প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
তৃতীয় অধ্যায়
উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি, জাত নিবন্ধন, সংরক্ষণ, ইত্যাদি
১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তি জাত সংরক্ষণের নিবন্ধনের জন্য আবেদনের যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি -
(ক) এই আইন বা বীজ আইন, ২০১৮ এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন;
(খ) তাহার আবেদনে নিম্নবর্ণিত তথ্য সরবরাহ বা, ক্ষেত্রমত, দাখিল করিতে ব্যর্থ হন, যথা :-
(অ) আবেদনকৃত জাতটির প্রজননে কৃষকের জ্ঞান বা কৌলিসম্পদ ব্যবহারের প্রমাণ,
(আ) কৃষকের জ্ঞান বা কৌলিসম্পদ ব্যবহারে কৃষক বা কৃষক সমিতির নিকট হইতে প্রজনন অধিকারের কারণে প্রাপ্য সুবিধাদি সংক্রান্ত শর্তাবলি ও অনুমতির উল্লেখসহ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ফরমে চুক্তি, এবং
(ই) বাংলাদেশের বাহির হইতে সংগৃহীত কৌলিসম্পদের ক্ষেত্রে, উক্ত উপকরণাদি দেশের আইন অনুযায়ী সংগৃহীত এবং ইহা হইতে উদ্ভাবিত উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণের জন্য আবেদনকারীর অনুকূলে আবেদনের অনুমতি;
(গ) জীববৈচিত্র্য কনভেনশন বা খাদ্য ও কৃষির জন্য উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অযোগ্য হন; এবং
(ঘ) ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড রেস্ট্রিকশন টেকনোলজি বা টারমিনেটর টেকনোলজি ব্যবহার করিয়া কোনো জাত উদ্ভাবন করেন।
ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘টার্মিনেটর টেকনোলজি অথবা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড রেস্ট্রিকশন টেকনোলজি’ অর্থ জাতের কৌলিক পরিবর্তন যাহার দ্বারা বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা পরবর্তী বৎসরে বাধাগ্রস্ত হইয়া থাকে।