প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
৩৬। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা :¾
(ক) উপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ;
(খ) উপউপাচার্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ;
(গ) জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মানে অধ্যাপক পদ (চেয়ার) প্রবর্তন;
(ঘ) সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান;
(ঙ) শিক্ষালাভের জন্য ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, বৃত্তি, পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন;
(চ) গবেষণা কার্যক্রমের ধরন নির্ধারণ;
(ছ) ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট ও কোনো সম্মানসূচক ডিগ্রি বা অন্য কোনো সম্মান প্রদান;
(জ) শিক্ষাদানকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ;
(ঝ) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি নির্ধারণ;
(ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের পদবি, ক্ষমতা, দায়িত্ব-কর্তব্য ও কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ;
(ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ;
(ঠ) হল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ;
(ড) হল এর অনুমোদন সম্পর্কিত শর্তাবলি নির্ধারণ;
(ঢ) প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ;
(ণ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও ছাঁটাই সংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারণ;
(ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে অবসর ভাতা, গোষ্ঠীবীমা, কল্যাণ এবং ভবিষ্য তহবিল গঠন;
(থ) শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ;
(দ) আচার্যের অনুমোদনক্রমে নূতন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, বিলোপ সাধন এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির বিধান নির্ধারণ;
(ধ) একাডেমিক কাউন্সিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ;
(ন) পি.এইচ.ডি. ডিগ্রির জন্য থিসিস এর বিষয় নির্ধারণ;
(প) অনুষদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ;
(ফ) বাছাই কমিটির গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ;
(ব) ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও অন্যান্য পাঠক্রমে ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন;
(ভ) বিভিন্ন কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন;
(ম) রেজিস্টার্ডভুক্ত গ্র্যাজুয়েটদের নিবন্ধনবহি সংরক্ষণ; এবং
(য) এই আইনের অধীন সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়।
(২) এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট, আচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে, সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে।
(৩) তপশিলে বর্ণিত সংবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি হইবে।
(৪) কোনো সংবিধি অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রাপ্তির পর আচার্য সংবিধিটি বা উহার কোনো বিধান পুনর্বিবেচনার জন্য অথবা উহাতে আচার্য কর্তৃক নির্দেশিত কোনো সংশোধন বিবেচনার জন্য প্রস্তাবসহ সংবিধিটি সিন্ডিকেটের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবেন; তবে সিন্ডিকেট যদি সংবিধিটি নির্দেশিত সংশোধনসহ বা ব্যতিরেকে আচার্যের নিকট পুনঃপেশ করে, তাহা হইলে উহা পেশ করিবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে, উক্ত সময়ের অবসানে উহা অনুমোদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫) আচার্য কর্তৃক অনুমোদিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য না হইলে সিন্ডিকেটের প্রস্তাবিত কোনো সংবিধি বৈধ হইবে না।