প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
অষ্টম অধ্যায়
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নৌযানের গতিরোধ, তল্লাশি, জব্দ, বাজেয়াপ্তি, ইত্যাদি
৩৩। যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় কোনো মৎস্য নৌযানের সাহায্যে এই আইন বা বিধি লংঘন করিয়া মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে বা হইতেছে বা উক্ত মৎস্য পরিবহণ করা হইতেছে বা নৌযানে উক্ত মৎস্য মজুদ রাখা হইয়াছে বা মৎস্য নৌযানের সাহায্যে এই আইন বা বিধির অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি পরোয়ানা ব্যতীত-
(ক) উক্ত মৎস্য নৌযানে বহনকৃত মৎস্য আহরণের যন্ত্রপাতি, জাল, সরঞ্জাম, নাবিক বা বহনকৃত মৎস্য পরীক্ষা এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং তল্লাশিকালে যদি উক্ত মৎস্য নৌযানে অবৈধভাবে আহরণকৃত মৎস্য পাওয়া যায় বা এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মৎস্য নৌযানের সাহায্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করা হইয়াছে বা হইতেছে বা উক্ত মৎস্য পরিবহণ করা হইতেছে তাহা হইলে তিনি উক্ত মৎস্য নৌযান, নৌযানে সংরক্ষিত মৎস্য, মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম জব্দ করিতে এবং উক্ত অপরাধের সহিত জড়িত মৎস্য নৌযান পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে আটক করিয়া নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করিতে পারিবেন;
(খ) মৎস্য আহরণের লাইসেন্স, অনুমতিপত্র, সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র বা এতদসংক্রান্ত যে কোনো দলিল পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে উহার অনুলিপি দাখিল করিতে মৎস্য নৌযানের স্কিপার বা মালিককে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।