প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
তৃতীয় অধ্যায়
উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি, জাত নিবন্ধন, সংরক্ষণ, ইত্যাদি
১৬। (১) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণের জন্য আবেদনের যোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে, যথা : -
(ক) বাংলাদেশি নাগরিক বা আইনানুগ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
(খ) অন্য কোনো দেশের নাগরিক বা আইনানুগ ব্যক্তি বা এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যাহার বাংলাদেশে কার্যালয় রহিয়াছে;
(গ) বাংলাদেশের নাগরিক বা আইনানুগ ব্যক্তি যিনি বিদেশ বা বিদেশি সংস্থায় কর্মরত অবস্থায় বা অন্য কোনোরূপ সহযোগিতার মাধ্যমে কোনো উদ্ভিদের নূতন জাত উদ্ভাবন করিয়াছেন, এবং উক্ত দেশ বা সংস্থার অনুমতি গ্রহণ করিয়া এই আইনের অধীন সংরক্ষণের জন্য আবেদন করিয়াছেন;
(ঘ) বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব রহিয়াছে এইরূপ আন্তর্জাতিক কনভেনশন বা চুক্তির অংশীদার দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান;
(ঙ) প্রজননবিদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি, উত্তরাধিকারী এবং প্রজননবিদ হিসাবে দাবিদার কোনো কৃষক বা কৃষক সমিতি; এবং
(চ) রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্তৃপক্ষ।
(২) কোনো সংস্থার চাকরি বা চুক্তিতে নিয়োজিত কোনো কর্মচারী যদি কোনো উদ্ভিদের জাত প্রজনন করেন, তাহা হইলে চাকরির শর্ত বা সম্পাদিত চুক্তিতে ভিন্ন কোনোরূপ শর্ত না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উহা সংরক্ষণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৩) যদি একাধিক প্রজননবিদ নূতন উদ্ভিদের জাত উদ্ভাবন করেন, তাহা হইলে তাহারা যৌথভাবে অথবা তাহাদের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো একজন প্রজননবিদ জাত সংরক্ষণের আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।
(৪) যদি একাধিক প্রজননবিদ যৌথভাবে উদ্ভিদের নূতন জাত প্রজনন বা উদ্ভাবন করেন এবং যৌথভাবে উহার অধিকার সংরক্ষণ করিতে আগ্রহী হন, তাহা হইলে তাহাদের সকলের স্বাক্ষরে যৌথভাবে জাত সংরক্ষণের আবেদন দাখিল করিতে হইবে।