প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইন, ২০১৯

( ২০১৯ সনের ৬ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক, ইত্যাদি

সংজ্ঞা
 

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

 

 

 

 

 

(১)  “অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উদ্ভূত জাত (Essentially Derived Variety)’’ অর্থ এমন একটি জাত যাহা অন্য একটি প্রাথমিক (primary) জাত হইতে বংশ বিস্তার বা রূপান্তরের মাধ্যমে উৎপন্ন এবং যাহাতে উক্ত প্রাথমিক জাতের জেনোটাইপ বা জেনোটাইপসমূহের মিলনের ফলে নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে, যথাঃ-

 

 

 

 

 

(অ) উৎপন্ন জাতটি প্রাথমিক জাত হইতে স্পষ্টভাবে পৃথক বা ভিন্ন; এবং

 

 

 

 

 

(আ) উৎপন্ন জাতটির অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রাথমিক জাতের সহিত সংগতিপূর্ণ;

 

 

 

   (২)  “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ;

 

 

 
 

 

 

 

   (৩)  “কৃষক” অর্থ বাংলাদেশে বসবাসকারী এমন ব্যক্তি যিনি-

 

 

 

(ক) নিজের জমিতে বা অন্যের জমিতে বা চাষোপযোগী যে কোনো স্থানে শস্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ করিয়া থাকেন; বা

 

 

 

(খ) অন্য লোক নিয়োগ করিয়া সরাসরি চাষাবাদ কার্যের তদারক করিয়া থাকেন; বা

 

 

 

(গ) এককভাবে বা যৌথভাবে উত্তম বৈশিষ্ট্যাবলি শনাক্তকরণ ও নির্বাচনের মাধ্যমে বন্য প্রজাতি বা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ও প্রচলিত জাতসমূহ অর্থাৎ দীর্ঘকালযাবৎ চাষাবাদ হইতেছে এইরূপ আদিজাত (Landraces) বা কৃষকের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করেন;

 

 

 

    (৪) “কৃষক অধিকার” অর্থ ধারা ২৩ এ বর্ণিত অধিকার;

 

 

 

              (৫) ‘কৃষক জাত’ অর্থ-

 

 

 

(ক) যে জাত কৃষক কর্তৃক উদ্ভাবিত এবং যাহা কৃষক নিজ জমিতে চাষ করিয়া আসিতেছে, এবং

 

 

 

(খ) যে জাত কোনো বন্য প্রজাতি (wild variety) এর সহিত সম্পর্কিত অথবা আদিজাত যাহার উদ্ভাবক অজ্ঞাত কিন্তু উক্ত জাত সম্পর্কে কৃষকের জ্ঞান রহিয়াছে;

 

 

 

(৬) “কৌলিসম্পদ” অর্থ উদ্ভিদের সম্পূর্ণ, অংশবিশেষ বা বংশ বিস্তারক্ষম অংশ যেমন- বীজ, অঙ্গজ অংশ, কলা বা কোষসমষ্টি (Tissue) ও জীবকোষ (Cell) জিন (Gene) ও জেনোমিক ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড অনুক্রম; কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতির সকল প্রকরণও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 

 

 

(৭) “কোম্পানি” অর্থ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো কোম্পানি;

 

 

 

(৮) “চেয়ারম্যান” অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;

 

 

 

(৯) “জাত” অর্থ বীজ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৩) এ উল্লিখিত জাত;

 

 

 

(১০) “জাতীয় বীজ বোর্ড” অর্থ বীজ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬ নং আ্নি) এর ধারা ৩ এর অধীন গঠিত জাতীয় বীজ বোর্ড;

 

 

 

(১১) “জিএমও (Genetically Modified Organism)” অর্থ কৌলিগতভাবে রূপান্তরিত প্রাণসত্তা (Organism) যাহা মলিকুলার পর্যায়ে জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত এবং নূতন ধরনের বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন করিতে বা নূতন বৃত্তির প্রকাশ ঘটাইতে সক্ষম;

 

 

 

(১২) “নামকরণ” অর্থ সংশ্লিষ্ট জাত বা উহার বীজ বা বংশ বিস্তারক্ষম অংশের নাম যাহা যে কোনো ভাষায় লিখিত বর্ণসমষ্টি বা যুগপৎভাবে বর্ণসমষ্টি ও সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত;

 

 

 

(১৩) “নিবন্ধন বহি” অর্থ ধারা ১৫ এ উল্লিখিত নিবন্ধন বহি;

 

 

 

(১৪) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;

 

 

 

(১৫) “প্রজননবিদ” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি-

 

 

 

(ক) এমন একটি উদ্ভিদের জাত প্রজনন বা উদ্ভাবন করিয়াছেন যাহা বাংলাদেশে সমসাময়িককালে নূতন;

 

 

 

(খ)   দফা (ক) এ উল্লিখিত ব্যক্তির নিয়োগকারী বা যিনি তাহাকে জাত প্রজনন বা উদ্ভাবন কার্যে নিয়োগদান করিয়াছেন; বা

 

 

 

(গ)   দফা (ক) বা (খ) এ উল্লিখিত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উত্তরসূরী;

 

 

 

(১৬) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 

 

 

(১৭) “বীজ” অর্থ বীজ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১২) তে উল্লিখিত বীজ;

 

 

 

(১৮) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি:

 

 

 

(১৯) “বোর্ড” অর্থ এই আইনের ধারা ৮ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড;

 

 

 

(২০) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ ধারা ১২ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার; এবং

 

 

 

(২১) ‘‘সংরক্ষিত জাত’’ অর্থ ধারা ১৫ এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত উদ্ভিদের জাত।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs