প্রিন্ট ভিউ

আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১

( ২০২১ সনের ০৮ নং আইন )

দ্বাদশ অধ্যায়

অপরাধের বিচার, ইত্যাদি

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ

৪৩।  ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।

অপরাধের বিচার, ইত্যাদি

৪৪। (১) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।

(২) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

(৩) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার অধীন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং বিচার সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে কতিপয় ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা

৪৫। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির উপর এই আইনের অধীন অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনে উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।

কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

৪৬। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘনকারী বা অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, অংশীদার, স্বত্ত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার, সচিব বা প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্ট, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, বিধানটি লঙ্ঘন বা অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া অকৃতকার্য হইয়াছেন।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত ব্যাক্তিসত্ত্বা (Body Corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারি মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।

ব্যাখ্যা।-এই ধারায়-

(ক) ‘কোম্পানি’ অর্থে যে কোনো সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ হউক না হউক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি, সংঘ বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং

(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘পরিচালক’ অর্থে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হইবেন।

মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ

৪৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs