিবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs