প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯

( ২০১৯ সনের ১২ নং আইন )

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে -

 

(১) ‘‘অনিরাময়যোগ্য অসুস্থ প্রাণি’’ অর্থ এমন অসুস্থ প্রাণি, চিকিৎসার মাধ্যমে যাহার নিরাময় সম্ভব নহে অথবা মারাত্মকভাবে আহত হইবার কারণে যাহার স্থায়ীভাবে অঙ্গহানি হইয়াছে বা করা হইয়াছে অথবা যাহা জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত;

 

(২) ‘‘অসুস্থ প্রাণি’’ অর্থ ভেটেরিনারি সার্জনের প্রত্যয়ন অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক কারণে সুস্থ নহে এইরূপ কোনো প্রাণি এবং চিকিৎসা প্রদান করা হইলে যে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়া আসিতে পারে যথা : -

 

(ক) যে উদ্দেশ্যে লালনপালন করা হইতেছে, সেই কাজের জন্য সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত;

 

(খ) অঙ্গহানি, আঘাত বা ক্ষতজনিত কারণে অসুস্থ;

 

(গ) শারীরবৃত্তিক কারণে বা কোনো জীবাণুর সংক্রমণজনিত কারণে অসুস্থ;

 

(৩) ‘আবদ্ধ প্রাণি’ অর্থ এইরূপ প্রাণি যাহার পলায়নপরতা বা হিংস্রতা রোধের উদ্দেশ্যে যাহাকে আটক বা খাঁচায় বন্দী অবস্থায় লালনপালন করা হয়;

 

(৪) ‘কর্তৃপক্ষ’ অর্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উক্ত অধিদপ্তরের কোনো ভেটেরিনারি সার্জন;

 

(৫) ‘‘খামার’’ অর্থ বিদ্যমান কোনো আইনের অধীন নিবন্ধিত হোক বা না হোক, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কোনো প্রাণির খামার, যে স্থানে পাঁচ বা ততোধিক একই বা ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণি লালনপালন করা হয়;

 

(৬) ‘‘গৃহপালিত প্রাণি’’ অর্থ এইরূপ প্রাণি যাহা কোনোভাবে মানুষের উপকারে আসে ও প্রকৃতিগতভাবে হিংস্র নহে এবং গৃহে বা খামারে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হোক বা না হোক, প্রতিপালন করা হয়;

 

(৭) ‘‘তত্ত্বাবধানকারী’’ অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি, মালিকের সম্মতিতে বা সম্মতি ব্যতীত, স্বেচছায় কিংবা কর্তৃপক্ষের আদেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো প্রাণিকে দখলে বা  তত্ত্বাবধানে রাখিয়াছেন;

 

(৮) ‘‘নিষ্ঠুর আচরণ’’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ;

 

(৯) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;

 

(১০) ‘‘পোষা প্রাণি (Pet)’’ অর্থ গৃহপালিত প্রাণি ব্যতীত এইরূপ কোনো প্রাণি যাহা মানুষের মানসিক প্রশান্তি বা নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের জন্য গৃহে বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে খামারে প্রতিপালন করা হয়;

 

(১১) ‘‘প্রাণি’’ অর্থে নিম্নবর্ণিত সকল ধরনের প্রাণি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা :

 

(অ) মানুষ ব্যতীত সকল স্তন্যপায়ী প্রাণি;

 

(আ) পাখি;

 

(ই) সরীসৃপ জাতীয় প্রাণি;

 

(ঈ) মৎস্য ব্যতীত অন্যান্য জলজ প্রাণি; এবং

 

(উ) সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোনো প্রাণি;

 

        (১২) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

 

(১৩) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোম্পানি, সংঘ, সমিতি, অংশীদারি কারবার, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 

(১৪) ‘‘ভেটেরিনারি সার্জন’’ অর্থ বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত যে কোনো ভেটেরিনারিয়ান এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান;

 

(১৫) ‘‘মালিক’’ অর্থ কোনো প্রাণির আইনানুগ মালিক;

 

(১৬) ‘‘মালিকবিহীন প্রাণি’’ অর্থ মালিকানা বা দাবিদারবিহীন কোনো প্রাণি, অথবা যুক্তিসংগতভাবে অনুসন্ধানের পরও যে প্রাণির মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীকে পাওয়া যায় না;

 

 (১৭) ‘‘সংকটাপন্ন’’ অর্থ নিষ্ঠুর আচরণ, অসুস্থতা বা  দুর্ঘটনার কারণে জীবন হুমকিতে পতিত;

 

                              (১৮) ‘‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ  এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs