প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
চতুর্থ অধ্যায়
প্রজননবিদের অধিকার, মেয়াদ, কৃষক অধিকার, ইত্যাদি
২১। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত জাত ব্যবহারের জন্য নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) উৎপাদন ও পুনরোৎপাদন;
(খ) বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত অবস্থায় আনয়ন বা ব্যবহার;
(গ) বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন ও প্রস্তাব;
(ঘ) বিক্রয় বা অন্যভাবে বিপণন;
(ঙ) আমদানি বা রপ্তানি; এবং
(চ) দফা (ক) হইতে (ঙ) এ উল্লিখিত যে কোনো একটি উদ্দেশ্যে মজুদকরণ।
(২) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে এবং নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, কোনো প্রজননবিদ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুমোদনের ক্ষমতা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্পণ করিতে পারিবে।
(৩) কোনো প্রজননবিদের সংরক্ষিত জাত এক বা একাধিকবার ব্যবহার করিয়া যদি কোনো ব্যক্তি উক্ত জাতের মৌলিক বিশিষ্ট্যসমূহ অক্ষুণ্ণ রাখিয়া এক বা একাধিক নূতন জাত উদ্ভাবন করেন, তাহা হইলে মূল সংরক্ষিত জাতের উদ্ভাবক প্রজননবিদের অধিকার বহাল থাকিবে।
(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, একজন ব্যক্তি―
(ক) পরবর্তী মৌসুমে কৃষি উৎপাদনের জন্য তাহার উৎপাদিত কোনো সংরক্ষিত জাতের বীজ সংরক্ষণ; বা
(খ) দফা (ক) এ উল্লিখিত সংরক্ষিত বীজ নিজের প্রয়োজনে বা অন্য কোনো কৃষকের সহিত তাহার নিজের ব্যবহারের জন্য অন্য কোনো বীজ বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবহার; বা
(গ) গবেষণা ও পরীক্ষার প্রয়োজনে সংরক্ষিত জাতের ব্যবহার; বা
(ঘ) নূতন কোনো জাত উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক উৎস হিসাবে সংরক্ষিত জাতের ব্যবহার করিতে পারিবেন।
(৫) কর্তৃপক্ষ, জনস্বার্থে সংরক্ষিত জাত ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রজননবিদের অধিকার, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে, সীমিত করিতে পারিবে, যথা:―
(ক) রোগ প্রতিরোধ ;
(খ) পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ;
(গ) একতরফা বাণিজ্যের অপব্যবহার রোধ অর্থাৎ যদি সংরক্ষিত জাতের বীজের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপর্যাপ্ত রাখিয়া বাজারে বীজের দাম বৃদ্ধি করা হয়, বা যদি নূতন উদ্ভিদের জাতটি নিবন্ধন প্রদানের ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে বাজারজাত করা না হয়;
(ঘ) রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনো সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি; এবং
(ঙ) কর্তৃপক্ষ বা সরকারের বিবেচনায় অন্য যে কোনো জনকল্যাণমূলক প্রয়োজনে।
(৬) কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদনক্রমে, জিএমও জাতের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বা ব্যবহারে প্রজননবিদের অধিকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সীমিত বা, ক্ষেত্রমত, নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
(৭) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (৫) এর দফা (গ) ও (ঘ) এ উল্লিখিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করিবার উদ্দেশ্যে, সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার অধিকার সীমিত করিতে পারিবে এবং সংরক্ষিত জাতের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বা ব্যবহারের জন্য অন্য কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে, উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন অনুমতি প্রদানের সময় সংরক্ষিত জাত নিবন্ধনের পর অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর বহাল থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের জন্য যথাযথ পারিতোষিক ধার্য করিতে হইবে।
(৯) যে পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত অনুমতি প্রদান করিয়াছিলেন সেইরূপ পরিস্থিতি বিদ্যমান না থাকিলে কর্তৃপক্ষ উক্ত অনুমতি বাতিল করিতে পারিবে।
(১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন অনুমতি প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত জাতের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বাব্যবহার করিতে পারিবেন না।