প্রিন্ট ভিউ

মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ৬৮ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড

অপরাধ ও দণ্ড
২১। (১) কোনো আমদানিকারক আমদানি অনুমতিপত্র ব্যতীত অথবা এই আইনের অধীন নিষিদ্ধ কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাংলাদেশে আমদানি, উৎপাদন, মজুদ, বহন বা বিক্রয় করিলে, উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
 
(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি তাহার অধিকার, তত্ত্বাবধান বা নিয়ন্ত্রণে রাখিলে অথবা উৎপাদন, মজুদ, বহন, বিক্রয়, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার, বিতরণ বা পরিবহণ করিলে, উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
 
(৩) কোন ব্যক্তি বা আমদানিকারক-
 
(ক) কোনো মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করিলে, প্রতিরোধ করিলে অথবা ভীতি প্রদর্শন করিলে;
 
(খ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা প্রতিপালনে অস্বীকার করিলে অথবা অবজ্ঞা করিলে;
 
(গ) আমদানি অনুমতিপত্র বা ছাড়পত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রদান করিলে;
 
(ঘ) ধারা ১১ ও ১২ এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য বা অগ্রাহ্য করিলে;
 
(ঙ) ধারা ১৬(১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে;
 
(চ) মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপিত অথবা তদ্‌কর্তৃক জারিকৃত কোনো দলিলের পরিবর্তন বা বিকৃত করিলে;
 
উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
কোম্পানি, ইত্যাদি কতৃক অপরাধ সংঘটন
২২। কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
 
ব্যাখ্যা ।- এই ধারায়-
 
(ক) ‘‘কোম্পানি’’ বলিতে কোনো কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ বলিতে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
২৩। মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
অপরাধ আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা
২৪। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non cognizable) এবং জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।
তদন্ত, বিচারের পদ্ধতি, ইত্যাদি
২৫। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে।
ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ বিচার
২৬। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।
দণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা
২৭। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার
২৮। এই আইনের অন্য কোনো বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২১ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।
প্রশাসনিক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, ইত্যাদি
২৯। (১) এই আইনের অধীন কোনো লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো আমদানি অনুমতিপত্র গ্রহীতা সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে-
 
(ক) আদেশটি যদি কোনো মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত থাকে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষের নিকট; এবং
 
(খ) আদেশটি যদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট;
 
আপিল করিতে পারিবেন।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আপিল দাখিল করা হইলে, আপিল দাখিলের অনধিক ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs