প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

1[বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২

( ২০২২ সনের ০৫ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

মামলা দায়ের ও কার্যপদ্ধতি

ক্ষতিপূরণ

২৮। (১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য বা তদ্‌বিবেচনায় উপযুক্ত কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বহিতে মিথ্যা এন্ট্রি তৈরি করেন, বা তৈরি করান, বা উক্ত নিবন্ধন-বহির এন্ট্রির অনুলিপি বুঝাইবার অভিপ্রায়ে উহাতে কোনো কিছু লিপিবদ্ধ করেন, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেন যে, তৎকর্তৃক বিক্রীত পণ্য বা ব্যবহৃত প্রক্রিয়া বাংলাদেশে পেটেন্টপ্রাপ্ত বা বাংলাদেশে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৪) যদি কোনো ব্যক্তি তাহার ব্যবসাস্থলে বা তৎকর্তৃক প্রেরিত কোনো দলিলে বা অন্য কোনোভাবে ‘‘পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর’’ অভিব্যক্তি বা শব্দাবলি বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করেন যাহার দ্বারা বিশ্বাস হইতে পারে যে, তাহার ব্যবসা এবং ব্যবসাস্থল পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস নিবন্ধনের কর্তৃপক্ষ, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৫) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্তরূপ লঙ্ঘনের জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং তদ্‌পরবর্তী কোনো লঙ্ঘনের জন্য অনধিক ৮০,০০০ (আশি হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৬) যদি উক্ত লঙ্ঘন কোনো কোম্পানি কর্তৃক সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানি এবং কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি এবং লঙ্ঘনকালে উক্ত কোম্পানির কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্তরূপ লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে।

(৭) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ব্যক্তি এইরূপভাবে এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন যাহা ফৌজদারি প্রকৃতির অপরাধ, তাহা হইলে আদালত Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর অধীন উক্ত অপরাধ আমলে গ্রহণের জন্য (cognizance) এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে প্রেরণ করিতে পারিবে।


  • 1
    এ আইনের সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি “রেজিস্ট্রার" শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ২২ নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs