প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
চতুর্থ অধ্যায়
প্রজননবিদের অধিকার, মেয়াদ, কৃষক অধিকার, ইত্যাদি
২২। (১) ধারা ২১ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সংরক্ষিত জাত ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের অনুমোদন গ্রহণের মেয়াদ হইবে নিম্নরূপ, যথা :―
(ক) ফলদ বৃক্ষ, অন্যান্য বৃক্ষ প্রজাতি এবং বহুবর্ষী লতানো প্রজাতির ক্ষেত্রে ১৬ (ষোল) বৎসর; এবং
(খ) অন্য সকল উদ্ভিদ প্রজাতির ক্ষেত্রে ১৪ ( চৌদ্দ ) বৎসর।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে সংরক্ষিত জাত নিবন্ধনের আবেদন দাখিল করিবার তারিখ বা ধারা ১৮ এ উল্লিখিত অগ্রগণ্যতা প্রাপ্তির তারিখের মধ্যে যেইটি সর্বাগ্রে হয় সেই তারিখ হইতে গণনা আরম্ভ করিতে হইবে।
(৩) কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র বা কারণে এই আইনের অধীন প্রদত্ত প্রজননবিদের অধিকার স্থগিত বা বাতিল ঘোষণা করিতে পারিবে, যথা:―
(ক) নিবন্ধন সনদ প্রদানের সময় জাতটির নূতনত্ব বা সুস্পষ্ট স্বাতন্ত্র্য ছিল না;
(খ) উদ্ভিদের জাতটির সমরূপতার গ্রহণযোগ্য সীমা বা স্থায়িত্ব না থাকা;
(গ) প্রজননবিদ উদ্ভিদের জাতটির রক্ষণাবেক্ষণ যাচাইয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণাদি সরবরাহ না করিলে;
(ঘ) প্রজননবিদ তাঁহার অধিকার বলবৎ রাখিবার জন্য প্রয়োজনীয় নিবন্ধন ‘ফি’ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হইলে;
(ঙ) নিবন্ধন প্রদানের পর কোনো উদ্ভিদের জাতের নাম বাতিল করা হইলে এবং প্রজননবিধ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্য কোনো উপযুক্ত নাম প্রস্তাব না করিলে;
(চ) প্রজননবিদ কোনো জাতের সহিত সংশ্লিষ্ট ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করিলে; এবং
(ছ) সংরক্ষিত জাতের নিবন্ধন সনদটি যাহাকে প্রদান করিবার কথা, তাহার পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রদান করা হইয়া থাকিলে, যদি সনদটি যথাযথ ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা না হইয়া থাকিলে।
(৪) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (৩) এর অধীন একজন প্রজননবিদের অধিকার স্থগিত বা বাতিল করিবার পূর্বে উহার কারণ উল্লেখপূর্বক তাঁহাকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে তদ্কর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৫) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করিবে এবং প্রজননবিদের অধিকার স্থগিত বা বাতিলের বিষয়ে যথোপোযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান অনুযায়ী প্রজননবিদের অধিকার বাতিল করা হইলে তিনি এই আইনের অধীন কোনো অধিকার দাবি করিতে পারিবেন না।
(৭) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পরও সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত জাতটির নাম পরিবর্তন না করিয়া উৎপাদন, পুনরুৎপাদন, সংরক্ষণ, ব্যবহার, পুনঃব্যবহার, বিনিময় বা বিক্রয় করা যাইবে।
(৮) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোনো প্রজননবিদের সহিত কোনো ব্যক্তির আইনসংগত স্বার্থ বিদ্যমান থাকিলে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রজননবিদের একক বা নিরঙ্কুশ অধিকার অকার্যকর বা বাতিল ঘোষণার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।