প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

1[বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২

( ২০২২ সনের ০৫ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

পেটেন্ট অধিকার, লাইসেন্স, মালিকানা

মালিকানা পরিবর্তন বা স্বত্বনিয়োগ, লাইসেন্স চুক্তি, ইত্যাদি

২৫। (১) পেটেন্টের মালিকানা বা উহার আবেদনে উল্লিখিত যে কোনো পরিবর্তন লিখিত হইতে হইবে এবং পেটেন্ট স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে রেকর্ড করিতে হইবে এবং কোনো আবেদন করা না হইলে, রেজিস্ট্রার কর্তৃক উক্ত পরিবর্তন ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশিত হইবে এবং উক্তরূপ পরিবর্তন রেকর্ডভুক্তির পূর্বে তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর হইবে না।

(২) পেটেন্ট সংক্রান্ত যে কোনো লাইসেন্সের চুক্তি বা তদ্‌সম্পর্কিত আবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

(৩) রেজিস্ট্রার, উক্ত আবেদন রেকর্ডভুক্ত করিবেন, তবে উহার বিষয়বস্তু গোপন রাখিতে হইবে এবং তদ্‌সম্পর্কিত মন্তব্য প্রকাশ করিবেন এবং রেকর্ডভুক্ত হইবার পূর্বে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে লাইসেন্সের চুক্তি কার্যকর হইবে না।

(৪) যদি রেজিস্ট্রার এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, অধিকার সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়ে এইরূপ এক বা একাধিক দফা রহিয়াছে যাহা চুক্তির অপব্যবহার বা অসম প্রতিযোগিতামূলক বা উহাতে এমন কোনো ত্রুটি রহিয়াছে যাহা ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবে বা উক্তরূপ কোনো প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি পেটেন্টের মালিকানা পরিবর্তন বা লাইসেন্সের চুক্তি রেকর্ড করিতে অস্বীকার করিতে পরিবেন এবং কোনো পক্ষ বা উভয় পক্ষ শুনানি গ্রহণের অনুরোধ করিলে, তিনি চুক্তির সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানি গ্রহণ করিবেন, তবে এইরূপ ক্ষেত্রে চুক্তির পক্ষগণকে চুক্তি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্যপ্রমাণ দাখিল করিতে হইবে।

(৫)  কোনো পক্ষ বা উভয় পক্ষ, রেজিস্ট্রার কর্তৃক, চুক্তি রেকর্ড করিতে অস্বীকার করিবার সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে ২(দুই) মাসের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।

(৬) স্বত্বগ্রহীতা বা লাইসেন্স গ্রহীতার উপর আরোপিত যে কোনো সীমাবদ্ধতা, যাহা লাইসেন্সকৃত অধিকারের নিবন্ধন দ্বারা উদ্ভূত নহে বা অধিকারের রক্ষাকবচের জন্য প্রয়োজনীয় নহে, তাহা অপব্যবহারমূলক বা অসম প্রতিযোগিতামূলক প্রভাবসম্পন্ন বা অসম প্রতিযোগিতামূলক বলিয়া গণ্য হইবে।

(৭) ভিন্নরূপ বিধান করা না হইলে, প্রয়োগের পরিস্থিতি, কারণ বা যৌক্তিকতা যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন না থাকিলে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি বা দফার প্রয়োগ আইন বহির্ভূত মর্মে গণ্য হইবে, যথা:¾

(ক)   লাইসেন্স গ্রহীতা কর্তৃক লাইসেন্সকৃত উদ্ভাবনের যে কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দাতাকে ক্ষমতার্পণ, যদি না উক্ত ক্ষমতার্পণ লাইসেন্সের চুক্তি অধীন একই শর্তে হইয়া থাকে;

(খ)   লাইসেন্স দাতার অন্যান্য অদৃশ্যমান সম্পদ যাহা অন্যান্য মেধাসম্পন্ন পেটেন্ট, ট্রেডমার্কস বা ব্যবসার গোপনীয়তার দ্বারা অর্জিত হয়, উহার অতিরিক্ত পারিতোষিক বা উহা অর্জনের জন্য লাইসেন্স গ্রহীতা বা স্বত্বনিয়োগের বাধ্যবাধকতা;

(গ)    লাইসেন্সকৃত অধিকার বা হস্তান্তরিত অধিকারের বৈধতার আপত্তির ক্ষেত্রে লাইসেন্সগ্রহীতা বা স্বত্ব গ্রহীতার প্রতিষেধ;

(ঘ)    লাইসেন্সকৃত বা হস্তান্তরিত উদ্ভাবন সংরক্ষণের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর ব্যবহার বা পেটেন্ট দ্বারা অর্জিত হয় নাই এইরূপ বিষয়বস্তুর ব্যবহারের পারিতোষিকের ক্ষেত্রে লাইসেন্সগ্রহীতার বাধ্যবাধকতা;

(ঙ)   লাইসেন্সগ্রহীতা বা স্বত্বনিয়োগী কর্তৃক লাইসেন্সদাতা বা স্বত্বনিয়োগকর্তা, বা লাইসেন্সদাতা বা স্বত্বনিয়োগকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি হইতে উপাদান, কাঁচামাল বা অন্য যে কোনো দ্রব্য বা সেবা যাহা উদ্ভাবনটি ব্যবহার করিবার জন্য প্রয়োজন এবং যাহা লাইসেন্সকৃত উদ্ভাবনে দাবি দ্বারা সমর্থিত নহে, তাহা অর্জন করিবার বাধ্যবাধকতা;

(চ)    মেধা সম্পদের অধিকারের আওতাভুক্ত হউক বা না হউক অন্য যে কোনো প্রযুক্তির উন্নয়ন বা ব্যবহার সীমিতকারী অথবা বারণকারী সংক্রান্ত যে কোনো শর্ত।

(৮)  এই ধারায় অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, স্বত্বনিয়োগ এবং লাইসেন্স প্রদানের চুক্তিতে নিম্নবর্ণিত বিধান থাকিতে পারিবে, যথা:¾

(ক)   পরিধি, ভৌগোলিক এলাকা এবং ব্যবহারের মেয়াদ;

(খ)    পণ্য এবং সেবার মানের পর্যাপ্ততা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি;

(গ)    অধিকারের মালিকানা বা অধিকারের বিষয়বস্তুর সুনামের প্রতি হানিকর সকল কার্য হইতে বিরত থাকিবার ক্ষেত্রে লাইসেন্সগ্রহীতার বাধ্যবাধকতা।

(৯)  যেক্ষেত্রে স্বত্বনিয়োগ বা কোনো লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়বস্তু চুক্তি কার্যকর হইবার পর বাতিল হয়, সেইক্ষেত্রে চুক্তিটি তাৎক্ষণিকভাবে সমাপ্ত হইবে এবং পক্ষগণ চুক্তির অধীন যে পরিমাণ অর্থ বা সুযোগ-সুবিধা পরস্পরকে প্রদান করিয়াছে উক্ত অর্থ বা সুযোগ-সুবিধার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন, যদি না উক্ত অর্থ বা সুযোগ-সুবিধা যে পক্ষের অনুকূলে প্রদত্ত হইয়াছিল, উক্ত পক্ষ, চুক্তির কারণে, সরল বিশ্বাসে উহার দ্বারা লাভবান হইয়া থাকে এবং চুক্তি বাতিলের কারণে উক্ত সুযোগ-সুবিধা বাতিল করিয়া না থাকে।

(১০) উপ-ধারা (৯) এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ, লাইসেন্স প্রদান এবং অনিষ্পন্ন পেটেন্ট আবেদন হস্তান্তরের চুক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।


  • 1
    এ আইনের সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি “রেজিস্ট্রার" শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ২২ নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs