প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

1[বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২

( ২০২২ সনের ০৫ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

পেটেন্টযোগ্য উদ্ভাবন ও সুরক্ষা

পেটেন্টযোগ্য উদ্ভাবন

৩। (১) প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনই পেটেন্টযোগ্য হইবে, যদি উহাতে নূতনত্ব (novelty) ও উদ্ভাবনী ধাপ বিদ্যমান থাকে এবং শিল্পে প্রয়োগযোগ্য হয়।

(২) কোনো উদ্ভাবনে নূতনত্ব বিদ্যমান রহিয়াছে মর্মে বিবেচিত হইবে, যদি উহা জ্ঞাত পূর্বত্ব দ্বারা ধারণাযোগ্য না হয়।

(৩)  কোনো উদ্ভাবনে উদ্ভাবনী ধাপ বিদ্যমান রহিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে, যদি উহা জ্ঞানের প্রভূত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নির্দেশ করে, যাহা বিদ্যমান জ্ঞান বা জ্ঞাতপূর্ব কোনো কলাকৌশলের আওতাবহির্ভূত এবং উক্ত সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট দাবিকৃত উদ্ভাবনটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান না হয়।

(৪) শিল্পে প্রয়োগ বা ব্যবহার করা যাইতে পারে এইরূপ যে কোনো কর্ম উদ্ভাবন হিসাবে বিবেচিত হইবে।

ব্যাখ্যা।¾‘‘জ্ঞাত পূর্বত্ব (prior art)’’ বলিতে পেটেন্ট আবেদনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের তথ্যাদি যে কোনো স্থানে দৃশ্যমানরূপে, ব্যবহারের মাধ্যমে, লিখিত, মৌখিক বা অন্য কোনো উপায়ে জনসাধারণের নিকট প্রকাশিত হওয়াকে বুঝাইবে, তবে আবেদনের তারিখ হইতে বা, ক্ষেত্রমত, আবেদনের অগ্রাধিকার তারিখ হইতে পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে আবেদনকারী বা তাহার স্বত্বের পূর্বসূরি কর্তৃক বা তদ্‌সম্পর্কিত কোনো তৃতীয় পক্ষের অপব্যবহার দ্বারা উক্ত প্রকাশের বিষয়টি ঘটিয়া থাকিলে কোনো উদ্ভাবন জনসাধারণের নিকট প্রকাশিত হইবার বিষয়টি বিবেচনা করা হইবে না।


  • 1
    এ আইনের সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি “রেজিস্ট্রার" শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ২২ নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs