প্রিন্ট ভিউ

মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৬৮ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

মৎস্য রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ ও নির্মূলকরণ

মৎস্য রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ (Containment) বা নির্মূলকরণ (Eradication)
১৭। মৎস্য রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ বা নির্মূলকরণের লক্ষ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণু, জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজমস্, লিভিং মডিফাইড অর্গানিজমস্ ও এলিয়েন ইনভেসিউ স্পেসিস, জার্মপ্লাজম, প্যাকিং দ্রব্যাদি, ক্ষতিকারক রোগজীবাণু অথবা সমজাতীয় অন্য যে কোনো দ্রব্য, যাহা মৎস্য রোগজীবাণু পোষণকারী ও বিস্তারকারী, উহার অনুপ্রবেশ, প্রবর্তন, বিক্রয়, চাষাবাদ, বংশবৃদ্ধিকরণ বা পরিবহণ নিষিদ্ধ বা বাধা-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।
সংক্রামক রোগজীবাণু হিসাবে ঘোষণা
১৮। (১) কোনো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু যদি মৎস্য উৎপাদন, উপকারী জীবাণু বা প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য শঙ্কাপূর্ণ হয় অথবা কোনো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু যদি বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করিয়াছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া যায় বা বাংলাদেশে বিদ্যমান রহিয়াছে এবং এমন ক্ষতিকারক রোগজীবাণু সীমাবদ্ধকরণ ও নির্মূলকরণ প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হয়, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত রোগজীবাণুকে সংক্রামক রোগজীবাণু হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
(২) কোনো পুকুর, দিঘি বা যে কোনো ধরনের জলাশয় অথবা কোনো আঙ্গিনায় সংক্রামক রোগজীবাণু হিসাবে পরিচিত বা অনুমিত রোগজীবাণু পাইবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট জলাশয় বা আঙ্গিনার অধিকারী বা মালিক উহা নিকটস্থ মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।
সংক্রমিত এলাকাকে নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা এবং মৎস্য সঙ্গনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা
১৯। সরকার মৎস্য সঙ্গনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :-
 
(ক) ক্ষতিকারক রোগজীবাণু দ্বারা সংক্রমিত এলাকা অথবা সংক্রমিত হইয়াছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ হইতেছে এমন এলাকাকে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণাকরণ;
 
(খ) সংক্রমিত পুকুর, দিঘি বা যে কোনো ধরনের জলাশয় বা কোনো আঙ্গিনা অথবা সংক্রমিত হইয়াছে বলিয়া সন্দেহ হইতেছে এমন পুকুর, দিঘি বা যে কোনো ধরনের জলাশয় বা আঙ্গিনাকে সঙ্গনিরোধ কার্যক্রমের জন্য নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা এবং মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
(গ) নিয়ন্ত্রিত এলাকার মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বা উহার বাহন অথবা গুদামজাত এলাকার ক্ষতিকারক রোগজীবাণুর বিস্তার নির্মূল বা সীমিত বা নির্জীবিকরণ (disinfestation) বা সংক্রামক জীবাণু নাশকরণের (disinfection) বা নিমিত্ত শোধন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
(ঘ) দফা (গ) এর অধীন মৎস্যস্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষতিকারক জীবাণু নির্মূল বা সীমিত করা সম্ভব নহে বলিয়া মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হইলে, সংক্রমিত এলাকার আংশিক বা সম্পূর্ণ অঞ্চলের মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর উৎপাদন ও আহরণ নিষিদ্ধকরণ, সীমাবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণকরণ এবং এইরূপ নিষিদ্ধকরণ, সীমাবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ বহাল থাকিবার সময় নির্দিষ্টকরণ।
সহায়তা
২০। বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ কাস্টমস, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, ডাক বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, শিপিং এজেন্সিজ এবং সমজাতীয় সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এই আইনের পরিপন্থি কার্যক্রম রোধ করিতে পারিবেন এবং মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs