প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
চতুর্থ অধ্যায়
মাদকদ্রব্য প্রতিরোধের ক্ষমতাসমূহ
৩৪। (১) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্তকালে যদি তদন্তকারী অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তির নিকট উক্ত অপরাধের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পত্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তর তদন্ত কার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদানের জন্য, তিনি 1[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারী ও যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া 2[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং যদি তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান যুক্তিসংগত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে, ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হইলে 3[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের] আবেদনকারী অফিসারের আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময় অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস হইলে তিনি প্রার্থিত আদেশ প্রদান করিবেন:
আরও শর্ত থাকে যে, উভয় পক্ষের শুনানির পর আবেদনটির নিষ্পত্তিসাপেক্ষে বিশেষ কারণে কেবল আবেদনকারীকে শুনানি প্রদান করিয়া 4[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] আবেদনটির ব্যাপারে সাময়িক আদেশ জারি করিতে পারিবে।
(৩) কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধের জন্য দায়েরকৃত কোনো মামলা চলাকালীন অভিযোগকারী যদি এই মর্মে আবেদন করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার প্রয়োজন হইবে এবং সেই কারণে তাহার সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর অথবা অন্য কোনো প্রকার লেনদেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদান প্রয়োজন, তাহা হইলে 5[এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত] উভয়পক্ষকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ দান করিয়া, প্রয়োজনবোধে, উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিবে।