প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
অষ্টম অধ্যায়
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নৌযানের গতিরোধ, তল্লাশি, জব্দ, বাজেয়াপ্তি, ইত্যাদি
৩৭। (১) এই আইনের অধীন আটককৃত কোনো মৎস্য নৌযান, মৎস্য আহরণের গিয়ার বা সরঞ্জাম, বিস্ফোরক, বিষ বা অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ বা যন্ত্রপাতি বা ধারা ৪১ এর অধীন প্রাপ্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ, উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে,-
(ক) যদি এই আইনের অধীন কোনো মামলা দায়ের হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত মামলা নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত পদ্ধতিতে আটক থাকিবে;
(খ) যদি এই আইনের অধীন কোনো মামলা দায়ের না হইয়া থাকে, তাহা হইলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত আটক থাকিবে এবং উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর সরকার বরাবরে বাজেয়াপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না উক্ত সময়ের মধ্যে আটককৃত মালামালের প্রকৃত মালিক লিখিতভাবে কোনো দাবী উত্থাপন করেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন কোনো লিখিত দাবি পাওয়া গেলে পরিচালক কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া প্রয়োজনে অঙ্গীকারনামা, বা ক্ষেত্রমত, জামানত গ্রহণপূর্বক দাবিকৃত মালামাল বা অর্থ অবমুক্ত করিয়া দাবিদার মালিকের নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন।
(৩) আদালত, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মালামাল বা সরঞ্জামের মালিকের আবেদনক্রমে প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা, বা ক্ষেত্রমত, জামানত বা ধারা ৩৪ এর বিধান কার্যকর করিবার পূর্বশর্ত আরোপ করিয়া আবেদনকারী বরাবর আটককৃত মৎস্য নৌযান বা মৎস্য আহরণের সরঞ্জাম অবমুক্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।