প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
ষষ্ঠ অধ্যায়
মৎস্য আহরণের কতিপয় নিষিদ্ধ পদ্ধতি
২৭। (১) কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায়-
(ক) মৎস্য নিধন করে অথবা হতচেতন বা অক্ষম করিয়া মৎস্য আহরণ করে বা অন্য কোনো উপায়ে সহজে মৎস্য ধরিবার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহার করে বা ব্যবহার করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করে;
(খ) দফা (ক) তে বর্ণিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য বহন করে বা নিজ দখল বা নিয়ন্ত্রণে রাখে;
(গ) মৎস্য আহরণের জন্য ঘোষিত নিষিদ্ধ পদ্ধতি ব্যবহার করে বা উক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করে বা মৎস্য আহরণের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সরঞ্জাম মৎস্য নৌযানে বহন করে বা দখল বা নিয়ন্ত্রণে রাখে; বা
(ঘ) এই ধারা বা বিধি লঙ্ঘন করিয়া মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে জানিয়াও বা তাহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকা সত্ত্বেও উক্ত মৎস্য গ্রহণ করে বা বৈধ কোনো কারণ ব্যতীত তাহার দখলে রাখে;
তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ড তবে এই ধারায় বর্ণিত অর্থদণ্ডের এক তৃতীয়াংশের কম নহে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ বা মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম কোনো মৎস্য নৌযানে পাওয়া গেলে, বিপরীত কিছু প্রমাণিত না হইলে, ধরিয়া লওয়া হইবে যে উহা উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত উদ্দেশ্যে রাখা হইয়াছে।
(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমার পরিবেশ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হইতে পারে এইরূপ যে কোনো পদ্ধতি বা সরঞ্জাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে।