বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন আইন, ২০২২

( ২০২২ সনের ১৯ নং আইন )

Bangladesh Oil, Gas and Mineral Corporation Ordinance, 1985 রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া উহা পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে র ৯ আগস্ট বিদেশি তেল কোম্পানি শেলওয়েল হইতে তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ নামক ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করিয়া রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন; এবং

 

যেহেতু জাতির পিতার অবিস্মরণীয় ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন ঘটিয়াছে; এবং

 

যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং

 

যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং

 

যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং

 

যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Bangladesh Oil, Gas and Mineral Corporation Ordinance, 1985 (Ordinance No. XXI of 1985) রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সূচি

ধারাসমূহ

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

২। সংজ্ঞা

৩। আইনের প্রাধান্য

৪। কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা

৫। কর্পোরেশনের কার্যালয়

৬। মূলধন

৭। কর্পোরেশনের কার্যাবলি

৮। পরিচালনা ও প্রশাসন

৯। পরিচালনা পর্ষদ

১০। চেয়ারম্যান নিয়োগ, ইত্যাদি

১১। পরিচালকগণের দায়িত্ব

১২। পরিচালনা পর্ষদের সভা

১৩। কমিটি

১৪। বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা, ইত্যাদি নিয়োগ

১৫। কোম্পানি গঠন

১৬। সংঘস্মারক ও সংঘবিধির সংশোধন, ইত্যাদি

১৭। কোনো কোম্পানির শেয়ার অথবা স্বত্ব ধারণের ক্ষমতা।-

১৮। হিসাব পরিচালনা

১৯। তহবিল

২০। উন্নয়ন তহবিল

২১। বিনিয়োগ

২২। ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা

২৩। শেয়ার হস্তান্তর

২৪। ফি ও চার্জ আদায়

২৫। কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি

২৬। জনসেবক (Public Servant)

২৭। বাজেট

২৮। ভূমিতে প্রবেশ, জরিপ, ক্ষতিপূরণ

২৯। হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

৩০। বাৎসরিক প্রতিবেদন

৩১। ক্ষমতা অর্পণ

৩২। কর্পোরেশনের অবসায়ন

৩৩। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৩৪। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

৩৫। রহিতকরণ ও হেফাজত

৩৬। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ