প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
পঞ্চম অধ্যায়
বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম
২৩। (১) কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান লাইসেন্স ব্যতীত বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশ করিতে পারিবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৩) ও (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযান কেবল নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশ এবং যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য অবস্থান করিতে পারিবে, যথা :-
(ক) বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার বাহিরের কোনো স্থানে গমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার উপর দিয়া অতিক্রমণের উদ্দেশ্যে;
(খ) যেক্ষেত্রে নৌযান ও উহার নাবিকের নিরাপত্তা বিপদাপন্ন, সেক্ষেত্রে আসন্ন বিপদ এড়াইবার জন্য;
(গ) বিপদগ্রস্ত ও সংকটাপন্ন ব্যক্তি, নৌযান অথবা উড়োজাহাজকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে;
(ঘ) কোনো নাবিকের জরুরি চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনে;
(ঙ) আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে, যাহা নির্দোষ অতিক্রমণ (Innocent Passage) এর আওতাভুক্ত।
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যে কোনো উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় প্রবেশকারী বিদেশি মৎস্য নৌযান-
(ক) এই আইনসহ দেশে বলবৎ অন্য আইন প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে; এবং
(খ) যে উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিয়াছে উহা পূরণ হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত জলসীমার বাহিরে চলিয়া যাইবে।
(৪) উপ-ধারা (২) বর্ণিত উদ্দেশ্যে কোনো বিদেশি মৎস্য নৌযানকে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় আগমন এবং বহির্গমন সম্পর্কে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা- এই ধারায় ‘‘নির্দোষ অতিক্রমণ’’ অর্থ United Nations Convention on the Law of the Sea, 1982 তে বর্ণিত নির্দোষ অতিক্রমণ।