মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর আমদানি নিষিদ্ধকরণ (prohibition) বা সীমিতকরণ (restriction) ইত্যাদি
৮। (১) সরকার Imports and Exports (Control) Act, 1950 (Act No.XXXIX of 1950) এর অধীন প্রণীত আমদানি নীতি আদেশে উল্লিখিত শর্তে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু বা মানুষের রোগের সংক্রমণের কারণ হইতে পারে, উহার আমদানি নিষিদ্ধ, সীমিত বা অন্য কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু এবং প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এ শুল্ক কর্মকর্তার বাধা-নিষেধ আরোপ করিবার যে ক্ষমতা রহিয়াছে, সেই ক্ষমতা মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
আমদানি নিষেধাজ্ঞা
৯। (১) আমদানি অনুমতিপত্র ব্যতিরেকে কোনো আমদানিকারক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানি করিতে পারিবে না।
(২) কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি নির্ধারিত বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করিতে হইবে।
(৩) সরকার, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানির শর্ত নির্ধারণ করিতে পারিবে অথবা কোনো শর্ত হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
আমদানি অনুমতিপত্র ইস্যুকরণ, সংশোধন, বাতিল, ইত্যাদি
১০। (১) আমদানি অনুমতিপত্রের জন্য, নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে, কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতি ও ফরমে আবেদন করা যাইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, আমদানির অনুমতিপত্র ইস্যু করিতে পারিবে।
(৩) কর্তৃপক্ষ, যুক্তিসঙ্গত কারণে, ইস্যুকৃত আমদানির অনুমতিপত্র বাতিল বা স্থগিত বা সংশোধন করিতে পারিবে।
পরিদর্শন, পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ, ইত্যাদি
১১। (১) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা আমদানিকৃত মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি, বাহন, গুদাম ও উহার অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যাদি পরিদর্শন, পরীক্ষা ও উহার নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে শোধনপূর্বক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(২) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার আদেশ মোতাবেক মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বহনকারী বা গুদামজাতকারী বা বাহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট গুদাম, বাহন ও উহার অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যাদি পরিদর্শন এবং প্রয়োজনে শোধনের জন্য উন্মুক্ত করিয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(৩) আমদানিকারক, মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী, আমদানিকৃত দ্রব্যাদি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করিবার অনুমতি প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।
কন্টেইনার স্থানান্তর
১২। মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা পরীক্ষাধীন মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি তাহার অনুমতি ব্যতীত স্থানান্তরিত করা যাইবে না বা কোনো কন্টেইনার খোলা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, শুল্ক কর্মকর্তার কার্য নির্বাহের জন্য উক্ত বিধানটি শিথিলযোগ্য হইবে।
রোগ সংক্রমিত মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর আটকাদেশ
১৩। এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া বাংলাদেশে আমদানি করা মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু অথবা ট্রানজিটে থাকা বা বাংলাদেশের এক অংশ হইতে অন্য অংশে বহন করা মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি, যাহা রোগজীবাণু পোষণকারী হিসাবে সন্দেহযুক্ত বা সংক্রমিত, উহা আটক করা যাইবে অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রবেশের অসম্মতি প্রদান করা যাইবে।
ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘ট্রানজিট’’ বলিতে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি এক দেশ হইতে অন্য দেশে পরিবহণকালে বাংলাদেশ অতিক্রমের সময়কে বুঝাইবে।
সঙ্গনিরোধের জন্য মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু নিয়ন্ত্রণ
১৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আটক বা বাজেয়াপ্ত সকল মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু সঙ্গনিরোধের জন্য মৎস্য সঙ্গগনিরোধ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকিবে এবং তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর সঙ্গনিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
আটককৃত সম্পত্তির নিষ্পত্তিকরণ, ব্যয় নির্বাহ, ইত্যাদি
১৫। (১) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ধারা ১৩ এর অধীন আটককৃত মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাজেয়াপ্ত, ধ্বংস, অপসারণ, শোধন বা মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ধ্বংস করিতে হইবে এমন দ্রব্য ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হইলে উহা প্রকাশ্য নিলামে বা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক অন্য কোনো আইনসম্মত উপায়ে বিক্রয় করা যাইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করিতে হইবে।
(৪) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ধারা ১৩ এর অধীন মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির আটক এবং উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়, কারণসহ, আমদানিকারক অথবা, ক্ষেত্রমত, মালিককে অবহিত করিবেন।
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন আটককৃত দ্রব্যাদি শোধন বা অপসারণ বা ধ্বংস করিবার ক্ষেত্রে সকল ব্যয় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বহন করিবে।
মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট ঘোষণা প্রদান
১৬। (১) কোনো ব্যক্তি তাহার সম্মতিক্রমে বা অসম্মতিতে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাংলাদেশের বাহির হইতে প্রাপ্ত হইলে, তিনি এবং সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিকটস্থ মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট উক্ত বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করিবেন।
(২) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দ্রব্যাদি পরীক্ষান্তে উহা ছাড়করণ বা ধারা ১৫ এর বিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।